আসলামের মাদকে হাবুডুবু খাচ্ছে খিলক্ষেত যুব সমাজ

0
699

ষ্টাফ রিপোর্টারঃ
রাজধানীর খিলক্ষেতের আনাচে কানাচে আবাসিক নগরীতে বাসা বাড়ীতে চলছে আবাসিক বার বানিজ্য পাশাপাশি চলছে মাদক ব্যবসা। এসব মাদকের ভয়ঙ্কর নেশায় হাবুডুবু খাচ্ছে স্কুল পড়–য়া ছাত্র ছাত্রী থেকে শুরু করে এলাকার উঠতি বয়সের তরুন তরুনী ও যুব সমাজ। এর সাথে জড়িয়ে পড়েছে নগরীর বিভিন্ন শ্রেণীর পেশার মানুষ। মাদক দ্রব্যের ধ্বংসলীলার হাত থেকে রক্ষার দায়িত্বে নিয়োজিত সংশ্লিষ্ট পুলিশ প্রশাসন বা মাদক দ্রব্য নিয়ন্ত্রক অধিদপ্তর এর ভূমিকা থাকলেও এসব বিষয়ে তারা তেমন কিছু করছেনা। উল্টো এদের সাথে রয়েছে মাসিক মাসহারা চুক্তি ফলে সমাধানের মাধ্যমে এক শ্রেণীর হোটেল ব্যবসায়ীরা এবং মাদক ব্যবসায়ীরা তাদের ব্যবসাকে আরো ফুলিয়ে ফাপিয়ে তুলছে। বারের ব্যবসা বা মাদক যেন মাসততো ভাই। এ দুই শ্রেণী সমন্বয়ে চলছে মাদক দ্রব্যের অবৈধ ব্যবসা ও অসামাজিক কার্যকলাপ। ফলে নেশার তারনে অতি গোপনে বারগুলোর ছোট ছোট রুম ভাড়া করে চলছে নারী ও মাদক ব্যবসা।

 

এতে সামাজিক অবক্ষয় নষ্ট হচ্ছে সেই সাথে নষ্ট হচ্চে উঠতি বয়সের তরুন তরুনীরা। এ সংক্রান্ত এক বে-সরকারী জরিপে দেখা গেছে প্রতি বছর মাদকের মরন নেশায় হাবুডুবু খাচ্ছে প্রায় ৪০ শতাংশ বিভিন্ন বয়সের মানুষ। অন্য দিকে ২০ শতাংশ খুনের মতোই ঘটনার সাথে জড়িয়ে পড়েছে। খিলক্ষেতের আলোচিত কিশোরী হত্যা শরিফার, পিতাঃ মরহুম আব্দুল কুদুস বেপারী মৃত্যু হয় মাদক ব্যবসার ফলে। এদিকে অপরাধ বিচিত্রার অনুসন্ধানে জানা গেছে একটি শক্তিশালী সিন্ডিকেটের অবাধে চলছে রাজধানীর খিলক্ষেতে কয়েকজন কথিত নেতা আসলাম উদ্দিন দীর্ঘ দিন ধরে মাদক ব্যবসা করে যাচ্ছেন রাজনৈতিক ক্লাবে। আমাদের এখানে অনেকেই আসেন। সমপ্রতি মিজানুর রহমান, তানভির, রেজাউল করিম, বাবু, মাসুম বিল্লাহসহ ক্লাবে আরও অনেকেই অপরাধ মূলক কাজের সাথে জড়িয়ে পড়েছেন।

