আধুনিকতার ছোঁয়ায় হারিয়ে যাচ্ছে শীল পাথরের পাটার ব্যবহার

0
1307

সিরাজদিখান (মুন্সীগঞ্জ) প্রতিনিধিঃ বাংলাদেশের গ্রাম বাংলার মানুষের বাড়ীতে আদা,রশুন,হলুদ,মরিচ কিংবা হরেক রকমের ভর্তা বানাতে ব্যবহার হতো শীল পাথরের পাটা। আধুনিকতার ছোঁয়ায় ধীরে ধীরে হারাতে বসেছে শীল পাটা পুতার ব্যবহার। শীল পাটা পুতার বিকল্প হিসেবে এযুগের মানুষ ব্যবহার করছে বিভিন্ন আধুনিক ইলেক্ট্রনিক্স সামগ্রী। কেননা এযুগের মানুষ আধুনিকতায় ঝুকে পরছে। শীল পাটা পুতা দিয়ে বেটে খাওয়ার চাইতে আধুনিক ইলেক্ট্রনিক্স সামগ্রী দিয়ে সেসব জিনিস করে খাওয়া খুবি সহজে। তবে আধুনিক যুগে থেকেও কিছু সংখ্যক মানুষ এখনো শীল পাথরের ব্যবহার ভুলে যাননি। তারা মনে করেন যুগ বদলে গিয়েছে।

 

যুগের সাথে সাথে সাধও বদলে গিয়েছে। তাই তারা শীল পাথরের পাটা ব্যবহার করে আদা, রশুন, হলুদ, মরিচ কিংবা হরেক রকমের ভর্তা বেটে আগের সেই সাধ পেতে চান। মুন্সীগঞ্জ জেলার বিভিন্ন স্থান ঘুরে এসে সিরাজদিখান উপজেলার উপজেলা মোড় নামক স্থানে দেখা মিলেছে শীল পাটা পুতার তৈরি করার দোকান। ওই শীল পাটা দোকানের মালিকের সাথে কথা বলে জানা গেছে, আগের মত তাদের শীল পাথরের পাটা পুতা বিক্রি হয়না। তবুও তারা তাদের ওয়ারিশ সূত্রে পাওয়া এই ব্যবসাকে ভুলতে পারেনি। তাদের কাছে শীল পাথরের পাটা সংক্রান্তে জানতে চাইলে তারা বলেন, আমরা ভারত থেকে আসা সাতক্ষিরা ভোমরা থেকে শীল পাথর পাইকারী কিনে আনি। পরে সে পাথর থেকে বিভিন্ন সাইজের পাটা বানাই। ডিজাইনসহ একটি পাটা বানাতে আমাদের এক ঘন্টা সময় লাগে। সারাদিনে আমরা ৮ থেকে ১০টি পাটা বানাতে পারি। আমাদের এখানে সাত শত টাকা থেকে শুরু করে সাতে তিন শত টাকা পর্যন্ত দামের পাটা পাওয়া যায়। এতো কষ্ট করে পাটা বানাই কিন্তু আগের মত বেচা কেনা নেই। মানুষ আজকাল কষ্ট করতে চায়না। পাটার কাজ এখন কারেন্টের ম্যাশিন দিয়ে করে ফেলে।

Print Friendly, PDF & Email

মন্তব্য করুন

Please enter your comment!
Please enter your name here

seventeen + one =