Site icon Aparadh Bichitra

স্বর্ণ ব্যবসায়ীর লাশ উদ্ধার২১দিন পর

শহরের কালীর বাজারের স্বর্ণ ব্যবসায়ী প্রবীর ঘোষের লাশ  ২১ দিনের মাথায় শহরের আমলাপাড়ায় ঠান্ডু মিয়ার ৪তলা বাড়ির সেফটিক ট্যাংক থেকে উদ্ধার করেছে জেলা গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)। সোমবার রাত ১১টার দিকে বস্তায় ভর্তি খন্ড খন্ড লাশ উদ্ধার করা হয়। তবে হাটুর নিচের অংশ পাওয়া যায়নি। ঘাতকরা

 

হত্যার পর লাশ টুকরো করে গুমের উদ্দেশ্যে সেফটিক ট্যাংকে ফেলে দেয়। ইতিমধ্যে লাশ পঁচে গেছে। নিহত প্রবীর ঘোষ কালীরবাজার ভোলানাথ জুয়েলার্সের মালিক এদিকে প্রবীর ঘোষের লাশ উদ্ধারের খবর পেয়ে নিহতের পরিবার, আত্মীয়-স্বজনসহ এলাকার বিপুল সংখ্যক মানুষ ঘটনাস্থলে ভীড় করে। নিহত প্রবীর ঘোষের ব্যবসায়িক বন্ধু পিন্টু ও বাপন সরকার বাবু নামে দুইজনকে আটক করেছে ডিবি। ডিবির কর্মকর্তা মফিজুল ইসলাম লাশটি নিখোঁজ স্বর্ণ ব্যবসায়ী প্রবীর ঘোষের বলে নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানান, এ ঘটনায় পিন্টু ও বাপন সরকার বাবু নামে দুইজন আটক আছে। আটককৃতদের সঙ্গে প্রবীর ঘোষের ব্যবসায়িক সম্পর্ক ছিল। উল্লেখ্য, ১৮ই জুন আনুমানিক রাত সাড়ে ৯টার সময় একটি ফোন পেয়ে প্রবীর ঘোষ বাড়ি থেকে বের হন। এরপর থেকে তাকে আর খুঁজে পাওয়া যায়নি।  ১৯শে জুন সকাল ১০টা থেকে তার ফোন বন্ধ পাওয়ায় প্রবীর ঘোষের বাবা ভোলানাথ ঘোষ নারায়ণগঞ্জ সদর থানায় জিডি করেন। ওই জিডির তদন্ত ভার জেলা গোয়েন্দা পুলিশকে দেয়া হয়। ডিবি পুলিশ বিষয়টির তদন্ত করে পিন্টু ও বাপন সরকার বাবু নামের দুইজনকে আটক করে। এবং প্রবীর ঘোষের মোবাইল ফোন ট্র্যাকিং ও ব্যাপক জিজ্ঞাসাবাদে পিন্টু স্বীকার করে প্রবীর ঘোষের বিষয়টি। পরে তার দেয়া তথ্যের ভিত্তিতে সোমবার রাতে শহরের আমলপাড়া এলাকার ঠান্ডু মিয়ার ৪তলা ভবনের সেফটিক ট্যাংকের ভেতর থেকে লাশটি উদ্ধার করা হয়। কয়েকটি ব্যাগে করে ট্যাংকিতে লাশ টুকরো টুকরো করে ফেলা হয়। কিন্তু হাঁটুর নিচের অংশ পাওয়া যায়নি।