বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলা গড়াই আমার মুল উদ্দেশ্য এ. কে. এম. এ আউয়াল সংসদ সদস্য, পিরোজপুর-০১

0
1294

বীর মুক্তিযোদ্ধা জননেতা আলহাজ্ব এ. কে. এম. এ আউয়াল পিরোজপুর-১ আসনের এমপি হিসাবে দীর্ঘ ১০ বছর ধরে অত্যন্ত সুনাম ও সততার সহিত দায়িত্ব পালন করছেন। তার বড় গুণ তিনি অত্যন্ত পরিশ্রমী নিরহঙ্কংকারী সংগ্রামী সফল সংগঠক ও উদার মনের মানুষ। ব্যক্তিগত আচরণে তিনি একজন অনন্য সাধারণ জনসেবক হিসেবে পরিচিত। তিনি দীর্ঘদিন ধরে আওয়ামী লীগের রাজনীতিতে জড়িত থেকে জনগণের ভাগ্য উন্নয়নে নিরলসভাবে কাজ করে চলছেন। রাজনৈতিক জীবনের প্রতিটি ক্ষেত্রে সততা বিচক্ষণতা, দৃঢ়তা ও আন্তরিকতার মাধ্যমে সবকটি কাজে ঈর্ষণীয় সফলতার পরিচয় দিয়ে বর্ণাট্য কর্মজীবন অতিক্রম করে চলেছেন। উদার ও জনদরদী এই অসাধারণ ব্যক্তির জন্ম ৩রা মার্চ ১৯৫৪ ইং সালে পিরোজপুর জেলা সদরে। তার পিতার নাম: মরহুম আলহাজ্ব একরাম আলী খলিফা ও মাতার নাম: মরহুম আলহাজ্ব জহুরা বেগম, তার সহধর্মিণীর নাম অধ্যাপিকা লায়লা পারভীন। তিনি বাংলাদেশ মহিলা আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য। তিনি পিরোজপুর মহিলা আওয়ামী লীগের ও মহিলা সংস্থার চেয়ারম্যান হিসাবে অত্যন্ত সুনাম ও সততার সাথে দায়িত্ব পালন করছেন। এছাড়া লায়লা পারভীন বাংলাদেশ রেডক্রিসেন্ট সোসাইটির নির্বাচিত ভাইস চেয়ারম্যান পদে দায়িত্ব পালন করছেন। এই দম্পত্তির ৩ সন্তান। প্রথম সন্তান মেয়ে ডাক্তার বুশরা জাহান অন্তরা, দ্বিতীয় সন্তান ছেলে আব্দুর রহমান বার এ্যাট লতে লন্ডনে অধ্যায়ন করছে, তৃতীয় সন্তান আব্দুর রহিম এম বি এতে অধ্যায়ন করছে। এ. কে. এম. এ. আউয়াল ১৯৬৫ ইং সালে তার পিতার রাজনীতিকে অনুসরণ করে জাতির জনক বঙ্গবন্ধুর সান্নিধ্যে থেকে ছাত্রলীগে যোগ দিয়ে রাজনৈতিক ক্যারিয়ার শুরু করেন। তারপর ১৯৬৯ এর গণ আন্দোলনে অংশ গ্রহণ ও ১৯৭১ সালের মহান মুক্তিযদ্ধে অংশ গ্রহণ করে স্বাধীনতা অর্জন করেন। বর্তমানে তিনি জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি হয়ে হিংসা বিদ্বেষ ভুলে দলীয় স্বার্থের উর্ধ্বে থেকে সাধারণ জনগণের জন্য দিনরাত অক্লান্ত পরিশ্রম করে চলেছেন। বিএনপি জামায়াত জোট সরকারের আমলে রেখে যাওয়া অনিয়ম স্বেচ্ছাচারিতা, অব্যবস্থাপনা, দুর্নীতি এবং অদক্ষতার মুলোৎপাটন করে কিভাবে পিরোজপুর-০১ আসনকে আধুনিক দুর্নীতিমুক্ত, উন্নত ও জনগণের সুযোগ সুবিধা বৃদ্ধি করা যায় সে সব বিষয়ে খোলামেলা আলাপ শেষে সাক্ষাৎকার ভিত্তিক প্রতিবেদন লিখেছেন পত্রিকাটির বিশেষ প্রতিবেদক।
অপরাধ বিচিত্রাঃ
বর্তমান সরকারের আমলে পিরোজপুর ১ আসনের সর্বাধিক উল্লেখযোগ্য উন্নয়ন কর্মকা- সম্পর্কে আপনার মূল্যায়ন কি ?
