মহাপ্রতারক লম্পট আরিয়ানের সহযোগি লেডি হিটলার সানজিদার ভুল স্বীকার করে ক্ষমা প্রার্থনা

0
1641

স্টাফ রিপোর্টারঃ
রাজধানীতে ধনাঢ্য পরিবারের মেয়েদেরকে প্রতারনার ফাঁেদ ফেলে ব্ল্যাকমেলিং করে লক্ষ লক্ষ টাকা হাতিয়ে নেয়ার মহ্প্রাতারক লম্পট আরিয়ানের প্রধান সহযোগি লেডি হিটলার সানজিদা তার অপকর্মের জন্য ভুল স্বীকার করে অপরাধ বিচিত্রা কর্তৃপক্ষের নিকট ক্ষমা প্রার্থনা করেছে। আরিয়ান ও সানজিদা অর্থের জন্য মেয়েদেরকে ফাদে ফেলে প্রতারনা করে অনেক পরিবারকে পথে বসিয়েছে। অপরাধ বিচিত্রার অনুসন্ধানী ঈগল টিম দীর্ঘ সময় অনুসন্ধান করে ধারাবাহিক দুই পর্বের প্রতিবেদদন প্রকাশ করে তাদের মুখোশ খুলে দেয়। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে সানজিদা অপরাধ বিচিত্রা কর্তৃপক্ষের নামে লিগ্যাল নোটিশ প্রেরন করে এবং সম্পাদকের মোবাইলে ফোন করে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ সহ প্রাননাশের হুমকি দেয়। ফলে অপরাধ বিচিত্রা কর্র্তৃপক্ষ জীবনের নিরাপত্তা চেয়ে মতিঝির থানায় একটি জিডি দায়ে করলে সানজিদার তার বয়ফ্রেন্ডর সাথে জিডির তদন্ত কর্মকর্তা এস আই রতনকে সঙ্গে নিয়ে অপরাধ বিচিত্রার অফিসে আসে।

 

জিডির তদন্ত কর্মকর্তার উপস্থিতিতে বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তরে আরিয়ানের সাথে তার অবৈধ সম্পর্ক সহ প্রতারনামুলক ব্যবসার কথা স্বীকার করে আরিয়ানকে দোষী সাব্যস্ত করে। অনেকটা উত্তেজিত হয়ে অপরাধ বিচিত্রা কর্তৃপক্ষের প্রতি অশোভন আচরন করে। কিন্তু জিডির তদন্ত কর্মকর্তার হস্তক্ষেপে শান্ত হয়ে নিজের ভুল বুঝতে পেরে আরিয়ানের সাথে ব্যবসা সহ সব ধরনের সম্পর্ক ছিন্ন করার অঙ্গীকার করে ক্ষমা প্রার্থনা করে। তবে আরিয়ান ও সানজিদার প্রতারনা এখনো অব্যাহত রয়েছে বলে এবারের পর্ব প্রকাশিত হলো। কে এই আরিয়ান ও সানজিদা? কতটা ভয়ংকর তাদের প্রতারনার ফাঁদ? তা নিয়ে এবারের তৃতীয় প্রতিবেদন। নারী নিয়েই বেশীরভাগ কাজ কারবার মহাপ্রতারক আরিয়ানের। আর আরিয়ানের মায়ের স্বপ্ন পুরন করতেই অর্থবিত্ত অর্জনের জন্যই যে কোন ন্যক্কারজনক অনৈতিক কাজকর্ম থেকে অর্থ উপার্জন করার সর্বাত্মক চেষ্টা করেই চলছে। মায়ের স্বপ্ন পুরন করতে মিথিলা নামের জনৈক গৃহিনীকে ব্ল্যাক মেইল করে প্রায় অর্ধকোটি টাকা হাতিয়ে নিয়েছে, তার আগের স্বামীকে ডিভোর্স দিয়েছে, নিজে মিথিলাকে বিয়ে করে ব্লাক মেইল শেষে আবার ডিভোর্স দিয়েছে। চলো বাংলাদেশে বেড়াই নামের একটি প্রতিষ্ঠানে প্রতারণার হাতে খড়ি আরিয়ানের। বেড়ানোর নাম করে ট্যুরিষ্ট গাইডের আবরনে ব্লাকমেইলিং করা