চট্রগ্রামের ভুয়া সাংবাদিক শায়েক হোসেনের অপকর্মের চাল-চিত্র

0
1467

স্টাফ রিপোর্টারঃ কালের বিবর্তনে যুগে যুগে মানব  সমাজে প্রতারক চক্রের চাল-চিত্র দিন দিন বেড়েই চলছে।  তথ্য-প্রযুক্তি এবং আইনের শাসনামলে সমাজের রন্দে রন্দে ঘাপ্টি মেরে থাকা এসব ঠক প্রতারক লম্পট বদমাইশের দল ক্রমাণয়ে বৃদ্ধি পাচ্ছে। দেশের বিভিন্ন জেলা শহরে সাংবাদিক পরিচয়ে এমনই কিছু কথিত এবং ভূঁয়া সাংবাদিক সহ ঠক প্রতারক এবং ভন্ডদের নাম অনুসন্ধানে উঠে আসছে। চট্রগ্রামের ভুয়া সাংবাদিক শায়েক হোসেন তাদের মধ্যে অন্যতম। তার প্রতারনা ও অপকর্মে অতিষ্ঠ নগরবাসী। অভিনব কৌশলে চুরি থেকে শুরু করে হাজারো অপকর্মে উজ্জল দৃষ্টান্ত এই ভুয়া সাংবাদিক শায়েক হোসেন। অনুসন্ধানে উঠে এসেছে তার অপকর্মের সকল চিত্র।

 

