সংরক্ষক যখন ভক্ষক বন বিভাগের মিথ্যে মামলা দশমিনার কয়েকজন নিরিহ জনগণ ভোগান্তির শীকার

0
721

ফয়েজ আহমেদ দশমিনা প্রতিনিধি॥
উপকূলীয় বন বিভাগ পটুয়াখালীর দশমনিা রেঞ্জ কর্মকর্তা বন রক্ষক না বন ভক্ষক, তা জনমনে প্রশ্নাকারে দেখা দিয়েছে। এছাড়াও বন বিভাগের বিভিন্ন মামলা মোকদ্দমা টাকার বিনিময়ে মুর্হুতেই মোড় ঘুড়িয়ে নিরিহ মানুষের উপরে মিথ্যে মামলার দায় চাপানোর ফলে,ঐ সকল জনসাধারণ রয়েছে চরম ভোগান্তিতে।
দশমিনা রেঞ্জের ভারপ্রাপ্ত কর্মমকর্তার দায়ের করা মোকদ্দমা (০২-দশ-অব/০১-হায়দার, সি/আর- ১৫৫/১৮) বিবরণে জানা গেছে, উপজেলার চর হায়দার এলাকার সংরক্ষিত বন ভূমিতে অনধিকার প্রবেশ করে বাড়ীঘর নির্মাণ ও বনভূমি জবর দখলের অপচেষ্টা করছে মর্মে দশমিনা উপজেলার মৃত ইয়াছিন মৃধার ছেলে মোঃ সুলতান, মৃত হাসেম বেপারীর ছেলে মোঃ আজাহার বেপারী, মোঃ বাদশা মিয়ার ছেলে মোঃ আনিছ, মোঃ ইমন হোসেন বেপারীর ছেলে মোঃ মনির বেপারী, আজাহার চৌকিদারের ছেলে কবির চৌকিদার, সেকান্দার হাওলাদারের ছেলে নেছার উদ্দিন, মোঃ আজাহার বেপারীর ছেলে মোঃ রফিজ ব্যাপারী, বাউফল উপজেলার ফজলুল হক প্যাদার ছেলে মোঃ ফারুক প্যাদা, আঃ রব হাওলাদারের ছেলে মোঃ মনির হাওলাদার, ভোলা জেলার লালমোহন উপজেলার মোঃ অজুত আলী মাঝির ছেলে মোঃ জলিল মাঝি ও হাফেজ মাস্টারের ছেলে শাহআলম মাস্টার চরহায়দার মৌজার জেএল নং- ১৪৪ সিট নং- ১, ২ এর ২২৯৫ একর জমি মধ্যে দখল করে বাড়িঘর নির্মাণ করে বিভিন্ন প্রজাতির গাছ কেঁটে বনের ক্ষতি সাধান করেছে। এদিকে আসামী পক্ষের অভিযোগ দশমিনা রেঞ্জ কর্মকর্তা কিছুদিন পূর্বে ডাল কর্তণ অনুমতি নিয়ে দক্ষিণ দাসপাড়া এলাকায় মূল্যবান ৩২টি আকাশমনি ও শিশু গাছ গোড়াসহ কর্তণ করে বিক্রির উদ্দেশ্যে গছানী স্ব-মিলে জমা করে। ওই গাছ স্থানীয় উপকারভোগীরা বাধসাদলে ঘটনাটি ভিন্নখাতে প্রবাহিত করার জন্য এই মিথ্যে মামলা দায়ের করেছেন। আসামীরা আরো বলেন,আমরা কোন কখনই চর হায়দার অনাধীকার প্রবেশ করিনাই। আমারাসহ উপজেলার ভূমিহীন কৃষকরা চর আজমাইন মৌজার জেএল নং- ১৫২/১৪৪ সিট নং- ১, ২ এর সরকারের বন্দোবস্ত পাইয়া একাধিক কেস নাম্বারে প্রতি নামে দেড় একর হারে জমি পত্তন নিয়ে ভোগদখলে আছি। চর আজমাইনে চাষাবাদ করে ফসল ফলাই। বিভিন্ন সময়ে বন কর্মকর্তা বিভিন্ন অজুহাতে মামলা মোকদ্দমার ভয় দেখিয়ে অর্থ আদায় করে থাকে। চর আজমাইন ও চর হায়দার এক নাকি দুই খন্ড চর সেটা ভূমি অফিস ভাল বলতে পারবে। ভূমি অফিসের সাথে কোন প্রকার যোগাযোগ না করে বন বিভাগ নিজেদেরমতো করে অন্যায় ভাবে দাবী তুলে এবং মিথ্যে সৃজনকরে আমাদেরকে হয়রানী করছে। ইতিমধ্যে বন বিভাগের মধ্যে বহমান খালে হাজার হাজার ঝাউ গাছ রোপন করেছে। এসব ঝাউ নির্মাণে বনের গাছ উজাড় করা হয়। একটি চক্র প্রায় বহু বছর যাবৎ বন কর্মকর্তার সাথে অবৈধ যোগাযোগে বন উজাড় করে আসছে। যাহা কতৃপক্ষ সরেজমিনে পরিদর্শণে আসলে এর ব্যাপক প্রমান পাবে। আসামীরা এ প্রতিবেদককে বলেন, আমাদের দাবীকৃত চরের ম্যাপে যদি ভূল-ত্রুটি থাকে তাহা ভূমি অফিস। অহেতুক আমাদের বিরুদ্ধে একের পর এক মিথ্যে মামলা দায়ের এবং হায়রানী বন্ধে মাননীয় প্রধনমন্ত্রী ও বন বিভাগের বিশেষ দৃষ্টি কামনা করছি।
এ ঘটনায় মুঠোফোনে দশমিনা রেঞ্জ কর্মকর্তা মোঃ আবুল কালাম আজাদ ঈশা বলেন, চর হায়দার বন কেন্দ্রের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোঃ গোলাম মোস্তফা ঘটনা যেভাবে লিখে পাঠিয়েছেন, আমি সেই লেখা গুলোই সরকার পক্ষে আদালতে উপস্থাপন করেছি মাত্র। এর বেশি কিছু আমার জানা নাই। আসামীদের দাবীকৃত বক্তব্য বিষয়ে তিনি আরও বলেন, চর হায়দারে আমি কখনো চাকুরী করি নাই। চর আজমাইন, গাছ কেঁটে ঝাউ সৃষ্টি বিষয়ে তার কিছু জানা নেই বলে এ প্রতিনিধিকে জানায়।

Print Friendly, PDF & Email

মন্তব্য করুন

Please enter your comment!
Please enter your name here

four × one =