নারীদের সর্বস্ব লুটে নেয়া, ভিডিও ধারন করে জিম্মি করে ভোগ করার ঘটনা আরিয়ানের পেশা ও নেশা। আফতাব নগর ও ফকিরাপুল কলোনীগুলোতে বন্ধুমহলে ধান্ধাবাজ প্রতারক হিসাবেই পরিচিত। আরিয়ান নামের এক লম্পট প্রতারকের ফাঁদে রাজধানীর বহু তরুনী, গৃহিনী তাদের স্বাভাবিক জীবনের ছন্দ হারিয়ে জীবন সাগরে হাবুডুবু খাচ্ছে। অনেকের সংসার ভেঙ্গে গেছে। অনেকেই প্রায়শ্চিত্ত করছে আরিয়ানের সঙ্গি হয়ে ট্যুরে ভুল করার কারনে। অপরাধ বিচিত্রা সহ রাজধানীর আরো অনেক পত্র পত্রিকা এখন সরগরম এই আরিয়ানকে নিয়ে। কে এই আরিয়ান বা সাগর বা সোহাগ অথবা কাওসার। তিনি এক এক জায়গায় এক এক নামেই বা কেন পরিচিত? কি-ইবা তার ব্যবসা বানিজ্য। কি-ইবা তার উদ্দেশ্য। রাজধানীতে আলোচনার কেন্দ্র বিন্দু নিজ এলাকার টাঙ্গাইলের মির্জাপুর থানার ইছাপুরা গ্রামে কেন এই বহুরুপি আরিয়ানকে বস্তাবন্দি করে রাখা হয়েছিল। এই সকল অনেক প্রশ্নের উত্তর জানার জন্য অপরাধ বিচিত্রা অফিসে অনেক টেলিফোন অনেক প্রশ্ন। এমনকি যাদের নাম এবং ছবি অপরাধ বিচিত্রায় ছাপা হয়েছিল তাদেরও অনেকেই অবাক এই কারনে যে আরিয়ানের সাথে তাদের ছবি কেন ছাপা হয়েছিল, আসলেই কি আরিয়ান এমন ধরনের বাজে কেউ। এ সকল প্রশ্নের উত্তর তো অবশ্যই সকল প্রশ্নকারী এবং পাঠকের জানাতে হবে। পাঠকের কৌতুহলকে তো আর ধামাছাপা দেয়া যায় না, পাঠকের এই আগ্রহকে তো আর গলা টিপে হত্যা করা যায় না। আরিয়ানের এমন কাজ কারবারের মাঝে আরিয়ান চরিত্রের এক খলনায়িকা রুগ্ন ও উগ্র মেজাজী, অশ্লীল সন্ত্রাসী আচরনের ভাষা প্রয়োগকারী, সভ্য ভদ্রহীন আচরনের বেমানান লেডির আবির্ভাব আরিয়ানের কাজের পার্টনার সানজিদা। কে এই সানজিদা? কি তার পরিচয়? কেনই বা মিথিলাকে আরিয়ান ডিভোর্স দিতে প্রভাবিত করছে এই সানজিদা? কি তার স্বার্থ? ডিভোর্স নিশ্চিত করতে আরিয়ানের সাথে আইনজীবির চেম্বারে কেন পাহারা দিচ্ছে সানজিদা। কেনইবা সানজিদা নিজের টাকা দিয়ে মিথিলাকে ডিভোর্স দেয়ার জন্য আইনজীবিকে নিজের ভ্যানেটি ব্যাগ থেকে টাকা দিয়েছে? আদালতে ডিভোর্স দিতে আসা আরিয়ানের ব্যবসায়ীক পার্টনার পরিচয়দানকারী সানজিদার আপত্তিকর আচরনের স্বাক্ষী আইনজীবি আরেক সানজিদা। একজন ন্যায় পরায়ন আইনজীবি সানজিদারও পছন্দ হয়নি অনৈতিক আচরনের পার্টনার আরিয়ানের নতুন পার্টনার সানজিদাকে। এছাড়াও ভুয়া প্রতিষ্ঠানের নামে নিজ বাসার ঠিকানায় যে প্রতারনার ব্যবসা খুলেছেন তাও আমাদের অনুসন্ধানে রয়েছে। তার ব্যবসার আরো রয়েছে চাঞ্চল্যকর কাহিনী। কুয়াকাটার ট্যুর নিয়ে পরবর্তিতে থাকবে আরো বিস্তারিত। তবে আদালতে ডিভোর্স দিতে এসে আরিয়ান ও সানজিদার স্বামী স্ত্রীর মত আচরনের এক নীরব স্বাক্ষী আইনজীবি সানজিদা।

