Site icon Aparadh Bichitra

বেগমগঞ্জে সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ দিয়ে বিপাকে বাদী

ইয়াকুব নবী ইমন:
নোয়াখালীর বেগমগঞ্জ উপজেলার চৌমুহনী পৌর করিমপুরে কবরস্থানের মাটি কাটতে বাঁধা দেওয়ার জেরে বসত ঘরে হামলার ঘটনায় সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ দিয়ে বিপাকে পড়েছেন বাদী। অভিযোগ করার পর থেকে সন্ত্রাসীরা মামলার বাদী ও তার পরিবারের সদস্যদর নানা ভাবে হুমকি দিচ্ছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।
অভিযোগে জানা যায়, পৌর করিমপুর গ্রামে প্রধান সড়কের পাশে গত ১৩ জুন বিকালে মৃত ছোবহান মিয়ার কবরের উপর থেকে ঠিকাদারের লোকজন মাটি কাটে দেখে ছোবহান মিয়ার পুত্ররা বাঁধা দেয়। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে ঠিকাদারের লোকজন বিভিন্ন ভাষায় গালমন্দ করে ছোবহান মিয়ার পুত্র পলাশ, ফিরোজ আলম ও মোরশেদ আলমকে পিটিয়ে আহত করে।

 

এর জের ধরে ঘন্টা খানেক পরে একই এলাকার সিরাজের পুত্র হিরার নেতৃত্বে একদল সন্ত্রাসী ছোবহান মিয়ার বাড়িতে হামলা চালিয়ে ব্যাপক ভাংচুর ও লুটপাট করে। তারা ধারালো অস্ত্রস্বস্ত্র নিয়ে হামলা করায় এলাকায় আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। তারা পিটিয়ে ও কুপিয়ে পলাশ, ফিরোজ আলম ও মোরশেদ আলমকে পূনরায় আহত করে এবং খোরশেদ আলম, তার মা রেজিয়া বেগম ও মোরশেদ আলমের স্ত্রী মায়া বেগমকে নতুন করে আহত করে। এ সময় সন্ত্রাসীরা ভাংচুর করে বসত ঘরের প্রায় ৫ লাখ টাকার ক্ষতি করে। এ ঘটনায় খোরশেদ আলম বাদী হয়ে বেগমগঞ্জ মডেল থানায় হিরাসহ ৬ জনের নাম উল্লেখ করে ও অজ্ঞাত ৪/৫ জনকে আসামী করে অভিযোগ দায়ের করেন। থানার অফিসার ইনচার্জ(ওসি) ফিরোজ মোল্লা মামলাটি তদন্তের জন্য চৌমুহনী টিএসআই জসিম উদ্দিনকে দায়ীত্ব দিয়েছেন। এদিকে থানায় অভিযোগ করার পর থেকেই সন্ত্রাসীরা দাবী খোরশেদ আলম ও তার পরিবারের সদস্যদের বিভিন্ন ভাবে হুমকি দিচ্ছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। এতে তারা নিরাপত্তাহীনতায় ভূগছে।
এমতাবস্থায় খোরশেদ আলম ন্যায় বিচার চেয়ে প্রশাসনের উর্ধতন কর্তৃপক্ষের হস্তাপেক্ষ কামনা করেছেন।
এ ব্যাপারে বেগমগঞ্জ মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ(ওসি) ফিরোজ মোল্লা বলেন, অভিযাগ পাওয়ার পর টিএসআইকে দায়ীত্ব দেয়া হয়েছে। আমরা বিষয়টি তদন্ত করে দেখছি।