ঘুষ দুনীর্তি আর অনিয়ম স্বজনপ্রীতি দীর্ঘদিন থেকে লাগামহীন ভাবে চলছে বাংলাদেশ রেলওয়েতে। কর্মচারীদের অনুপস্থিত রেখে খাতায় হাজিরা তুলে হাজিরার টাকা দিয়ে আঙ্গুল ফুলে কলাগাছ হচ্ছেন রেলওয়ের অনেক কর্মকর্তাই। যা ভেসে উঠেছে কুলাউড়ায় দুর্নীতি দমন কমিশনের অভিযানে
অনুপস্থিত রেখে হাজিরা তোলার জন্য রেলওয়ে কর্মচারী আবুল হোসেনের কাছ থেকে উৎকোচের ১০ হাজার টাকা গ্রহণ করার সময় মোঃ এরফানুর রহমান (৫৫) নামে বাংলাদেশ রেলওয়ে কুলাউড়া সেকশন এর সিনিয়র সাব এসিসস্ট্যান্ট ইঞ্জিনিয়ার (ওয়ে)কে মঙ্গলবার রাতে দুদক কুলাউড়া স্টেশন মাষ্টারের রুম থেকে আটকের পর ৪ জুলাই বুধবার কোর্টে সোপর্দ করেছে কুলাউড়া রেলওয়ে পুলিশ বলে নিশ্চিত করেন অফিসার ইনচার্জ মোঃ আব্দুল মালেক। অভিযোগকারী রেলওয়ের ওয়েম্যান, গ্যাং নং-১৯ রাজনগর উপজেলার বাসিন্দা আবুল হোসেন জানান প্রকৌশলী এরফানুর রহমানকে উ॥কোচ না দেওয়ার কারণে সম্প্রতি তাকে মাইজগাঁও-এ বদলী করা হয়। পরবর্তীতে কুলাউড়া আসলেও অনেক সময়ই তার সৌজন্যমূলক আচরণ ও অযোক্তিক দাবীর স্বীকার হন তিনি। সম্প্রতি সিক (অসুস্থ) দেখিয়ে ছুটির আবদার করলে এরফানুর রহমান পরে জানাবেন বলে সম্মতি দেন। পরবর্তীতে তিনি সিক গ্রহণ হয়নি জানিয়ে অনুপস্থিত রেখে হাজিরা দেখিয়ে দিবেন বলে জানান। তবে বিনিময়ে তাকে ১২ হাজার টাকা উ॥কোচ দিতে হবে বলে দাবী করেন। তার চাহিদার টাকা জোগাড় করতে অনেক স্থান থেকেই ঋণ নিয়ে ১০ হাজার টাকার ব্যবস্থা করে তার সাথে মোবাইল ফোনে কথা বলে সময় নির্ধারণ করা হয়। উৎকোচের টাকা গ্রহণকালে হাতে নাথে দুর্নীতি দমন কমিশন, হবিগঞ্জ সমন্বিত জেলা কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক মোঃ এরশাদ মিয়া এরফানুর রহমানকে ফাঁদ জাল তৈরী করে পাকড়া করেন।