অনুসন্ধানে জানা গেছে, আরিয়ান খান ওরফে সোহাগ ওরফে কাউসার একটা ইভেন্ট গ্রুপের এডমিন। এ সময় মিথিলা ও তার ১২ জন বান্ধবী মিলে ঐ ইভেন্টে যায়। আর ইভেন্টের যাওয়ার সুত্র ধরে মিথিলার সাথে আরিয়ানের প্রথম পরিচয় হয় এবং আরিয়ানের ফেইজবুক লিষ্টে মিথিলাকে এ্যাড করা হয়। ফেইজবুকের সুত্র ধরে আরিয়ান মাঝে মাঝে মিথিলাকে ইভেন্টে নিয়ে যায় এবং তাদের মধ্যে একটা ভাল সম্পর্ক তৈরি হয়। একদিন আরিয়ান কাকরাইল চার্চে গ্রুপ থেকে আড্ডার আয়োজন করে মিথিলাকে আমন্ত্রন জানায়। আরিয়ান মিথিলাকে ফোন দিয়ে বলে চার্চের কাছেই আরিয়ানের বাসা। প্রথমে তাদের বাসায় গেলে তার বাবা মায়ের সাথে মিথিলাকে পরিচয় করিয়ে দিবে। তাই মিথিলা সেদিন আািরয়ানের কথা মতো দুপুরে আনুমানিক সাড়ে ১২ টার দিকে তাদের বাসায় যায়। মিথিলা আরিয়ানের বাসায় গিয়ে দেখে আরিয়ান ছাড়া বাসায় কেউ নেই। মিথিলা আরিয়ানকে জিজ্ঞেস করে তার বাবা মা কোথায় গেছে। ফলে আরিয়ান তাকে জানায় তার মা ছোট ভাইকে আনতে স্কুলে গিয়েছে, আর বাবা বাহিরে আছে। তখন মিথিলা চলে আসতে চাইলে সে বলে আজ প্রথম বাসায় এসেছ কিছু না খেয়েই চলে যাবে? একথা বলে আরিয়ান ফ্রিজ থেকে এক গ্লাস ঠান্ডা আমের জুস এনে দেয়। জুস খাওয়ার অনেকক্ষন পরে মিথিলা মাথা ঘুরে অচেতন হয়ে পড়ে। জ্ঞান ফিরলে মিথিলা দেখে সে আরিয়ানের বিছানায় শুয়ে আছে। তার গায়ে একটা পাতলা চাদর দিয়ে ঢাকা। শরীরে কোন ড্রেস নেই। মিথিলা বুঝতে পারে তার সাথে অনৈতিক কাজ করা হয়েছে। এতে কান্না শুরু করলে আরিয়ান তার মুখ চাপা দিয়ে ধরে এবং বলে চিৎকার করলে তার বড় ক্ষতি হবে। এসময় আরিয়ান তার মোবাইলে মিথিলার কিছু আপত্তিকর ছবি ও ভিডিও দেখায় এবং বলে সে তাকে খুব ভালোবাসে। কিছু দিন যাবৎ মিথিলা তাকে তেমন পাত্তা দিচ্ছে না বলেই সে এমন কাজ করেছে। তখন মিথিলা খুব কান্না করতে থাকে। পরে আরিয়ানে মা বাসায় আসলে মিথিলা তাকে সব কথা খুলে বলে। পরে আরিয়ানের মা আরিয়ানকে ছবি ও ভিডিও ডিলিট করে দিতে বললে আরিয়ান সেগুলো ডিলিট করে দেয়। পরে ঐদিন মিথিলা বাসায় চলে আসে এবং আরিয়ানের সাথে আর কোন যোগাযোগ রাখেনা। কিন্তু ৩/৪ দিন পরে আরিয়ান মিথিলার ফেইজবুক মেসেঞ্জারে সেই ছবি পোষ্ট দিয়ে বলে সেগুলো সে অন্য জায়গায় রেখেছিল এবং মিথিলা যদি তার সাথে যোগাযোগ না রাখে তাহলে সে এগুলো ফেইজবুকে দিয়ে দিবে ও বিদেশে মিথিলার স্বামীর কাছে ও পাঠাবে। তারপর থেকে আরিয়ান মিথিলাকে ব্লাকমেইল করা শুরু করে এবং তার নিকট থেকে লক্ষ লক্ষ টাকা