Site icon Aparadh Bichitra

বঙ্গবন্ধুর ঘোষিত ৬ দফা ছিল স্বাধীন বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠার ভিত্তি .. লায়ন মো. গনি মিয়া বাবুল

বঙ্গবন্ধু ঘোষিত বাঙালিদের মুক্তির সনদ ৬ দফা দিবস পালন উপলক্ষে জাতীয় গণতান্ত্রিক লীগ আজ ৭ জুন ২০১৮ সকাল ১১টায় মেহেরবা প্লাজার ১৫ তলায় বিএনএ কনফারেন্স হলে এক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। আলোচনা সভায় সভাপতিত্ব করেন জাতীয় গণতান্ত্রিক লীগের সভাপতি এম.এ জলিল। প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন বঙ্গবন্ধু গবেষণা পরিষদের সভাপতি লায়ন মো. গনি মিয়া বাবুল। বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ গণতান্ত্রিক মুক্তি আন্দোলনের চেয়ারম্যান আশরাফ আলী হাওলাদার, ঢাকা মহানগর উত্তর আওয়ামী লীগ নেতা আ.স.ম মোস্তফা কামাল, জাসদ নেতা হুমায়ুন কবির, সাবেক ছাত্রনেতা আতিকুর রহমান আতিক, স্বাধীনতা পরিষদের সাধারণ সম্পাদক মো. ফজলুল হক, বঙ্গবন্ধু শিশু-কিশোর মেলার যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আনন্দ সেন, মুক্তিযোদ্ধা পল্লী সোসাইটির সভাপতি আলমগীর শেখ, জাতীয় গণতান্ত্রিক লীগের সহ সভাপতি সরদার মো. আলী বাদল, সম্পাদক সমীর রঞ্জন দাস, যুগ্ম সম্পাদক ফারহানা ইয়াসমিন মনি ও দপ্তর সম্পাদক কামাল হোসেন প্রমুখ। লায়ন গনি মিয়া বাবুল বলেন, পাকিস্তানের শাসকগোষ্ঠির শোষণ-শাসন থেকে বাঙালিদের মুক্তির লক্ষ্যে ১৯৬৬ সনের ৫ ফেব্রুয়ারি লাহোরে সাংবাদিক সম্মেলনের মাধ্যমে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ৬ দফা ঘোষণা করেন। এই ৬ দফা ছিল স্বাধীন বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠার মূল ভিত্তি। ৬ দফা ঘোষণার পরেই পাকিস্তানী শাসক আইয়ুব শাহী বুঝতে পেরেছিল শেখ মুজিবুর রহমানকে দমাতে না পারলে পাকিস্তান শাসন করা যাবে না।

 

তিনি শেখ মুজিবুর রহমানকে আগরতলা অভিযুক্ত মামলায় আসামী করেন। ইহা বাঙালি জাতি মেনে নেয়নি। ছাত্র-জনতা, শ্রমিক-কৃষক ঐক্যবদ্ধ হয়ে তৎকালীন ছাত্রনেতা তোফায়েল আহমেদ এর নেতৃত্বে গণআন্দোলন করে শেখ মুজিবুর রহমানকে পাকিস্তানের কারাগার থেকে মুক্ত করেন এবং ২৩ ফেব্রুয়ারি ১৯৬৯ সনে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের জনসভার মাধ্যমে শেখ মুজিবুর রহমানকে বঙ্গবন্ধু উপাধিতে ভূষিত করেন। এই ৬ দফার মাধ্যমেই বাঙালি জাতি বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বে ঐক্যবদ্ধ হয়েছে, ৬৯’র গণআন্দোলন করে, ৭০’র নির্বাচন এবং ৭১’র মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে স্বাধীন বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠা করেছে। স্বাধীন বাংলাদেশের আদর্শ হওয়া উচিত ছিল অসাম্প্রদায়িক, গণতান্ত্রিক, ক্ষুধা-দারিদ্র্যমুক্ত। কিন্তু বঙ্গবন্ধুকে ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট স্ব-পরিবারে হত্যা করে স্বাধীন বাংলাদেশের মূল আদর্শ থেকে বিচ্যুতি ঘটায়, পরবর্তী জিয়াউর রহমান-এরশাদ এবং খালেদা জিয়ার সরকার। আমরা এই অসাম্প্রদায়িক-অগণতান্ত্রিক ধারা মানি না। আমরা ঐক্যবদ্ধভাবে বঙ্গবন্ধুর আদর্শের সোনার বাংলা, শেরে বাংলা, সোহরাওয়ার্দী, ভাসানী ও তাজউদ্দিন আহমেদের আকাঙ্খিত বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠা করবো। এই বাস্তবায়নের মাধ্যমে বাংলাদেশ হবে সন্ত্রাস, জঙ্গীবাদ, সাম্প্রদায়িকতা, ক্ষুধা-দারিদ্র্যমুক্ত, আইনের শাসনের বাংলাদেশ।