জানা গেছে চট্টগ্রাম জেলা হাটহাজারি থানা এলাকায় শায়েক হোসেন নামের এক প্রতারকের বিরুদ্ধে বাকরুদ্ধকর অভিযোগ উঠেছে। এতে কথিত সাংবাদিক শায়েক হোসেন নগরীর বিভিন্ন ব্যবসায়ী ও ধনাঢ্য ব্যক্তিদেরকে সাংবাদিক পরিচয় দিয়ে মানুষের সাথে প্রথমে সু-সম্পর্ক গড়ে তোলেন পরে তাদের সাথে থেকে অভিনব কৌশলে টাকা-পয়সা এবং মালা-মালের অবস্থান সম্পর্কে রেকি করে আসে। এক সময় সুযোগ বুঝে টাকা-পয়সা না পেলেও দামী দামী মালা-মাল চুরি করে নিয়ে আসে বলে সূত্রে জানা যায়। এবিষয়ে হাটহাজারি থানার ওসি এ প্রতিনিধিকে বলেন কিছুদিন পূর্বে আমি জানতে পারি যে, চেরাগী পাহাড়স্থ বঙ্গবন্ধু ভবনের তৃতীয় তলার সিটিজি টিভির অফিস থেকে হাটহাজারির শায়েক হোসেন নামের এক কুখ্যাত চোর ল্যাবটপ কম্পিউটার, ভিডিও ক্যামেরা সহ দামী দামী মালা-মাল চুরি করে নিয়ে যায়। এতে প্রায় আড়াই লক্ষ টাকা মূল্যের মাল-মাল খোয়া যায় বলে জানা যায়। এতে ক্ষতিগ্রস্থের পক্ষ থেকে শায়েকের বিরুদ্ধে চুরির মামলা করবেন বলেও জানান হয়। এদিকে নগরীর বায়েজিদ থানা এলাকার রেখা চৌধুরী নামের আর এক কথিত ও ভূঁয়া সাংবাদিকের চাঞ্চল্যকর তথ্য ফাঁসের খবর শুনে সাংবাদিক নেতা সহ সচেতন মহলে হই-চৈ পরে যায়। জানা যায় রেখা চৌধুরী এস,এস,সি পাস না করেও নিজে একজন প্রতারক হয়ে ভূঁয়া ম্যজিষ্ট্রেট সেজে ভেজাল নকল প্রতারণা বিরুধী অভিযান পরিচালনা করতে গিয়ে নিজ এলাকা চকরিয়ায় পুলিশের হাতে গ্রেপ্তার হয়। এতে দুইমাস জেল খেটে জামিনে মুক্তি পেয়ে কলগার্ল হিসাবে নগরীর বিত্তবানদের সাথে সখ্যতা গড়ে তোলেন। এসময় নগরীর সকল নারী পিপাসু খদ্দেরের চাহিদা একা মিটাতে না পেরে কক্সবাজার ও টেকনাফ এলাকা থেকে রোহিঙ্গা যুবতীদের নিয়ে এসে বায়েজিদের তারা গেইট এলাকাতে পতিতা/দেহ ব্যবসার পাশাপাশি ইয়াবা ব্যবসা শুরু করে। এসময় ইয়াবা এবং দেহ ব্যবসা জমজমাট হয়ে উঠার মাঝখানে রেখার স্বামী পারভেজ শেখ প্রায় পাঁচশত পিচ ইয়াবা নিয়ে র‌্যাবের হাতে গ্রেপ্তার হয়। তবে দেশে মাদক বিরোধী অভিযানে ইয়াবার ব্যবসা মন্দা গেলেও রেখা চৌধুরী দেহ ব্যবসা এখন রমরমা চলছে বলে জানা যায়। এবিষয়ে জানতে চাইলে বায়েজিদ থানার ওসি এ প্রতিনিধিকে বলেন, রেখা এবং তার স্বামী পারভেজ শেখের বিষয়ে আমাদের আমলে আছে, ইতিমধ্যে আমার সিভিল টিমকে বলে রেখেছি যে বায়েজিদ থানাধিন যত অবৈধ কালো বাজারি আছে সবাইকে আইনের আওতায় এনে সমাজকে কলঙ্ক মুক্ত করতে আমরা বদ্ধপরিকর। এদিকে খোঁজ নিয়ে জানা গেছে রেখা চৌধুরী কোন সময় কোন পত্রিকার সাংবাদিক ছিলেন না, যার হাত ধরে রেখা এই জঘন্য পথে আসছে সে হল চট্টগ্রামের কুখ্যাত জামাতের ক্যাডার ও অন্ধকার জগতের মূল হোতা নূরুল আবছার আনছারি। জানা যায় নূরুল আবছার আনছারির বিরুদ্ধে চট্টগ্রামের বিভিন্ন থানা আদালতে তথ্য প্রযুক্তি আইন সহ বিভিন্ন ধরনের ১৭টি মামলা রয়েছে, বর্তমানে সে চান্দগাঁও থানা-পুলিশ কতৃক আটক হয়ে চার মাস যাবৎ চট্টগ্রাম সেন্টার জেলে কারাবাস করছেন। তবে নূরুল আবছার আনছারিকে জামিনে মুক্ত করার জন্য রেখা চৌধুরী এবং তার স্বামী পারভেজ শেখ বিভিন্ন মানবাধিকার সংগঠন ও প্রভাবশালী রাজনৈতিক নেতাদের দ্বারস্থ হওয়ার খবর পাওয়া গেছে। এদিকে রাজধানী ঢাকা সহ দেশের বিভিন্ন জেলা শহর বরিশাল পটুয়াখালী এবং কুমিল্লা নোয়াখালী এলাকায় ভূঁয়া কথিত সাংবাদিকের উৎপাত বেড়ে-ই চলছে। এতে প্রতারিত হচ্ছে সমাজের নিরীহ ও গরীব শ্রেণীর মানুষ। তবে ভূঁয়া সাংবাদিক রেখা চৌধুরীর ইয়াবা ও পতিতা/দেহ ব্যবসার বিরুদ্ধে এলাকাবাসি মানব বন্ধন ঝাড়– মিছিল করবে জানা গেছে। এদিকে ঢাকা জেলার গাজীপুর এলাকায় শুভ্র বিশ^াস ৪০ কালের দহন পত্রিকা, দৈনিক এশিয়া বাণী ও মিজানুর রহমান বর্তমান বাংলাদেশ টুয়েন্টি ফোর ডটকম ও প্রথম বার্তার সুমন হোসেন সহ অপরাধ সন্ধানে, প্রাণের বাংলাদেশ নামীয় নাম সর্বস্ব পত্রিকার আব্দুল্লা আল মামুন নামের এক কথিত সাংবাদিকের নাম অনুসন্ধানে জানা যায়। সাংবাদকি পরিচয়ে এরা বিভিন্ন এলাকায় অবৈধ স্থাপনা থেকে মাসোহারা ও মোটা অংকের অর্থ আত্মসাৎ করার অভিযোগ উঠেছে। জানা যায় আব্দুল্ল আল মামুন তদ্বীর পার্টির দালাল হিসাবে অনেক লোকের চাকরি দবিার নাম করে প্রতারনা করলে কিছু দিন পূর্বে গণধোলাইয়ের শিকার হয়। এব্যপারে খোঁজ নিয়ে জানা গেছে যে, আব্দুল্লা আল মামুন তার বর্তমান অবস্থান পরিবর্তন করে আপদত গা-ঢাকা দিয়েছেন। এদিকে কুমিল্লা জেলার আলোচিত প্রতারক আব্দুল কাদের অপুর বিরুদ্ধে অভিযোগের কোন অন্ত নেই। এছাড়া লক্ষীপুরের প্রতারক মোঃ আলীর প্রতারনা দিন-দিন বেড়েই চলছে বলে জানা যায়। মোঃ আলীর বিরুদ্ধে একাধিক জাতীয় ও আঞ্চলিক পত্রিকায় সংবাদ ছাপা হলেও রহস্য জনক কারণে সংশ্লিষ্ট কতৃপক্ষের যেন টনক-ই নড়ছে না। এদিকে চট্টগ্রামে অনুমোদনহীন একটি পত্রিকা সিটিজি পোষ্ট এর কথিত সম্পাদক স,ম, জিয়ার নাম মানুষের মুখে মুখে শোনা যায়। এই প্রতারকের একটু ভিন্ন কৌশল সম্মন্ধে আবিস্কার করেছে অনুসন্ধানী দল। জানা যায় স,ম জিয়া কখনো সাংবাদিক বা সম্পাদক পরিচয়ে জেলার প্রতিটি থানা-উপজেলা এলাকায় চষে বেড়ায় এবং বিভিন্ন সমাজ পতিদের লোভ দেখিয়ে ক্রেস বাণিজ্য করে দাবড়িয়ে বেড়াচ্ছে। মানুষের মাথায় ঠকের বোঝা তুলে দিয়ে আঙ্গুল ফুলে কলাগাছ বনে গেছে। এদিকে বরিশাল শহরে রেজিষ্ট্রশন বিহীন মটর সাইকেলে সাংবাদিক ষ্টিকার লাগিয়ে দাবড়িয়ে বেড়াচ্ছে শফিকুল ইসলাম প্রকাশ শফিক। জানা যায় শফিকের বড় ভাই সাইফুল ইসলাম প্রকাশ তুহিন বিএনপির সংস্কার পন্থী ও আন্তজেলার একজন মাদক স¤্রাট, তার ছোট ভাই সুমনের বিরুদ্ধে।

Print Friendly, PDF & Email

মন্তব্য করুন

Please enter your comment!
Please enter your name here

four × 5 =