হাতিয়ে নিতে থাকে। সেই সাথে মিথিলাকে তার সাথে শাররিক সম্পর্ক করতে বাধ্য করে। মিথিলা আরিয়ানের কথামতো না চললে সে মিথিলার সন্তানকে গুম করা সহ তার ছবি ও ভিডিও গুলো সবার কাছে পৌছে দেয়ার হুমকি দেয়। এই ঘটনা গুলো মিথিলার স্বামী জানার পর তাদের সম্পর্ক নষ্ট হতে থাকে। একপর্যায়ে আরিয়ান মিথিলাকে বাধ্য করে তার স্বামীকে ডিভোর্স দিয়ে তাকে বিয়ে করতে এবং এভাবে তাদের বিয়ে হয়। বিয়ের পর আরিয়ান মিথিলাকে বনশ্রীতে একটা ফ্লাটে ভাড়া নিয়ে রাখে। কিছু দিন যেতে না যেতেই মিথিলার উপর শুরু হয় আরিয়ানের নির্যাতন। আরিয়ান মিথিলা কাছে ১০ লক্ষ টাকা দাবী করে। মাঝে মাঝে বন্ধুদের নিয়ে আসে এবং মদ ও জুয়া খেলার আয়োজন করে এবং বন্ধুদের সাথে মিথিলাকে দৈহিক সম্পর্ক করার জন্য নির্দেশ করে। মিথিলা রাজি হয় না বলে আরিয়ান তাকে প্রচন্ড মারধর করে গুরুতর আহত করে বাহিরে চলে যায়। মিথিলাকে আরিয়ান মোবাইলে ব্লক করে রাখে। ৫/৬ দিন পর্যন্ত আরিয়ানের কোন খোজ খবর পাওয়া যায় না। মিথিলা একদিন আরিয়ানের বন্ধুর মাধ্যমে জানতে পারে সে সানজিদা নামের একটা মেয়েকে নিয়ে কুয়াকাটায় হোটেল গ্র্যাভার ইন রুম নং ৩০৬-এ ফুর্তি করতে গেছে। কুয়াকাটা থেকে ফেরার পর আরিয়ানকে জিজ্ঞেস করলে সে রেগে উত্তেজিত হয়ে বাসা থেকে চলে যায় এবং ফেইজবুকে বাজে স্ট্যাটাস দেয়। অনেক রাতে বাসায় ফিরে আসে এবং বলে ১০ লাখ টাকা এনে না দিলে সে এমনই করবে। এ সময় মিথিলা বলে এতো টাকা সে কোথায় পাবে। তখন আরিয়ান মিথিলাকে তার জমি বিক্রি করে টাকা এনে দিতে বলে। এভাবে আরিয়ানের নির্যাতনের মাত্রা দিন দিন বাড়তে থাকে। মিথিলা খোজ নিয়ে জানতে পারে আরিয়ান একটা দুশ্চরিত্র, প্রতারক, মেয়ে লোভী ও অনেক মেয়ের সাথে দৈহিক সম্পর্ক রক্ষাকারী ব্যাক্তি। অনেক মেয়েকে এভাবে ইভেন্টের কথা বলে দৈহিক সম্পর্ক করে তাদের কাছে থেকে লক্ষ লক্ষ টাকা হাতিয়ে নেয়া তার পেশা ও নেশা। আরিয়ান একজন ইয়াবা, মাদক ব্যবসায়ী ও নারী পাচারকারী। আর একাজে তাকে পুর্নাঙ্গ সহযোগিতা করে সানজিদা ও সানজিদার স্বামী রাহাত মাহমুদ বাপ্পি।
আরিয়ান বিভিন্ন জায়গায় বিভিন্ন নামে সে পরিচিত। তার আইডি কার্ড ও পাসপোর্টে নাম কাউসার এবং কোথাও সোহাগ ও কোথাও আরিয়ান। আরিয়ানের ব্লাকমেইল ও নির্যাতনে মিথিলা মানসিক ও শারীরিক ভাবে অসুস্থ হয়ে কিছু দিন হাসপাতালে ভর্তি থাকে।