মোঃ আখতার রহমানঃ বাবার বাড়ীতে এবাবের ঈদ হলো না গৃহ বধু তিশামনির। ঈদের আগে জামাইয়ের বাড়ি থেকে মেয়েকে নিয়ে আসার কথা বলেছিল তিশামনির পরিবার পরিবার। ঈদের পরদিন পাঠাবেন বলে জানিয়েছিলো স্বামীর পরিবার। সেই কথা মতে স্বামীর বাড়ি থেকে মেয়েকে নিয়ে আসার জন্য সেখানে যাবেন, তার বড় দুলাভাই, ছোট বোন ও ভাই। মায়ের সাথে এ কথা হয় সকাল ৭টায়। আর একইদিন সকাল সাড়ে ৮টায় মুঠোফোনে খবর আসে মৃত্যুর। রহস্যজনক মৃত্যুর ঘটনা ঘটেছে গৃহবধুর স্বামীর বাড়িতে। গত রোববার (১৭/০৬/২০১৮) রাজশাহীর চারঘাট উপজেলার ডাকরা গ্রামের রিফিউজি পাড়ায় মৃত্যুর এ ঘটনা ঘটে। সেখানে লাশের সুরতহাল রিপোর্ট তৈরি করে ময়না তদন্তের জন্য রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল মর্গে পাঠায় চারঘাট থানা পুলিশ। রাত সাড়ে ৭টায় বাবার পারিবারিক কবরস্থানে দাফন করা হয়।
গৃহবধু তিশামনি (১৯)’র বাবার বাড়ি জেলার বাঘা উপজেলার তুলশিপুর গ্রামে। বাবা (গৃহবধু) দুলাল হোসেন জানান, দেড় বছর আগে দেড়লক্ষ টাকা মোহরানা ধার্য করে তার মেয়েকে বিয়ে দেন চারঘাটের ডাকরা গ্রামের রিফিউজি পাড়ার মজের মন্ডলের ছেলে হেলাল উদ্দীনের সাথে। বিয়ের পরে ১ লক্ষ টাকা যৌতুক দিয়েছেন তিনি। জামাই হেলালের দাবি ছিলো আরো ৫০ হাজার টাকার। এ টাকা দিতে না পারায় মাঝে মধ্যে তার মেয়েকে নির্যাতন করতো হেলাল। হত্যার সন্দেহ দাঁনা বেঁধেছে, মৃত্যুর পর হেলাল ও তার পরিবারের লোকজনকে বাড়িতে না দেখে। তার দাবি তার মেয়েকে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করে আতœহত্যার নাটক সাজিয়েছে হেলাল ও তার পরিবার। মুঠোফোনে মৃত্যুর খবর পেয়ে সেখানে যাওয়ার পর শয়ন কক্ষের বারান্দায় নিথর মরাদেহ শোয়ানো অবস্থায় দেখেন তিশামনির পরিবার। এসময় হেলালের মা ছাড়া বাড়িতে আর কাউকে পাননি। এ বিষয়ে হেলালসহ তার বাবা-মা ও দুইভাইকে আসামী করে হত্যা মামলা দায়ের করছেন বলে জানিয়েছেন তিশামনির বাবা দুলাল হোসেন। কথা বলার জন্য হেলাল ও তার মা বুলবুলির মুঠোফোনে যোগাযোগ করে তাদের ফোনটি বন্ধ পাওয়া গেছে। চারঘাট মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) নজরুল ইসলাম এর সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, মামলায় অভিযুক্তরা পলাতক রয়েছে। গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে। তবে ময়না তদন্ত রিপোর্ট পেলে হত্যার পোপন রহস্য জানা যাবে।