তাদের সাথে কথা বলে জানা যায় আমরা সব শ্রেণীর মানুষকে ম্যানেজ করে চালাই। তবে এ বিষয়ে সত্যতা জানতে চাইলে এলাকাবাসী জানান এরা দীর্ঘ দিন যাবৎ এ ধরনের অসামাজিক কর্মকান্ড চালিয়ে আসছে। পুলিশ মাঝে মধ্যে পুলিশের অভিযান চালিয়ে নিয়ে মামলা দিয়েছে। কিন্তু সিন্ডিকেট চক্রটি বার বার আইনের চোঁখের ফাক দিয়ে বেরিয়ে আবারো একই উপায়ে শক্ত ভাবে চালিয়ে যাচ্ছে ব্যবসা। চোখে পড়ে বাড়ির গেটে বিভিন্ন রকম যুবক-যুবতী ও মাদক ব্যবসায়ী চক্র। এ ব্যপারে খিলক্ষেত থানার অফিসার ইন-চার্জ ওসি শহিদুল হককে প্রায় প্রতি মাসে ২৬ লক্ষ টাকা মাসোহারা দিয়ে থাকে বলে একটি সূত্রে জানা যায়। একের পর এক হামলা, মামলা ও র‌্যাব অভিযান চালিয়েও বন্ধ করতে পারেনি এই অবৈধ মাদক ব্যবসা। এ ধরনের কুচক্রকে আইনের আওতায় এনে মাদক নিয়ন্ত্রণ আইনের আওতায় আনা হউক। ঐ ক্লাবের আসলামের দুই দেহ ব্যবসায়ীর (আইরিন ও মিতু) সাথে কথা বললে-তারা বলেন শুধু মাদকই নয় রয়েছে একাধিক অস্ত্র ব্যবসা। মাদক দ্রব্য নিয়ন্ত্রক এর গুলশান জোন এর কর্মকর্তার সাথে বারবার দেখা করতে চাইলেও তাকে পাওয়া যায়নি। কয়েকবার অভিযান চালিয়ে খিলক্ষেত থানার ওসি অপারেশন অভিযান চালিয়ে গত ১৯/০৪/২০১৮ ই তারিখে আসলাম উদ্দিনের নাতি ৩৫০০ পিচ ইয়াবাসহ মাদক ব্যবসায়ী ও খদ্দরদের গ্রেফতার করেন। শুধু তাই নয়, খিলক্ষেত থানার মাদক ও পতিতা পল্লী থেকে শুরু করে সকল প্রকার অন্যায়মূলক কার্যক্রম বন্ধ করতে পারেনি ওসি শহিদুল হক। ঐ ক্লাবে অধিকাংশ মাদক সেবনকারীর কোন লাইসেন্স নেই। ক্লাবে দীর্ঘদিন যাবত মাদক, পতিতা ও মাদকের রাজা ইয়াবাসহ বিভিন্ন প্রকার অসামাজিক কার্যকলাপ চালিয়ে আসছে। উক্ত প্রতিষ্ঠানে উত্তরা র‌্যাব-১ অভিযান চালায়। ঐ ক্লাবে নির্দিষ্ট কোন মাদকের ট্রেড লাইসেন্স নেই। এ ব্যাপারে খিলক্ষেতের সুশীল সমাজের লোকজন কুরুচিপূর্ণ কথা বলে-এখন আর আবাসিক নগরীতে বসবাস করা সম্ভব নয়। মাদকে ভাসছে দেশ, তেমনি খিলক্ষেতের অবৈধ মাদকের সিন্ডিকেট। যেখানে নিরিবিলি পরিবেশ থাকার কথা সেখানে হৈ-হুল্লোড় ও চেঁচামেচি যা বসবাসের জন্য অনোপযোগী হয়ে পড়েছে। এমতাবস্থায়, সংশ্লিষ্ট প্রশাসন মহলের কাছে আবেদন আবাসিক নগরীতে যত্রতত্র অবৈধ মাদক স্পট ও আবাসিক হোটেলের নামে চলছে পতিতা ব্যবসা। ঢাকা মহানগর উত্তরে কমিশনারের দৃষ্টি আকর্ষণ করা হউক।

Print Friendly, PDF & Email

মন্তব্য করুন

Please enter your comment!
Please enter your name here

15 + 10 =