মিথিলা আরিয়ানের মায়ের কাছ আরিয়ানের ব্যাপারে অভিযোগ করলে তার মা বলে তার ছেলে দেখতে খুব স্মার্ট, সে ইভেন্টের ব্যবসা করে তাই মেয়েদের সাথে সম্পর্ক না করলে কি ব্যবসা হবে? আরিয়ানের মা ইভেন্ট ব্যবসা বুঝুক আর না বুঝুক অন্তত এতটুকু বুঝেছে যে মেয়েদের সাথে সম্পর্ক থাকলে টাকা কামাই করা সহজ। তাই যত বেশী মেয়ের সাথে সম্পর্ক তত বেশী ব্যবসা। হিসাবটাতো খুবই সহজ এবং উত্তরটাও সবচেয়ে বেশী সহজ। তাই তিনি ছেলের এমন উন্নতিতে শতভাগ সমর্থন দিচ্ছেন। এক মেয়ে নিয়ে সব সময় সে পড়ে থাকলে কি ব্যবসা হবে। উত্তর সহজ এক মেয়ের সাথে পড়ে থাকলে মোটেও ব্যবসার উন্নতি হবে না। যেমন ভাবনা তেমন কাজ। সুতরাং বাবা আরিয়ানের তো বেশী বেশী মেয়ের সাথে সম্পর্ক থাকতেই হবে। কেন একটি মেয়ের সাথে সে পড়ে থাকবে। তা মোটেও থাকতে পারেনা। যত মেয়ে তত লাভ। সে কারনে মেয়েদের নিয়েই তার ব্যবসা। ব্যবসার প্রয়োজনে মেয়েদের সাথে সম্পর্ক ও যোগাযোগের দরকার হয়, মিশতে হয় ঘুরতে যেতে হয়। আর ছেলের অর্থ বা আয় রোজগারে বাবাও সন্তুষ্ট তাই বাবাও ছেলের ব্যবসার সমর্থন দিয়েই যাচ্ছেন। প্রয়োজনে যদি আরো সহযোগিতার দরকার হয় বাবা মা দুজনেই একমত। বাবা আরিয়ানের ব্যবসার প্রয়োজনে আরো টাকার দরকার। যেহেতু মিথিলার আগের স্বামী আনোয়ারের বিদেশ থেকে পাঠানো টাকা স্বর্নালঙ্কার জায়গা জমি রয়েছে তাহলে তো আর দেরী কি সেগুলো দিয়ে দাও আরিয়ানকে। আরিয়ানের মায়ের এমন প্রস্তাব মিথিলার কাছে। কর্কশ ভাষার এমন প্রস্তাবে মিথিলা তো আকাশ ভেঙ্গে এখন জমিনে মৃতপ্রায়। মিথিলার সাথে সে আর সংসার করবে না এবং নগদ ১০ লক্ষ টাকা না দিলে সে ছেলেকে অন্যত্র বিয়ে করাবে। এমন বাক্য বিনিময়ের সময় হঠাৎ ক্ষুদ্ধ হয়ে আরিয়ান ও তার মা মিথিলাকে গরম খুনতি দিয়ে শরীরে ছেকা দিয়ে বলে ৩ দিনের মধ্যে তাকে ১০ লাখ টাকা না দিতে পারলে এর ফলাফল ভালো হবে না। পরে মিথিলা নিরুপায় হয়ে রামপুরা থানায় গিয়ে আরিয়ানের নামে জিডি করে। জিডি নং-৭০৩। পরে মিথিলা তার আত্মীয়দের সাথে পরামর্শ করে কোর্টে গিয়ে ১৬/১১/১৭ তারিখে একটি যৌতুকের মামলা করে। মামলা নং-৩৯৫/১৭। এদিকে যৌতুকের মামলা হয়েছে শুনার পর ২২/১১/১৭ তাং দুপুরে আনুমানিক ১২ টায় আরিয়ান ও বাবা-মা বাসায় আসে এবং মামলা তুলে নিতে বলে এবং জায়গা জমি যা রয়েছে তা আরিয়ানের নামে লিখে দিতে চাপ সৃষ্টি করে, স্বর্নালঙ্কার ও নগদ ১০ লক্ষ টাকা না দিলে ছেলেকে অন্যত্র বিয়ে করাবে বলে মিথিলাকে হুমকি দেয়। তখন মা-ছেলে মিলে মিথিলাকে খুব মারধর করে। এ ঘটনায় মিথিলা গত ২৩/১১/১৭ তারিখে আবারও কোর্টে গিয়ে নারী ও শিশু নির্যাতনের মামলা করে। মামলা নং- ৩৯২/১৭। যৌতুকের মামলায় ১৭/১২/১৭ তারিখে আরিয়ান এবং তার পরিবার কোর্টে হাজিরা দিতে গিয়ে জজের সামনে আরিয়ান বলেন মিথিলাকে স্ত্রীর পুর্ন মর্যাদা দিয়ে তাদের বাসায় নিয়ে যাবে বলে উল্লেখ করে ফলে মিথিলার জিম্মায় আরিয়ান জামিন পায়। কিন্তু কোর্ট থেকে বেরিয়ে আরিয়ান মিথিলাকে তাদের সাথে গাড়িতে উঠিয়ে নিলেও অর্ধেক রাস্তায় গিয়ে মিথিলাকে গাড়ী থেকে নামিয়ে দিয়ে মামলা তুলে নেয়ার হুমকি দিয়ে চলে যায়। ফলে মিথিলা বাড্ডা থানায় গিয়ে আবার একটি জিডি করে। জিডি নং-১২০৯।
