এস এম আওলাদ হোসেন
১১ এপ্রিল ২০১৮ ইং সকাল রায়পুর উপজেলা পরিষদের সামনে ভুক্তভোগী পরিবারের সদস্য ও সচেতন নাগরিক সমাজের ব্যানারে রায়পুর উপজেলা পরিষদের সামনে অভিযুক্ত রায়পুর মার্তৃছায়া হাসপাতাল ও সংশ্লিষ্ঠদের বিরুদ্ধে বিচারের দাবীতে এক মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়। মানববন্ধনে ভুক্তভোগী পরিবারের পক্ষ থেকে বক্তব্য দেন রায়পুরের ঔষধ ব্যবসায়ী জাকির হোসেন মিঝি, রায়পুর কেমিষ্ট এন্ড ড্রাগিষ্ট এসোসিয়েশনের সভাপতি বিশিষ্ট ব্যবসায়ী আবুল বাসার প্রমূখ।
উল্লেখ্য গত সোমবার যুবলীগনেতা রায়পুর মার্চ্চেন্টস একাডেমী মার্কেটের ঔষধ ব্যবসায়ী জাকির মিঝির ভাতিজি আমেনা আক্তার (১৮), রায়পুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের ডাঃ শামীমা নাসরীনের পরামর্শে তার প্রেগনেন্সি পরীক্ষা করানোর জন্য রায়পুর মার্তৃছায়া হাসপাতালে যায়। ল্যাবরেটরী পরীক্ষার রিপোর্ট অনুযায়ী ডাক্তার ৭ সপ্তাহের বাচ্চা মৃত ঘোষনার পর এবরশন করানোর পরামর্শ দেয় এবং মৃত বাচ্চা গর্ভ থেকে বেরিয়ে আসার জন্য বেশ কিছু ঔষধ দেয়। ৩ দিন ঔষধ খাওয়ার পর রোগীর অভিভাবকগন অধিক নিশ্চিত হওয়ার জন্য ৫ এপ্রিল বৃহস্পতিবার ঢাকা ইসলামী ব্যাংক সেন্ট্রাল হাসপাতালে গিয়ে ডাঃ ফেরদৌস আরা বানু কাকলীর পরামর্শে পরীক্ষা করে নিশ্চিত হন যে ৮ সপ্তাহের বাচ্চাটি গর্ভে নিরাপদ এবং সূস্থ্য আছে। এ ব্যাপারে রায়পুর মার্তৃছায়া হাসপাতালের সহ- ব্যবস্থাপনা পরিচালক তুহিন চৌধুরী বলেন, ভূল রিপোর্ট দেয়ার কারনে আমার হাসপাতালের সনোলজিষ্ট ডাঃ আল-মামুনকে বহিস্কার করেছি। ডাঃ শামীমা নাছরিনের সাথে যোগাযোগ করলে তিনি বলেন, ডায়াগনষ্টিক রিপোর্ট দেখে আমি সিদ্ধান্ত দিয়েছি, আমার কোন দোষ নেই, তাছাড়া এসব হাসপাতালে অভিজ্ঞ টেকনিশিয়ান নেই বলেই এ ধরনের ভুল রিপোর্ট এসেছে। সকালে মার্তৃছায়া হাসপাতাল পরিদর্শনকালে সিভিল সার্জন ডাঃ মোস্তফা খালেদ বলেন, অনিয়মের বিষয়গুলো আমার গোচরিভুত হয়েছে, লিখিত অভিযোগ পেলে অচিরেই আমি হাসপাতালগুলোর বিরুদ্ধে তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা গ্রহন করবো।