ফুটপাতের রাজ্য ঢাকা

0
882

তাসমিয়া জেসমিনঃ
বাংলাদেশের রাজধানী ঢাকা শহর । এখানে দেশের মোট জনসংখ্যার অর্ধেকের বেশি লোক বাস করে। আর তাই ঘনবসতি যানজট এখানে নির্ধারিত। প্রায় প্রতিটি পয়েন্ট এখানে গুরত্বর্পূণ বিশেষ করে
যাত্রাবাড়ি,সায়দাবাদ,গুলিস্থান,পল্টন,মতিঝিল,মালিবাগ,মগবাজার,র্ফামগেইট। এসব মূল পয়েন্ট গুলোতে অবৈধ ফুটপাতে ছড়াছড়ির কারণে যানজট স্থায়ী হয়ে দাঁড়িয়েছে। তার মধ্য রাজধানী ঢাকার প্রাণ কেন্দ্র বাণিজ্িযক এলাকা মতিঝিল। প্রায় সব ব্যাংকের প্রধান র্কাযালয় মতিঝিলে অবস্থিত। একারণে মতিঝিলকে ব্যাংক পাড়াও বলা হয়ে থাকে। আর লোক সমাগম অনেক বেশি থাকে বলে মতিঝিল এলাকা সব সময় যানজট লেগেই থাকে।

এরই মধ্যে লোকজনের হাটা-চলার র্নিধারিত রাস্তাসহ গাড়ী চলাচলের রাস্তার অর্ধাংশ জুড়ে রয়েছে ২০-২৫ টি ফুটপাত। এসব ফুটপাতের কারণে লোক জনের যেমন যাতায়াত অসুবিধা তেমনি চুরি-ডাকাতি, ছিন্তাই ,মারামারি নিত্য ব্যাপার হয়ে দাঁড়িয়েছে এর কোন প্রতিকার নেই এবং বিশেষ করে মহিলাদের যাতায়াত অসুবিধা বেশি হচ্ছে। মতিঝিল শাপলা চত্ত্বরের চার পাশেই জুড়ে বসেছে ফুতপাতের দোকানীরা। তার মধ্যে-তাজু সোনালি ব্যাংকের পিছনের অংশ, শহিদ সোনালী ব্যাংকের সামনের অংশ,রহিম শাহজালাল ইসলামী ব্যাংকের সামনের অংশ,ছাদেক ইসপাহানী মোড়। বছরের পর বছর এরা ফুটপাত বাণিজ্য করে হাতিয়ে নিচ্ছে লক্ষ লক্ষ টাকা আর সৃষ্টি করছে যানজট। এ বিষয়ে মতিঝিলের দোকানীদের কাছে জানা যায় তারা প্রতি দিন ছাদেক,রহিম,শহিদ এবং তাজুকে ১০০ থেকে ১২০-১৫০ টাকা ,ফাঁড়ী ও থানা পুলিশ এবং সিটি কর্পোরেশন কে ১০ থেকে ২০ টাকা দিয়ে থাকে।আবার বিভিন্ন উৎসবে তারা অতিরিক্ত ভাড়া আদায় করে থাকে এবং প্রতিটি ফুটপাত থেকে সপ্তাহের শেষ দিন অর্থাৎ বৃহ্সপতি বার মতিঝিল থানার অফির্চাস ইনর্চাজ ওমর ফারুকে ৫০০০/= দিতে হয়। এ বিষয়ে ছাদেকের সাথে কথা বলে জানা যায় ৩০ বছর ধরে এভাবে টাকা আদায় করে আসছে এবং অবৈধ ফুটপাত প্রসংঙ্গে কথা বলতেই বজ্র কন্ঠে র্গজে উঠে বলে রাখেন আপনার অবৈধ আমরা প্রশাসনকে ম্যানেজ করে ব্যবসা করছি আপনি পারলে কিছু করে দেখান। এ বিষয়ে থানায় গেলে অফির্চাস ইর্ন্চাজ বলে গরীব মানুষ করে খাচ্ছে কি করব অথচ তার প্রতি ফুট থেকে সপ্তাহে ৫০০০/= করে ২০-২৫ টা ফুট থেকে মোটা অংকের টাকা সঞ্চয় হয়। এই হচ্ছে মতিঝিলের চিত্র। অন্য ফুটপাত গুলোও এভাবেই চলছে। এমন যদি হয় প্রশাসনের অবস্থা তাহলে সাধারণ জনগণ কোথায় যাবে। এসব ফুটপাত উচ্ছেদ করে যানযট এবং মানুষের চলাচলের পথ উন্মক্ত না করলে আরও ভয়াবহ রূপ ধারণ করবে। এ বিষয়ে যথাযত কর্তিপক্ষের দৃষ্টি আর্কষণ করছি।

Print Friendly, PDF & Email

মন্তব্য করুন

Please enter your comment!
Please enter your name here

14 − five =