এ. কে. এম এ আউয়ালঃ
কোনটা রেখে যে কোনটা বলব, দীর্ঘ দশ বছরে পিরোজপুর-০১ আসনের বিভিন্ন এলাকায় ব্যাপক উন্নয়ন সাধিত হয়েছে। বেকুটিয়া সেতুর কার্যক্রম শুরু হয়েছে। একই নদীতে আরো একটি সেতু কাউখালী স্বরুপকাঠী সংযোগ সেতুর কাজ দ্রুত শুরু হবে। নাজিরপুরের দীর্ঘ ব্রিজের কাজ দ্রুতগতিতে এগিয়ে চলছে। পিরোজপুর হতে পাটগাতী সড়ক সম্পন্ন হয়েছে। এলাকায় ব্যাপক পরিমাণ সাইক্লোন সেন্টার নির্মাণ করা হয়েছে। সর্বোপরি একটি এলাকাকে গণমুখী করতে যা দরকার তা আমি করে দিয়েছি।
অপরাধ বিচিত্রাঃ
বর্তমান প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা সরকার পর পর দুইবার ক্ষমতায় রয়েছেন। আপনি একজন রাজনীতিবিদ হিসাবে বর্তমান সরকার দেশের উন্নয়নে কি ধরনের ভূমিকা রাখছেন বলে আপনি মনে করেন?
এ. কে. এম এ আউয়ালঃ
স্বাধীনতার পর আমেরিকার তৎকালীন পররাষ্ট্রমন্ত্রী হেনরী কিসিঞ্জার বাংলাদেশেকে একটি তলাবিহীন ঝুড়ি বলেছিলেন। সেই দেশের প্রাক্তন রাষ্ট্রপতি বারাক ওবামা বলেছেন তোমরা যদি দেশেকে আত্মনিরর্ভশীল দেশ হিসাবে গড়তে চাও জাতিকে মর্যাদাশীল জাতি হিসাবে তৈরি করতে চাও তাহলে বাংলাদেশের দিকে তাকাও এবং সেই দেশের নেত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার প্রতিটি পদক্ষেপ তোমরা গ্রহণ করো। এর চেয়ে বড় উন্নতি আর কি হতে পারে। শিক্ষাক্ষেত্রে বলেন আমার মত একজন সামান্য মানুষ নাজিরপুরের মত অবহেলিত অঞ্চলে শিক্ষার মান উন্নয়নের জন্য বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন নেছা মুজিব ডিগ্রী কলেজ প্রতিষ্ঠিা করি। যেটি মাননীয় প্রধান মন্ত্রী শুভ-উদ্ধোধন করেন। কোন সেক্টর থেকে কোনটি বলব, আইনশৃঙ্খলা, যোগযোগ, শিক্ষা, স্বাস্থ্য, শিল্প, শ্রম, পররাষ্ট্রনীতি বলেন এমন কোন সেক্টর নাই যেখানে উন্নতির ছোঁয়া লাগেনি। নেত্রীর ব্যক্তিগত প্রচেষ্টায় দেশের সব সেক্টরেই আজ উন্নতির সর্বোচ্চ শিখরে পৌঁছেছে। আজকে বিশে^র দরবারে বাংলাদেশের একটি অবস্থান দেখতে পারছেন। ১৯০টি দেশের মধ্যে বাংলাদেশের অবস্থান দশম। প্রধানমন্ত্রী হিসাবে জননেত্রী শেখ হাসিনার অবস্থান তৃতীয়তে। পিয়ন থেকে সচিব পর্যন্ত সবার বেতন বৃদ্ধিসহ সকল সুবিধা দিয়েছে, যা শেখ হাসিনার সরকার ব্যতীত কারো পক্ষে সম্ভব ছিলো না। যেখানে পদ্মা সেতুর অর্থায়ন থেকে বিশ্ব ব্যাংক হাত গুটিয়ে নিয়েছিল, সেই পদ্মা সেতু নেত্রীর বলিষ্ঠ পদক্ষেপে বাংলাদেশের নিজম্ব অর্থায়নে বাস্তব রূপ ধারণ করেছে। কিন্তু এর প্রভাব সাধারণ জনগণের উপর পড়েনি।
অপরাধ বিচিত্রাঃ
বঙ্গবন্ধুর জন্ম না হলে বাংলাদেশের সৃষ্টি হতো না। জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মজিবুর রহমান ১৯৭১ সালে মুক্তিযোদ্ধার মহানায়ক থেকে দেশকে শত্রুমুক্ত করে স্বাধীনতা ছিনিয়ে এনেছিলেন, তার অবদান সম্পর্কে কিছু বলুন।
এ. কে. এম এ আউয়ালঃ
এটা আপনি কি ধরনের প্রশ্ন করলেন, আমিও ঠিক বুঝলাম না, বঙ্গবন্ধুর অবদান কি? সূর্যের আলো নিয়ে কি কখনো আলোচনা চলে। বঙ্গবন্ধু তো একটি সূর্য, তার আলোতে-তো আমরা সবাই আলোকিত, এটা যে মানে না বা স্বীকার করে না সে জাতির কলঙ্ক। সূর্যকে নিয়েও যেমন আলোচনার সুযোগ নাই তেমনি বঙ্গবন্ধুকেও নিয়ে আলোচনার সুযোগ নাই। সূর্যের আলোতে চন্দ্র আলোকিত, তারা আলোকিত, বিশ্ব আলোকিত বঙ্গবন্ধু তো বাংলাদেশের জন্য একটি সূর্য এটিই আমাদের ধারণা এবং বাস্তবতা।
অপরাধ বিচিত্রাঃ
বর্তমান বিশে^র সবচেয়ে আলোকিত সমস্যা মিয়ানমারের রোহিঙ্গা মুসলমানদের নিয়ে আমাদের দেশের মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা তাদেরকে আশ্রয় দিয়ে বিশ্ব বিবেকে সাড়া ফেলেছেন। তিনি এও বলেছেন রোহিঙ্গা মুসলমান ভাইদের জন্য দরকার হলে আমরা এক বেলা খাব। জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদ তাই তাকে মাদার অব হিউম্যানিটি পুরস্কারে ভূষিত করেছেন। মাননীয় প্রধান মন্ত্রীর এই সময়োচিত পদেক্ষেপকে আপনি কিভাবে মূল্যায়ন করেন।
এ. কে. এম এ আউয়ালঃ
মাননীয় প্রধানমন্ত্রী মুসলমানদের জায়গা দেয়নি বরং সে অসহায় মানুষদের জায়গা দিয়েছেন। তিনি যে মানবতার মা সেটাতো তিনি এই ঘটনা থেকে প্রমাণ করেছেন। এটা জননেত্রী শেখ হাসিনা ছাড়া এই বলিষ্ঠ পদক্ষেপ নেয়া আর কারো পক্ষে সম্ভব হতো না।
অপরাধ বিচিত্রাঃ
আপনার নির্বাচনী এলাকা নিয়ে ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা কি?
এ. কে. এম এ আউয়ালঃ
পিরোজপুর-০১ আসনে জননেত্রী শেখ হাসিনার গণমুখী কর্মসূচি ঘরে ঘরে যাতে পৌছে দিতে পারি সেটাই আমার কাজ। যেমন বাংলাদেশ সরকারের শতভাগ বিদ্যুৎ ব্যবস্থার ভাগ আমি ও আমার এলকায় বাস্তবায়ন করার প্রক্রিয়ায় রয়েছি। ভবিষ্যৎতে সরকারের প্রতিটি পদক্ষেপ যেন আমার এলাকার জনগণের মাঝে ছড়িয়ে দিতে পারি।
অপরাধ বিচিত্রাঃ
পিরোজপুর-১ আসনের আওয়ামী লীগের রাজনীতি বলতে আপনাকে বোঝায় ও আপনিই রাজনীতি টিকিয়ে রেখেছেন, জামায়াতের শক্ত প্রতিপক্ষকে হারিয়ে আপনিই নৌকা প্রতীক জিতেছেন। পিরোজপুর-১ আসনের জনগণ আপনাকেই জানে ও চিনে কিন্তু সম্প্রতি একটি মহল পিরোজপুর-১ আসনের রাজনীতি দিধাবিভক্তি করার অপচেষ্টায় লিপ্ত রয়েছে। তাদের আসল উদ্দেশ্য কি? এ ব্যাপারে আপনার বক্তব্য কি?
এ. কে. এম এ আউয়ালঃ
আমি একজন মাঠের কর্মী, তৃণমূল বলতে যেটা বোঝায় বা যেটা বলে সেটা আমি। আমার জন্মই রাজনীতির তৃণমূল থেকে। আমি কেন্দ্রীয় রাজনীতির সাথে সম্পৃক্ত ছিলাম। নেত্রীর নির্দেশে সেখান থেকে ছেড়ে আমি তৃণমূলে চলে গিয়েছি। তৃণমূলে থেকে আমি জনগণের আস্থা অর্জন করেছি। গণমুখী রাজনীতি করার এই যে সুবিধা তা এলাকার একটি স্বার্থানেস্বী মহল মানতে পারেনি। তারপরও যুদ্ধাপরাধীর বিরাট শক্তি আমার অঞ্চলে। দেলোয়ার হোসেন সাঈদীর সাজা হওয়াকে কেন্দ্র করে সারা দেশে যে ধরনের লঙ্কাকান্ড ও অরাজকতা বেঁেধ গিয়েছিল তখন আমার অঞ্চলে একটি পাতাও পড়তে পারেনি, অর্থাৎ কোন ধরনের কোন রাজনৈতিক সহিংসতা হয়নি। যার কারণে একটি সুবিধাবাদী মহল রাজনীতিতে বিবাদ বাধানোর চেষ্টা করছে। ষড়যন্ত্র যুগে যুগে সবসময় হয়েছে এটাকে ওভারকাম করাই নেত্রীত্বের গুণ। ওভারকাম করতে যে পারেনা সে তো রাজনীতির মাঠ থেকে ছিটকে পড়বে। তবে ইনশাআল্লাহ্ আমার এলাকায় এটা নিয়ে কোন সমস্যা হবে না। অসুবিধা হয় কিন্তু সমস্যা হবে না।
অপরাধ বিচিত্রাঃ
আগামী নির্বাচন সম্পর্কে আপনার ভবিষৎ পরিকল্পনা কি?
এ. কে. এম এ আউয়ালঃ
জননেত্রী শেখ হাসিনা যে নির্দেশ আমাকে দিবেন সেটা বাস্তবায়ন করাই আমার পরিকল্পনা এবং এটা আমি বাস্তবায়ন করবোই ইনশাআল্লাহ্, জয় বাংলা, জয় বঙ্গবন্ধু, বাংলাদেশ চিরজীবী হোক।

Print Friendly, PDF & Email

মন্তব্য করুন

Please enter your comment!
Please enter your name here

three × one =