অনুসন্ধানে আরো জানা গেছে, আরিয়ানের গ্রামের বাড়ী টাঙ্গাইলের এমপির মেয়ের সাথে সম্পর্ক করে লক্ষ লক্ষ টাকা হাতিয়ে নেয়। এমপি এসব কিছু জেনে আরিয়ানকে লোকজন দিয়ে ধরে এনে বস্তা বন্ধি করে মারধর করে ৩/৪ দিন আটকে রাখলে আরিয়ানের মা-বাবা ছেলের জীবন ভিক্ষা চেয়ে তাকে ছাড়িয়ে আনে। এ ঘটনার পর গ্রামের বাড়ীতে আরিয়ানের যাওয়াটা কয়েক বছর পর্যন্ত বন্ধ ছিলো। আরিয়ানের ব্যবসা ধনাঢ্য পরিবারের বিবাহিত, অবিবাহিত মেয়েদের ফাঁদে ফেলে লক্ষ লক্ষ টাকা হাতিয়ে নেয়া। আর এ কাজে তাকে সহযোগিতা করে সানজিদা। আরিয়ানের মেয়ে ঘটিত এই বিষয়টি দীর্ঘদিনের, সে এই টার্গেট করেই প্রথমে ট্রাভেল জগতে আসে; কেননা একসঙ্গে এত মেয়ের সমীরহ এখানেই সহজ। আরিয়ানের সাথে সানজিদার সম্পর্ক দীর্ঘ দিনের। সানজিদার স্বামী থাকা সত্বেও সে আরিয়ানের সাথে বিভিন্ন আবাসিক হোটেলে মধুচন্দ্রিমা করে। কুয়াকাটায় হোটেল গ্র্যাভার ইনে ৩০৬ নং রুমে ৫ দিনের মধুচন্দ্রিমা মিথিলার সংসারকে তছনছ করে দিয়েছে। আরিয়ান ও সানজিদার কাছে সংসার কোন বিষয় না। ফাদে ফেলে লক্ষ লক্ষ টাকা হাতিয়ে নেয়াটাই তাদের প্রধান উদ্দেশ্য। ধনাঢ্য পরিবারের মেয়েদের খুজে বের করার দায়িত্ব থাকে সানজিদার হাতে। আর আরিয়ান প্রথমে গড়ে তোলে সুসম্পর্ক। পরে শুরু করে প্রতারণা। সানজিদার পাশাপাশি আরিয়ানের বাবা-মা’ এই সিন্ডিকেটের পরোক্ষ সদস্য বলে অনুসন্ধানে জানা গেছে। আরিয়ান ভাল মানুষ রুপে পর্দার আড়ালে মেয়ে ঘটিত রমরমা ব্যবসা করে যাচ্ছে। ভিআইপি লোকদেরকে মেয়ে সাপ্লাই দিয়ে এবং ধনাঢ্য পরিবারের মেয়েদের ফাদে ফেলে লক্ষ লক্ষ টাকা আফতাব নগরে রোড নং-৩, ব্লক-বি; রেডিয়্যান্ট শাপলার ৩/২ ফাট নং ১০ বাবার নামে একটি ফ্ল্যাট ক্রয় করেন। তারপর নিজেই নতুন ট্রাভেল গ্রুপ ওপেন করেন। যার নাম-“ঊীঢ়বফরধ ঞৎধাবষং” এই অফিসটি আফতাব নগরে তার ঐ ফ্ল্যাটেরই ঠিকানায়। আফতাব নগরে ফ্লাট ক্রয় করার আগে তার মতিঝিল এজিবি ব্যাংক কলোনীতে থাকতো। ঐ এলাকার লোকজনের মুখে মুখে আরিয়ান ও তার পরিবারের এমন অনেক ঘটনা শোনা য়ায়। আরিয়ান যখন কোন মেয়ে নিয়ে তাদের বাসায় যেতো তখন তার মা ছোট ভাইকে নিয়ে বাহিরে চলে যেয়ে ছেলেকে সুযোগ করে দিতো-মেয়েদের নিয়ে