বিদ্যুৎ অফিস দূনীতির আখড়া চৌমুহনী

0
618

বাংলাদেশ বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড, বিক্রয় ও বিতরণ বিভাগ চৌমুহনীর নির্বাহী প্রকৌশলীর দপ্তরটি দূনীতির আখড়ায় পরিণত হয়েছে ।সাধারণ মানুষ নানা ভাবে হয়রানির শিকার হচ্ছে   এই দপ্তরে এসে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। জানা  যায় বিদ্যুতের এই অফিস থেকে গ্রাহকদের জন্য সরকারী ভাবে বিনামূল্যে পিলার বরাদ্ধ থাকলেও প্রতি পিলার বাবত গ্রাহকের কাছ থেকে আদায় করা হয় ২০ থেকে ২৫ হাজার টাকা, পিলার স্থাপনের পর মিটার সংযোগ বাবত নেয়া হয় ৫ থেকে ৬ হাজার টাকা, অথচ বিদ্যুৎ পেতে সরকারী ভাবে খরচ হওয়ার কথা সর্বসাকুল্যে ২২০০-২৩০০ টাকা।

 

বিভিন্ন বড় মার্কেটে, অবাসিক ভবর বা প্রতিষ্ঠানে ট্রান্সমিটার স্থাপন করতে লাখ লাখ টাকা হাতিয়ে নেয়া হয়। অথচ সরকারী ভাবে বিনা টাকায় এই ট্রান্সমিটার স্থাপন করার কথা। বিদ্যুৎ অফিসের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের বিরুদ্ধে গ্রাহকদের কাছ থেকে অতিরিক্ত বিল আদায়েরও অভিযোগ রয়েছে। অতিরিক্ত এই টাকা অফিসের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা ভাগবাটোয়ার করে নেন। অফিসের সহকারী প্রকৌশলী নুরুল হুদা, নির্বাহী প্রকৌশলী মো: সাইফুর রহমান টাকা ছাড়া কোন ফাইলেই স্বাক্ষর করেননা। তাদের প্রতি ফাইলের স্বাক্ষরের মূল্য সর্বনিম্ম ১ থেকে ২ হাজার টাকা। অফিসে যত ঘুষ দূর্নীতি হয় সব কিছুই হচ্ছে নির্বাহী প্রকৌশলী সাইফুর রহমানের সেল্টারে। অনিয়ম আর দূর্নীতিগুলো নির্বাহী প্রকৌশলী সাইফুর রহমান সহকারী প্রকৌশলী নুরুল হুদার মাধ্যমে করিয়ে থাকেন। অবৈধ ভাবে আদায়কৃত এসব টাকা তারা দুজনে ভাগ বাটোয়ারা করে নেন। উপজেলার চৌমুহনী বাজার, একলাশপুর, হাজিপুর, দূর্গাপুরসহ বিভিন্ন এলাকায় লক্ষ লক্ষ টাকার বিনিময়ে পিলার দিয়ে ঝুকিপূর্ন ভাবে লাইন নির্মাণ করা হয়েছে। নির্বাহী প্রকৌশলী সাইফুর রহমান এতোই দূর্নীতিবাজ যে, তিনি সম্প্রতি হাজিপুর এলাকার এক বাড়ির লাইন কেটে দিয়ে পূনরায় সংযোগ দেওয়ার কথা বলে মোটা অংকের টাকা দাবী করেন। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে স্থানীয় তাকে পিটুনি দেয়। এ নিয়ে জনমনে বিরূপ প্রতিক্রিয়ার সৃষ্টি হয়। যা চৌমুহনী বিদ্যূত অফিসের জন্য একটি কলঙ্ক জনক অধ্যায়। নির্বাহী প্রকৌশলী সাইফুর রহমান প্রায় সময় অফিসে অনুপস্থিতি থাকেন বলেও অভিযোগ পাওয়া গেছে। নির্বাহী প্রকৌশলীর ব্যবহারও তেমন ভালো নয় বলে জানা যায় । তিনি অফিসের কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের সাথেও দূর্ব্যবহার করেন। এ ব্যাপারে নির্বাহী প্রকৌশলী মো: সাইফুর রহমানের সাথে কথা বলতে সরেজমিনে অফিসে গিয়েও পাওয়া যায়নি। এতেই প্রতিয়মান হয় তিনি অফিসে অনুপস্থিত থাকে বেশির ভাগ সময় ।   (অনুসন্ধান চলবে)

Print Friendly, PDF & Email

মন্তব্য করুন

Please enter your comment!
Please enter your name here

7 + 16 =