বিশেষ প্রতিবেদস: রাজধানির উত্তরা হাউজ বিল্ডিং পুলিশ বক্সের ভ্যান গাড়ি আটকে পুলিশের চাঁদাবাজি রমরমা চলছে প্রতিনিয়োত। এদিকে ভুক্তোভোগি গাড়ি চালকরা সাংবাদিকদের বলে তারা রাস্তার এপার থেকে ওপারে ভ্যানে করে মাল বহন করে নিয়ে গেলেই সাথে সাথে বক্সের পুলিশ তাদের গাড়ি আটকে ১৫০০ টাকা রেকার বিল করে ছেড়ে দেয়। এদিকে তথ্য নিয়ে জানতে পারাযায় তাদের একটা চার্ট আছে ভ্যান গাড়ি-১৫০০,অটোরিক্সা-১০০০ এবং বাংলা রিক্সা-১২০০ টাকা করে রেকার বিল করে। এ সম্পর্কে পুলিশের বক্তব্য জানতে চাইলে একজন কনোষ্টবল বলে শহরের মধ্যে রাত্র ১০ টার পর ছাড়া কোন অটোরিক্সা প্রধান সড়ক দিয়ে প্রবেশের অনুমোতি নাই সে কারনে আমরা এ রিক্সা,ভ্যান গুলি আটোক করি।
অন্যদিকে সরেজমিনে তথ্য নিয়ে জানতে পারাযায় গত ২ জুলাই বুধবার সকাল সাড়ে ১০ টার সময় ২/৩ টা ভ্যান মাল বোঝাই করে উত্তরা হাউজ বিল্ডিং প্রধান সড়ক পার হতে গেলে তখন পুলিশ বক্সে দায়িত্বরত সাজেন্ট হেমায়েত ও তার সহযোগী আনসার তোতা ভ্যান গাড়ি আটক করে। এর পরে আনসার তোতা ভ্যান গাড়ি গুলো তালা বদ্ধ করে তিনি আব্দুল্লাহপুর চলে যান। এদিকে ভ্যান পণ্য বোঝাই চালকরা ভ্যান ছাড়ানোর জন্য আনসার তোতাকে মুঠোফোনে কল দিলে আনসার তোতা আব্দুল্লাহপুর আছেন বলে জানান কিছুক্ষনের মধ্যে ফিরে আসবেন বলে তিনি বলেন। পরবর্তিতে আনসার তোতা বেলা পনে ১২ টার দিকে হাউজবিল্ডিং এলাকায় এসে ভ্যানচালকদের ভয়-ভীতি দেখান যে ভ্যানগুলি রেকার লাগানো হবে এবং মিরপুর ডাম্পিং এ পাঠানো হবে। এদিকে গরিব ভ্যান চালকরা আনসার তোতার কাছে অনুনয়-বিনিনয় করলে তখন তিনি তাদের নিকট থেকে মোটা অংকের টাকা নিয়ে ভ্যান গুলি ছেড়ে দেন। এভাবে প্রতিদিনই তাদের মোটা অংকের টাকা আসে রাস্তায় আটকৃত ভ্যান,অটোরিক্সা থেকে আর এই ডাম্পিং ও র্যাকা বিলের নামে যে টাকাগুলি ওঠে তা কতটুকু সরকারি কোষাগারে জমা হয় তাও বোঝার কোন উপায় নেই।