হবিগঞ্জে সাংবাদিক নির্যাতনকারী ওসি মোঃ ইয়াছিনুল হক এর তান্ডব লীলা

0
989

“পুলিশই জনতা, জনতাই পুলিশ”, এই কথা বাংলাদেশ পুলিশের মূলনীতি থাকলেও হবিগঞ্জ সদর মডেল থানার ওসি ইয়াছিনুল হক আছেন এই শ্লোগানের বিপরীত মুখী। একজন পুলিশ অফিসারের কারণে পুলিশ বাহিনীর সুনাম নষ্ট হইতে পারে না। ওসি সাহেব যেমন কথা বলেন, তেমনি কাজ করেন। ওসি বলেছিলেন প্রতিনিধিকে এক ডজন মামলার আসামী করবেন। তারই ধারাবাহিকতায় অদ্যাবধি পর্যন্ত প্রতিনিধির বিরুদ্ধে যে ৪টি মিথ্যা ও কাল্পনিক মামলা করাইয়াছেন তাই উক্ত সংবাদ পত্রে উল্লেখ করা হইল।
হবিগঞ্জ প্রতিনিধি বিগত ০৮/১২/২০১৬ইং তারিখে তাহার ভাতিজী মোছাঃ হাজেরা খাতুন সাংসারিক ঝামেলার কারণে স্বামী ও শাশুড়ীর বিরুদ্ধে হবিগঞ্জ সদর মডেল থানায় ওসি বরাবরে একখানা এজাহার দায়ের করেছিলেন। অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে হবিগঞ্জ প্রতিনিধি বিগত ১০/১২/২০১৬ ইং তারিখে উক্ত অভিযোগ সম্পর্কে খোঁজ নিতে চাহিলে ওসি প্রতিনিধি এর সঙ্গে খুবই খারাপ আচরন করেন। পরবর্তিতে প্রতিনিধি মাননীয় ডিআইজি সিলেট রেঞ্জ ও পুলিশ সুপার হবিগঞ্জ বরাবরে ওসির বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করিলে ওসি প্রতিনিধির উপর ভীষণ ভাবে ক্ষিপ্ত হন।