ফুর্তি করার জন্য। এটা বহুবার প্রমাণিত হয়েছে। আরিয়ানের টাঙ্গাইল মির্জাপুর থানার ইচাইল গ্রামে লোকজন থেকেও এ ধরনের খবরই জানা যায়, আরিয়ানের পুরো পরিবারটি লোভী ও প্রতারক। এলাকাবাসী জানায়, এমপি রানার মেয়ে আরিয়ানের প্রতারণার শিকার, তার এই কাহিনীর কারণে আরিয়ান ২/৩ বছর টাঙ্গাইল নিজ গ্রামে প্রবেশ করতে পারেনি। এরকম আরও বহুঘটনাই আছে টাঙ্গাইলের ইচাইল গ্রামে ও তার আশপাশে শোনা গেছে। আরিয়ান-“ঊীঢ়বফরধ ঞৎধাবষং” ওপেন করে সানজিদা নামের মহিলটিকে পরিচয় দেয় পার্টনার ও বান্ধবী হিসেবে। কিন্তু পর্দার আড়ালে নিজ স্বার্থে এই সানজিদাকে কখনো পার্টনার, কখনো বান্ধবী, কখনো আন্টি, আবার কখনো ওয়াইফ হিসেবে পরিচয়ে আরিয়ানের সাথে কাজ করে।
সানজিদা ১৫/১৬ বছর আগে থেকে বিভিন্ন পুরুষকে ফাদে ফেলে টাকা হাতিয়ে নিতো আর তাকে সহযোগিতা করতো তার স্বামী রাহাত মাহমুদ বাপ্পি। কিন্ত এখন স্বামী-স্ত্রী দুজনে মহা প্রতারক আরিয়ানের সাথে সিন্ডিকেট গড়ে চালিয়ে যাচ্ছে আর টাকার জন্য ভাঙ্গছে মিথিলাদের সংসার। সানজিদার ফাদে পড়ে আত্মহত্যা করে সায়ান। তার কিছুদিন যেতে না যেতেই সানজিদার বিয়ে হয় রাহাত মাহমুদ বাপ্পির সাথে। বিয়ের পরেও থেমে থাকেনি সানজিদার প্রতারণা। স্বামীর সহযোগিতায় চালিয়ে যায় ব্যবসা। কিন্তু আরিয়ানকে পাওয়ার পর সানজিদা নতুন ভাবে সায়ানকে খুঁজে পায় বলে তার নিজ মুখে স্বীকারোক্তি। সানজিদা একজন কুচক্রি স¦ার্থবাদী, নোংরা মহিলা, সে নিজেকে সম্মানীত ও সতীসাবীত্রি নারী বলে দাবী করলেও সে নারী নামের কলংক!!! সে নিজের স্বার্থের জন্য অন্যের ঘর সংসার ভাঙতেও দ্বিধাবোধ করে না। আরিয়ানের বিবাহিত জীবনের সুখ দেখে সানজিদা হিংসায় জ্বলে য়ায়। তার পরিণতি-ডিভোর্স পর্যন্ত চলে যায়। আরিয়ানকে সাথে নিয়ে সানজিদা নিজে কোর্টে যায় ও নিজ পকেটের টাকা খরচ করে আরিয়ানকে ডিভোর্স করায় এবং তার পথের কাটা সরিয়ে দেয়। যাতে তারা একত্রে আনন্দ ফুর্তি করতে পারে। এভাবেই আরিয়ান সিন্ডিকেটটি বহু পুরুষ ও ধনাঢ্য পরিবারের মেয়েদের ফাদে ফেলে হাতিয়ে নিচ্ছে লক্ষ লক্ষ টাকা। তাই আইন প্রয়োগকারী সংস্থার দৃষ্টি আকর্ষন যেন আরিয়ান চক্রের অপরাধ তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা গ্রহন করা হয়।

