চুনারুঘাট (হবিগঞ্জ) প্রতিনিধি ঃ প্রভাবশালী গরু চোরদের রোধবে কে ? এ প্রশ্নই এখন চুনারুঘাটের সাধারন মানুষদের মাঝে। ওই চোরেরা শুধু ভারতীয় চোরাই গরুর ব্যবসা করে এমন নয় এরা কৃষকের গরু চুরি করে দিব্যি পার পেয়ে যাচ্ছে। চোরদের সাথে স্থানীয় প্রভাবশালী মাস্তানদের রয়েছে সখ্যতা। পুলিশের সাথে রয়েছে তাদের দহরম-মহরম। স্থানীয় গরুর বাজারগুলো তারাই নিয়ন্ত্রন করে। বাজার ইজারাদাররাও তাদের কথায় উঠ বস করছে। তারা আজন্ম চোরাই গরু ব্যবসায়ী। আহম্মদাবাদ ইউপি’র থৈগাঁও গ্রামের নানু, বনগাও গ্রামের রশিদ ও গেড়ারুক গ্রামের জলিল। এদের রয়েছে একটি গরু চোর সিন্ডিকেট। ওই সিন্ডিকেটের সদস্য সংখ্যা ১০ জন। বহিরাগত চোরেরা চোরাই গরু এনে তাদের কাছে জমা রাখে। এরা কিছু অসাধু ইউপি সদস্যদের মাধ্যমে চোরাই গরুর নকল মালিকানা দেখিয়ে ‘রওয়ানা’ আদায় করে তা স্থানীয় বাজারে বিক্রির জন্য নিয়ে আসে। পরে ওই গরু বহিরাগত ব্যবসায়ীর কাছে বিক্রি করে। কোন কারনে চোরাই গরু বিক্রিতে সমস্যা দেখা দিলে সেই গরু জবাই করে গোস্ত বিক্রি করে দেয়। সেই গোস্তের বাটোয়ারা প্রভাবশালী মধ্য স্বত্বভোগীদের ফ্রিজেও যায়। গাজীপুর ইউনিয়নের ইউপি সদস্য আঃ শহীদ মুন্সি বলেন, গত ২৩ জুন আলীনগর গ্রামের দরিদ্র রাবেয়া খাতুনের একটি গাভী চুরি হয়। ২৯ জুন ওই গাভীটি জারুলিয়া বাজারে জবাই করে নানু মিয়া ও তার সঙ্গীরা।
খবর পেয়ে রাবেয়া খাতুন ঘটনাস্থলে এসে জবাই করা গাভীর চামড়া আটক করেন। পরে গাজীপুর ইউপি’র চেয়ারম্যান হুমায়ুন খান, ইউপি সদস্য সালেক মিয়াসহ অন্যান্যরা ঘটনাস্থলে এসে চোরদের আটক করতে চাইলে এরা কৌশলে পালিয়ে যায়। এ নিয়ে চুনারুঘাট থানায় নানু ,জলিল ও রশিদের নামে মামলা করা হয়। রাবেয়া খাতুন বলেন, মামলার পর নানুসহ অন্যন্য চোরেরা তার বাড়িতে চড়াও হয়ে মামলা তুলে নেয়ার জন্য চাপ দেয়। নতুবা বিষয়টি ভাল হবে না বলে হুমকী দেয়। মামলার পর রাবেয়া নিরাপত্তাহীনতায় ভোগছেন। এ দিকে ৪ দিন অতিবাহিত হলেও ওই গরু চুরির ব্যপারে পুলিশের কোন তৎপরতা চোখে পড়ছে না। এলাকাবাসিরা জানান, নানু কুখ্যাত গরু চোর। এলাকার যত গরু চুরি হয় সব চোরাই গরু তার মাধ্যমে বিক্র করা হয়ে থাকে বলে জনশ্রুতি রয়েছে। তার কাছ থেকে অসংখ্য চোরাই গরু উদ্ধার করা হয়েছে।