রাজাপুরে সংস্কারের অভাবে পি এম নি¤œ মাধ্যমিক বালকিা বিদ্যালয়টি ঝুঁকির্পূন

3
620

জাকির সিকদার : ঝালকাঠি জেলাতে ১২২ টি ঝুঁকির্পূন স্কুল আছে। ধারাবাহিকতায় সংবাদ অনুসনদ্ধানে তার মধ্যে রাজাপুর উপজেলার মঠবাড়িয়া ইউনিয়নের মানকি গ্রামের বাদুরতলার এলাকার ৫২ নং পি এম নি¤œ মাধ্যমিক বালকিা বিদ্যালয়টি সংস্কারের অভাবে ঝুঁকির্পূন থাকায় শিক্ষা ব্যাহত হচ্ছে। উক্ত স্কুলের সভাপতি শাহআলম প্যাদার কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, আবেদন করা হয়েছে প্্রধান শিক্ষকের মাধ্যমে ,সে দুই বার সভাপতি পদে থাকাবস্তায় কোন বরাদ্ধ হয়নি। ৮জন শিক্ষক আছেন, বিএসসি এবং লাইব্রেরিয়ান পদ খালি আছে। লেখা-পড়ার মান উন্নয়নের জন্য মানসম্মত ভবন নির্মান, বিদুৎ সংযোগ, ১কিঃমিঃ পাকা রাস্তা দরকার।

সরোজমিনে ঘুরে এসে জানাগেছে, রাজাপুরে পি এম নি¤œ মাধ্যমিক বালকিা বিদ্যালয়টি বিগত ১৯৮৮ সালের স্থাপিত হবার পর অদ্য ৩০-৬-২০১৮এর মধ্যে কোন উন্নয়নের ছোয়া লাগেনী “পি এম নি¤œ মাধ্যমিক বালকিা বিদ্যালয়”টি। উক্ত স্কুল সংস্কারের অভাবে ১ শত ২০ জন ছাত্রী নিয়ে ভাঙ্গাচুড়া স্কুলে চলছে নিয়মিত অধ্যায়ন। প্রধান শিক্ষক সমীরন বিকাশ রায় জানান,স্কুরে জেএসসি পরিক্ষায় গত বছর শতভাগ পাশ থাকা সত্বেও কোন উন্নয়নের বরাদ্ধ পাইনি। আমার স্কুলে বিশুদ্ধ পানির কোন নলকুপ নাই, ছাত্রীদের জন্য সরকারী ভাবে কোন কমিউনিটি সেনিঃটেরি টয়লেট বরাদ্ধ হয়নি। খেলা-ধুলা করার জন্য মাঠ থাকলেও মাঠ বরাদ্ধের অভাবে ব্যবহারের উপযোগি নয়।স্কুলের যাতায়াত ব্যবস্থা নাজুক থাকায় ছাত্রীদের চলাচলে ব্যাহত হচ্ছে। স্কুল থেকে মেইন রাস্তায় আসতে এক কিঃমিঃ পাকা করা প্রয়োজন । বৃষ্টির দিনে শিশু শ্রেনী থেকে দশম শ্রেনীতে পড়–য়া ছাত্রীরা আসা যাওয়া করে গ্রামের ভিতরে কাঁদা রাস্তায়। নেই কোন বিদ্যুত সংযোগ, নেই কোন শিক্ষক মন্ডলির ভাল কক্ষ । স্কুলের দশম শ্রেনীর ছাত্রী শাহানাজ আক্তার জানান,বিগত দশ বছর যাবত ঝুঁকির্পূন স্কুলে লেখা-পড়া করতেছি, যে ভাবে স্কুল ছিল সেই রকমের ভাঙ্গা-চুড়া অবস্থায় আছে। স্কুলের ক্লাস করতে আমাদের অনেক ভয় লাগে। এর পর ৮ম শ্রেনীর ছাত্রী মোসাঃ ইভা আক্তার জানায়, স্কুলে বিদুৎ না থাকায় গড়মের অস্থির হয়ে যায়, মেঘ-বৃষ্টি হলেই অন্ধকার হয়ে যায় শ্রেনী কক্ষ। মোসাঃ ইতি আক্তার ৮ম শ্রেনীর ছাত্রী জানায়, স্কুলে আসার পরে পানির পিপাসায় কাতর হয়ে গেলে স্কুলে নেই কোন গভির নলকুপ,মানকি গ্রামের শেষে অবস্থিত বালিকা বিদ্যালয়টি কাঠ ও টিনের তৈরি, একটু বাতাস হলেই বিদ্যালয়টি ভেঙ্গে যেতে পারে।আমাদের স্কুলের টয়লেট,মাঠ,স্কুল এরিয়া বাউন্ডারি নির্মান করা প্রয়োজন। উক্ত বিদ্যালয়ের ছাত্রী অভিভাবক ঝালকাঠি জেলা কৃষক লীগের যুগ্ম সম্পাদক একে মজিবুর রহমান জানান, স্কুলের সংস্কারের অভাবে জিমিয়ে পরছে লেখা-পড়ার মান,এখনি বিদ্যালয়টির উন্নয়ন না হলে সমস্যায় পড়বে ২শত ৫০ জন ছাত্রী। মানকি গ্রামের যুবলীগের সহ-সভাপতি মনিরুল ইসলাম জানায়, বিগত ২০ বছরে উন্নয়নের কোন ছোয়া লাগেনি।
বর্তমানে বিদ্যালয়ের অবকাঠাঁমো মেরামত/সংস্কার জন্য মাননীয় সংসদ সদস্য বরাবর আবেদন করেছেন।উক্ত স্কুলের অবকাঠামো মেরামত ও খেলার মাঠটি ভরাট করে শিক্ষার পরিবেশ ফিরিয়ে আনার জন্য কাবিখা প্রকল্প হইতে ১৫টন চাল বরাদ্ধের আবেদন করেছেন প্রধান শিক্ষক সমীরন বিকাশ রায়।

Print Friendly, PDF & Email

মন্তব্য করুন

Please enter your comment!
Please enter your name here

13 + 16 =