উক্ত আক্রোশের ধারাবাহিকতায় বিগত ৩১/০৩/২০১৭ ইং তারিখে সদর উপজেলার লুকড়া গ্রামের আব্দুল আওয়াল ওরফে কালাই মিয়াকে বাদী করিয়া একটি মিথ্যা ও কাল্পনিক ঘটনা সাজাইয়া প্রতিনিধির বিরুদ্ধে জি.আর. মামলা নং-১১৫/১৭ ইং দায়ের করাইয়া প্রতিনিধিকে গ্রেফতার করিয়াছিলেন। পরিপ্রেক্ষিতে প্রতিনিধি হবিগঞ্জ জেলা কারাগারে থাকা সত্ত্বেও বিগত ০৪/০৪/২০১৭ ইং তারিখে লুকড়া গ্রামের ইউনুছ আলীকে বাদী করিয়া আরেকটি মিথ্যা মামলা দায়ের করেন। যাহার সি.আর মামলা নং-১৯৯/১৭ ইং। বিগত ১০/০৪/২০১৭ ইং তারিখে রিচি গ্রামের আলমগীর মিয়াকে বাদী করিয়া আরেকটি মিথ্যা ও কাল্পনিক মামলা করান, যার সি.আর. মামলা নং-২২২/১৭ ইং। প্রতিনিধি উক্ত মামলাগুলোতে মাননীয় বিজ্ঞ আদালতে হাজির হইয়া জামিনে আছে। প্রতিনিধির বিরুদ্ধে ৩টি মামলা করানোর পরও ওসি ইয়াসিনুল হক ক্লান্ত হননি। সর্বশেষ বিগত ১০/০৪/২০১৮ ইং তারিখে বড় বহুলা গ্রামের একটি নষ্ট মেয়ে কল্পনা আক্তার পারভিন (যার ইতিপূর্বে ৩/৪টি বিবাহ হয়েছে), সেই মেয়েকে দিয়ে বাদী বানিয়ে প্রতিনিধির বিরুদ্ধে নারী ও শিশু নির্যাতন ট্রাইব্যুনাল হবিগঞ্জে আরেকটি মামলা দায়ের করান। যার মামলা নং-৩৫৮/১৮ বিজ্ঞ আদালত ওসি হবিগঞ্জকে তদন্ত প্রতিবেদন দেওয়ার জন্য নির্দেশ প্রদান করেন। মামলাটি ওসি ইয়াসিনুল হকের কাছে তদন্তাধীন রহিয়াছে। মামলাটি প্রতিনিধি ন্যায় বিচার থেকে নিশ্চিত বঞ্চিত হইবে মাননীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী, মাননীয় স্বরাষ্ট্র সচিব এবং পুলিশের আইজিপি মহোদয় বরাবরে লিখিত আবেদন করেন। হবিগঞ্জ সদর মডেল থানার ওসি ইয়াসিনুল হক প্রতিনিধির বিরুদ্ধে কোন রকম তদন্ত ছাড়াই ইতিপূর্বেও ২টি মামলার প্রতিবেদন দাখিল করিয়াছেন এবং মিথ্যা কাল্পনিক ৪টি মামলা করাইয়াছেন, যাহা ওসি ইয়াসিনুল হক আন্ডারগ্রাউন্ডে থাকিয়া পরিচালনা করিতেছেন। আরও বিভিন্ন মামলা মোকদ্দমায় প্রতিনিধিকে জড়াইতে পরিবারের যেকোন সদস্যকে যেকোন সময় ভাড়াটিয়া খুনীদেরকে দিয়ে খুন করাইতে পারেন। ওসি ইয়াসিনুল হক সম্পর্কে যতটুকু তথ্য পাওয়া গেল পরবর্তীতে আরও তদন্ত সাপেক্ষে প্রমাণ সহ নিউজে আসবে।
কেন পারবেন না ওসি ইয়াসিনুল হক বিগত ২০০১ সালে বাংলাদেশ পুলিশ বাহিনীতে যোগদান করার পর হইতে অদ্যাবধি পর্যন্ত যে গুলো জেলায় চাকুরী করিয়াছেন তাহার চরিত্র ও তাহার দুর্নীতি সম্পর্কে উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ নিরপেক্ষ তদন্ত করিলে ওসির দুর্নীতির প্রমাণ পাওয়া যাবে। কারণ তাহার বাড়ী বি.বাড়ীয়া জেলায় তাহার দুর্নীতি ও চাঁদাবাজির কৌশল আগে থেকেই জানা ছিল। হবিগঞ্জ প্রতিনিধিকে নির্যাতনের পর গত ০১/০৬/২০১৮ ইং রোজ শুক্রবার ভোররাতে ওসি ইয়াছিনুল হক এর নির্দেশে সদর মডেল থানা পুলিশ অফিসারগণ সম্মলিতভাবে হবিগঞ্জ চ্যানেল এস জেলা প্রতিনিধি সিরাজুল ইসলাম জীবনকে ঐ রাতে আটক করে রাতভর চোখ বেঁধে মারধর করেছে এবং ২ লক্ষ টাকা চাঁদাদাবী করিয়াছে। চাঁদা টাকা না দেওয়ার কারণে মডেল থানার পুলিশ এই সময় সিরাজুল ইসলাম জীবন এর পায়ূপথে জ্বলন্ত মোমবাতির ফোটা ফেলে আগুনের ছ্যাকা দিয়ে নির্যাতন করা হয়েছে এবং ইয়াবা বিক্রির মিথ্যা অভিযোগে তাকে গ্রেফতার করা হইয়াছে। বাংলাদেশ মফস্বল সাংবাদিক ফোরামের পক্ষ থেকে তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানানো হয়েছে। শুক্রবার রাত সাড়ে ৯টায় এ প্রতিবাদ বিবৃতিতে সাংবাদিক নির্যাতন ঘটনার সাথে জড়িত পুলিশের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি করেছে। বর্তমানে সাংবাদিক সিরাজুল ইসলাম জীবন হবিগঞ্জ আধুনিক সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ভর্তি আছে।

Print Friendly, PDF & Email

মন্তব্য করুন

Please enter your comment!
Please enter your name here

six + 3 =