মাজহারুল ইসলামঃ
রাজিবপুর উপজেলা সদর থেকে ০৩ কিলোমিটার পুর্বে এবং রৌমারী উপজেলা থেকে প্রায় ১৮ কিলোমিটার দক্ষিন পুর্বে অবস্থিত ভারতীয় সীমান্ত লগ্ন রৌমারী বর্ডার হাট।
জিনজিরাম নদীটি ভারত থেকে বয়ে আসা একটি শাখা নদী। কালের আবর্তে নদীটির ভয়াল রুপ ও ভাঙ্গনের তান্ডব থেমে গেলেও বন্ধ হয়নি স্রোতধারা। ১শ মিটার প্রস্তের নদীটির উপর একটি ব্রীজের দাবীতে বর্ডার হাটের সাথে জরিত ব্যাবসায়ী, বিজিবি ও ঐ অঞ্চলের মানুষ বার-বার এমপি, চেয়ারম্যান ও রাজনৈতিক নেতাদের দরবারে ধরনা ধরেও তাদের দাবী পূরণ হয়নি। জিনজিরাম নদী দ্বাড়া যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন ভারতীয় সীমান্ত সংলগ্ন বর্ডার হাটের সাথে জরিত ব্যবসায়ী ও বিজিবিগন চলাচলে বিঘœ ঘটায় সারাক্ষন থমকে থাকে।
বালিয়ামারী, লাঠিয়ালডাঙ্গা গ্রামের আব্দুস ছালাম, জমির উদ্দিন, লাল মিয়া, কফিল উদ্দিন, রিয়াজুলসহ বিভিন্ন ব্যবসায়ীগন বলেন, বাপ দাদার মুখে গল্প শুনেছি বংশানুক্রমে ৭ পুরুষেও এই নদীর উপর কোন ব্রীজ নির্মাণ হয়নি। যুগযুগ ধরে এ অঞ্চলের মানুষ বর্ষা মৌসুমে ডিঙ্গি নৌকা, কলাগাছের ভেলা ও নানা উপায়ে পারাপার হতো। শুকনো মৌসুমে প্রতি বছরই এলাকার সকলই মিলেমিশে চাদা দিয়ে বাঁশ কাঠ সংগ্রহ করে স্বেচ্ছা শ্রমে বাঁশের সাঁকো নির্মাণ করে জিঞ্জিরাম নদীর পুর্ব পারের সীমান্ত সংলগ্ন গ্রামের মানুষ পারাপার হয়ে থাকে। গত ২০১২ সালে বর্তমান সরকার ভারত বাংলাদেশের যৌথ ব্যবসার লক্ষে বর্ডার হাট নামের একটি হাট স্থাপন করেছেন। বর্তমানে একটি ব্রীজের অভাবে আমরা বর্ডার হাটে মালামাল নৌকা যোগে যাতায়াতে ক্রয় বিক্রয় করতে হীমশীম খাচ্ছি। ফলে এলাকাবাসীর প্রাণের দাবী বর্ডার হাটে যোগাযোগ ও ব্যবসায়ীক কাজে সুবিধার জন্য জিনজিরাম নদীর উপর ব্রীজ নির্মাণ করে যাতায়াতের নিশ্চয়তা প্রদানে সরকারের সুদৃষ্টি কামনা করেন।