Site icon Aparadh Bichitra

পুঠিয়া সাব-রেজিঃ অফিসের দুই দলিল লেখকের সনদ বাতিল করেছে কতৃপক্ষ

আরিফুল রুবেল, পুঠিয়া প্রতিনিধিঃ কথিত সচিবের ভাই মামুন ও তার সহযোগি বুলবুলের দলিল লেখকের সনদপত্র স্থায়ী ভাবে বাতিল করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন পুঠিয়া উপজেলার দায়িত্বে থাকা সাব-রেজিস্টার সিং মং থোয়াই। তিনি বলেন, আগে কি হয়েছে আমি জানিনা, তবে সনদ বাতিলের দুইটি চিঠি  জেলা রেজিস্টারের অফিস থেকে আমার অফিসে এসেছে। চিঠি পেয়ে তিনি জানান, জেলা রেজিস্টার কার্যালয়ের চিঠিতে আদেশ দেওয়া হয় যে, মহাপরিদর্শক, নিবন্ধন,বাংলাদেশ,ঢাকা এর ২৮-৫-২০১৮ ইং তারিখের নিঅ/রেজিঃশাঃ-৫(রাঃবিঃ)/ ৬৫৯৯ নং স্বারকের নির্দেশ মোতাবেক ১৬২ নং সনদধারী মামুনুর রশিদ ও একই স্বারক নাম্বারে ১৮০ নং সনদধারী বুলবুল আহম্মেদকে স্থায়ী ভাবে সনদপত্র বাতিল করা হইল। জেলা রেজিস্টার আবুল কালাম আজাদ স্বাক্ষরিত আদেশে বলা হয় যে, নিবন্ধন আইন অনুযায়ী অফিসের আঙ্গিনার মধ্যেও প্রবেশ করা নিষিদ্ধ করা হইল।
জেলা রেজিস্টার স্বারক নং- ১০.০০.৮১০০.০০১.২৭.০০১.১৮-৫১৪/১(৩) ও ১০.০০. ৮১০০. ০০১.২৭. ০০১.১৮-  ৫১৬/১(৩)। জানাযায়, মামুন ও তার সহযোগি বুলবুল সাব-রেজিঃ অফিসের সকলকে সচিবের ভাই বলে পরিচয় দিত। এবং হুমকি ধামকি সহ চাঁদাবাজী করতো। সাথে ৫/৬ জন ক্যাডার নিয়ে চলাফেরা করতো। একটা ভীতিকর পরিবেশ তৈরি করায় ছিল তার প্রথম কাজ। বাহির থেকে আসা দলিল লেখকদের কাছ থেকেও চাঁদা নিত বলেও শুনা যায়। কথিত সচিবের ভাই হওয়ায় কেও কিছু বলতে সাহস পেত না। কোনো সমস্যা হলে বিভিন্ন অফিসে ফোন করে দিত তার ভাই আরিফ। গত ১৬/৪/১৮ ইং তারিখে পুঠিয়া দলিল লেখক সমিতির সভাপতি আব্দুল মতিন মুকুল(সাবেক ইউনিয়ন চেয়ারম্যান)কে প্রান নাশের হুমকি দেয় মামুন। তখন আব্দুল মতিন মুকুল সেখানে উপস্থিত ছিলেন না। পরে এসে শুনে তিনি স্থানীয় থানায় একটি সাধারণ ডায়েরী করে। ডায়েরী নং- ৬০৬/১৬-৪-১৮। সেই দিন রাতেই প্রভাব খাটিয়ে উজ্জল নামের এক দলিল লেখকের নামে মিথ্যা মামলা দায়ের করে মামুন। এ খবর পেয়ে দলিল লেখক সমিতির সদস্যরা ক্ষোভ প্রকাশ করেন । পরের দিন ১৮/৪/১৮ ইং তারিখে দলিল লেখক সমিতির সদস্য ও সাধারন জনগণ একত্রে হয়ে ৫ দফা দাবিতে মানব বন্ধন করে। প্রধান দাবী ছিল চাঁদাবাজ মামুন, ও বুলবুলের লাইসেন্স বাতিল করতে হবে, তার কথিত সচিব ভাই এর প্রকৃত চাকরীর স্থল ও পদবি নিশ্চিত করতে হবে, মামুনের দায়ের করা মিথ্যা মামলা প্রত্যাহার করতে হবে। মানব বন্ধন শেষে সমিতির পক্ষ থেকে উপজেলা নির্বাহী অফিসারে নিকট স্বারকলিপি জমা দেওয়াাহি হয়। এ প্রসঙ্গে জানতে চাইলে পুঠিয়া দলিল লেখক সমিতির সভাপতি আব্দুল মতিন মুকুল বলেন, আমাদের প্রধান দাবি মানা হয়েছে, এ জন্য কর্তৃপক্ষের নিকট দলিল লেখক সমিতির পক্ষ থেকে কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি।