Site icon Aparadh Bichitra

মুক্তিযুদ্ধের সেক্টর কমান্ডার মেজর জেনারেল মো. আবুল মঞ্জুরের হত্যাকারীদের ফাঁসি চাই …. এম.এ জলিল

মুক্তিযুদ্ধের সেক্টর কমান্ডার মেজর জেনারেল মো. আব্দুল মঞ্জুর এর ৩৭তম হত্যা দিবস পালন উপলক্ষে হত্যাকারীদের ফাঁসির দাবিতে এক মানববন্ধন করেছে জাতীয় গণতান্ত্রিক লীগ আজ সকাল ১১ টায় জাতীয় প্রেসক্লাব চত্ত্বরে। মানববন্ধনে সভাপতিত্ব করেন জাতীয় গণতান্ত্রিক লীগের সভাপতি এম.এ জলিল। বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ কৃষক লীগের কেন্দ্রীয় নেতা, সুপ্রীম কোর্টের আইনজীবী এডভোকেট ফজলুল হক, বঙ্গবন্ধু লেখক পরিষদের সাধারণ সম্পাদক এডভোকেট আব্দুল হক চাষী, বিএনএ’র যুগ্ম সম্পাদক আককাছ আলী খান, বঙ্গবন্ধু সাংস্কৃতিক জোটের সাধারণ সম্পাদক অরুন সরকার রানা, ঢাকা মহানগর উত্তর আওয়ামী লীগ নেতা আ.স.ম মোস্তফা কামাল, সিদ্ধেশ^রী কলেজের সাবেক ভিপি আতিকুর রহমান খোকন, জাসদ নেতা হুমায়ুন কবির, জাতীয় স্বাধীনতা পার্টির চেয়ারম্যান মিজানুর রহমান মিজু, কাজী আরেফ ফাউন্ডেশনের সভাপতি কাজী মাসুদ আহমেদ।

 

এম.এ জলিল বলেন, পাকিস্তানের শাসন- শোষণ থেকে বাঙালিদেরকে মুক্ত করার লক্ষ্যে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ১৯৭০ সালে নির্বাচনের মাধ্যমে বাঙালি জাতিকে ঐক্যবদ্ধ করেছিলেন। কিন্তু বাঙালিদের নির্বাচিত নেতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের কাছে ক্ষমতা হস্তান্তর না করে পাকিস্তানী সামরিক জান্তার প্রেসিডেন্ট ইয়াহিয়া শাহী বাঙালি নিরস্ত্র জনগণের উপর সশস্ত্র যুদ্ধ ঘোষণা করেন। সেই মুহুর্তে পাকিস্তানী সামরিক জান্তার বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। তার আহ্বানে পাকিস্তান থেকে পালিয়ে এসে মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণ করেন এবং সেক্টর কমান্ডারের দায়িত্ব পালন করেন মেজর জেনারেল মো. আবুল মঞ্জুর। তিনি ছিলেন একজন দেশপ্রেমিক সাচ্চা বাঙালি। তাঁকে ষড়যন্ত্র করে ১৯৮১ সালের ১লা জুন চট্টগ্রাম সেনানিবাসে হত্যা করা হয়। আমরা এই হত্যাকারীদের ফাঁসির দাবি করি এবং দেশের সংবিধান, আইনের শাসন এবং নিয়মনীতি বাস্তবায়নের দাবি করছি। এম.এ জলিল আরো বলেন, ১৯৮১ সালে মঞ্জুর হত্যার পর ১৪ বছর অতিবাহিত হওয়ার পর মঞ্জুরের ভাই ১৯৯৬ সালের ২৮ ফেব্রুয়ারি চট্টগ্রামে একটি থানায় মামলা করেন। সেই মামলার তদন্ত এবং স্বাক্ষী প্রমাণের পর ২০১৪ সালের ১০ ফেব্রুয়ারি রায় ঘোষণার কথা ছিল। কিন্তু অদৃশ্য শক্তির কারণে রায় না হয়ে সেই রায়টি ঘুরপাক খাচ্ছে। আমরা অতিস্বত্ত্বর জেনারেল মঞ্জুরের হত্যার মামলার রায় চাই। তিনি আরো বলেন, ১৯৭৫ সালের ৭ নভেম্বর আরো ৩ জন সেক্টর কমান্ডারকে ষড়যন্ত্রকারীরা হত্যা করেছিলেন তারা হলেন সেক্টর কমান্ডার ব্রিগেডিয়ার খালেদ মোশাররফ, কর্ণেল হায়দার ও কর্ণেল নুরুল হুদা। আমরা তাদেরকে হত্যারও বিচার চাই এবং অতি স্বত্ত্বর আইনের আওতায় এনে সকল মুক্তিযোদ্ধা হত্যাকারীদের বিচারের কাঠগড়ায় দাড় করাতে হবে। তবেই স্বার্থক হবে বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলা প্রতিষ্ঠার যেই বাংলাদেশে থাকবে সংবিধান ও আইনের শাসন।