সিরাজগঞ্জ প্রতিনিধিঃ সিরাজগঞ্জ জেলার বেলকুচি উপজেলার চন্দনগাতী,তামাই,নাগগাতী,চালা,মুকুন্দগাতী,সমেশপুরসহ বিভিন্ন গ্রামের পাড়া মহল্লায় মাদক ব্যাবসায়িরা গঠন করেছে মাদক ব্যাবসার সিন্ডিকেট । স্থানীয় প্রশাসনের চোখ ফাকি দিয়ে নানা কৌশলে চালিয়ে যাচ্ছে মাদকের রমরমা ব্যাবসা। এতে করে তরুণ বয়সের ছেলে মেয়েরা আসক্ত হয়ে পরছে মাদকেরজালে। অবিভাবকেরা নানাভাবে ভোগান্তির স্বীকার হচ্ছে আর্থিক ও মানুষিক ভাবে । মাদক সেবী ও বিক্রেতাদের বিরুদ্ধে সামাজিক ভাবে প্রতিরোধের ব্যাবস্থা নিলে অনেক সময় প্রতিবাদ কারীদের নাজেহাল হতে হয় মাদক সেবী ও বিক্রেতাদের কাছে ।
সম্প্রতি এমনি এক ঘটনা ঘটেছে উপজেলার তামাই ফকির পাড়া গ্রামে।এলাকা সুত্রে জানাযায়, মৃত বাকি ফকিরের পুত্র আলিম ফকিরের মাদক ব্যাবসার প্রতিবাদ করতে গিয়ে মহল্লাবাসীদের সাথে কথা কাটাকাটির এক পর্যায়ে ব্যাপক সংঘর্ষ বেধে যায় । এতে করে মাদক বিক্রেতা আলিম ফকিরের সহযোগী মাদকসেবী সুজন খা সহ তার দুই সহদর আহত হয়। মাদক বিক্রেতাদের সৃষ্ট ঘটনার প্রতিবাদ করতে গিয়ে মামলা হামলা সহ জানমালের নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন এলাকার প্রতিবাদকারী অনেকেই ।
প্রশাসনের কিছু অর্থ লোভী ব্যাক্তিদের ছত্র ছায়ায় এলাকার এসব মাদক ব্যাবসায়িরা দাপটের সাথে ব্যাবসা করছে । এ চিত্র শুধু বেলকুচিতেই নয় জেলার বিভিন্ন উপজেলার মাদক স্পটগুলো নিয়ন্ত্রণ কারী ব্যাক্তিদের নজরদারি করলেই জানা যাবে প্রশাসনের কিছু অসাধু ব্যাক্তিদের বাস্তব চিত্র। এর সাথে এলাকার প্রভাবশালী অর্থলোভী ব্যাক্তিদের প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষ ভাবে সম্পৃক্ততাও অনেক সময় পাওয়া যায় । আইনের ফাকে তারা বেচে গেলেও মাঝে মধ্যে ধরা পরে এই পেশায় জড়িত দিন মুজুরি কাজ করা গরিব শ্রেণীর ব্যাক্তিরা। মুল মাদক ব্যাবসায়িরা ধরা ছোঁয়ার বাইরে থেকে যায় । মাদক দ্রব্য সহ তাদের হাতেনাতে প্রশাসন ধরতে না পারায় আইনের প্রয়োগ হয়না তাদের বিরুদ্ধে। এমনি ভাবে মাদক ব্যাবসার সাথে সমাজের বিভিন্ন পেশার মানুষ অধিক মুনাফার আসায় ঝুকে পরছে এই পেশায়। বেলকুচি উপজেলা তাঁত শিল্প এলাকা হওয়ায় বহিরাগত হাজার হাজার মানুষ এখানে কর্ম সংস্থানের জন্য আসে । আর এই সুযোগটাই কাজে লাগিয়ে মাদক ব্যাবসায়িরা তাদের রমরমা ব্যাবসা চালিয়ে যাচ্ছে।
এবিষয়ে বেলকুচি থানার অফিসার ইন-চার্জ আব্দুর রাজ্জাক জানান,মাদক বিক্রেতাদের বিরুদ্ধে আমাদের অভিযান অব্যাহত রয়েছে , মাদক বিক্রেতারা কোন ভাবেই ছার পাবে না ।
এলাকার সচেতন মহল জানান, শুধু থানা পুলিশ নয়, প্রশাসনের বিভিন্ন পর্যায়ের উর্ধতন কর্তৃপক্ষের কঠোর নজরদারি ও আইনের যথাযথ প্রয়োগের মধ্যদিয়ে মাদক ব্যাবসাকে নির্মুল করে যুব সমাজকে মরণ নেশার হাত থেকে রক্ষা করার জন্য সময়ের দাবী ।