১ম ও ২য় পর্বের সংবাদ প্রকাশিত হওয়ার পরে সানজিদার রুদ্রমুর্তি আরো বেশী ভয়ানক রুপ ধারন করেছে। সানাজিদা ও তার আসল স্বামী রাহাত মাহমুদ বাপ্পি সংবাদটিকে মিথ্যে,বানোয়াট ও ভিত্তিহীন উল্লেখ করে প্রতিবাদ জানিয়েছে এবং সংবাদ প্রকাশের কারন দর্শানো মর্মে লিগ্যাল নোটিশের মাধ্যমে অপরাধ বিচিত্রার সম্পাদক সহ অনুসন্ধানী ঈগল টিমকে হুমকি প্রদান করেছে। অপরাধ বিচিত্রা কর্তৃপক্ষ কোন অপরাধীর চক্রের নিকট কারন দর্শাতে বাধ্য নহে। সানজিদার এই প্রতিবাদটির তীব্র নিন্দা জানাচ্ছি। সে পএিকায় ছাপানো সমস্ত তথ্য মিথ্যা ও বানোয়াট প্রমাণিত করে নিজেকে সাধু ও সতিসাদ্ধি বানানোর চেষ্টা করছে, এমন ভাব ভাজা মাছটি যেন উল্টে খেতে জানে না, সে যদি নিজেকে নির্দোষ মনে করে তাহলে প্রমান করে দেখাক… অক্টোবর মাসের ১৮ তাং হতে ২২ তাং পর্যন্ত সে ও আরিয়ান স্বামী স্ত্রীর পরিচয়ে কুয়াকাটায় হোটেল গ্রাভইনে ৩০৬ নং রুমে ৫ দিনের জন্য ফুর্তি করতে গিয়েছিলেন। যার বৈধ ডুকমেন্ট আমাদের কাছে রয়েছে। একটা রিলেশন কতটা অন্তরঙ্গ হলে একজন মহিলা তার স্বামীর অনুপস্থিতিতে পরপুরুষ আরিয়ানকে একাধিক বার বাসায় ডেকে রাত কাটাতে পারে এবং উনার কিচেনে যেয়ে ওই মহিলাকে রান্না করে খাওয়ায়, ছবি কথা বলে। তার ভালবাসার বিশ্বাসী স্বামী থাকার পরও সে আরিয়ানের সাথে ফুর্তি করতে বাহিরে যায়, যেখানে ওর এত ভালবাসার বিশ্বাসী স্বামীকে নিয়ে যাওয়া হয় না, সে স্বামী ছাড়া আরিয়ানের সাথে একা গেলো কেন? তাহলে বাংলাদেশে স্ত্রী দিয়ে অনেক স্বামী ব্যবসা করে খায়… তার মধ্যে সানজিদা একজন? সানজিদা নিজেকে সতী, ভদ্র বলে দাবী করেন, এবং তারা সুখী পরিবার বলে দাবী করেন। তাহলে সে পরপুরুষের সাথে রাত কাটায় কিভাবে? সে নিজে যদি সুখী হতো তাহলে অন্য মেয়ের সংসার ভাঙার জন্য নিজে কোর্টে যেয়ে ডিভোর্সের টাকা নিজের পকেট থেকে দিলো কিভাবে? এটা কি একজন ভাল ও সতী নারীর রুপ ? তার নিজের লেখা স্বীকারোক্তি এখানে দেওয়া হলো এবং আরও অনেক তথ্য আছে, যা ভবিষ্যতের প্রয়োজনে সংরক্ষিত রাখা হলো। “আরিয়ানের বোনও এমনি কর্মকান্ড করে অন্য ছেলেদের কাছ থেকে টাকা নেয়, আর এই কাজে সাহায্য করে ওর মা এবং আরিয়ান নিজে, আর এভাবে ওদের ফ্যামিলি চলে। ওর বোনও পড়ালেখার আড়ালে এভাবে ছেলে শিকার নিয়ে ৩/৪ দিনের জন্য ঢাকার বাহিরে যায়, তারপর ফুর্তি শেষে ভাল আয় করে ফিরে আসে। আর এসব কিছুর পিছনে সবচেয়ে বেশী অবদান ওদের শ্রদ্ধার আম্মু, পৃথিবীতে এমন ফ্যামিলি ও মা, বাবা, ভাই সত্যি খুব বিরল। তবে সানজিদার আসল উদেশ্য শুধু রং তামাশাই নয়, বরং বিভিন্ন ধনাঢ্য পরিবারের মেয়েদেরকে ফাদে ফেলে লক্ষ লক্ষ টাকা হাতিয়ে নেয়া এটাই মুলত আরিয়ান ও সানজিদার মুল টার্গেট। আর এদের মধ্যে ত্রিশ লাখ টাকা হাতিয়ে নেয়া একটা শিকার প্রবাসীর স্ত্রী মিথিলা।

Print Friendly, PDF & Email

মন্তব্য করুন

Please enter your comment!
Please enter your name here

3 × one =