ওসি মোঃ ইয়াছিনুল হক কর্তৃক সাংবাদিক নির্যাতন ও ঘুষ বাণিজ্য

0
1647

পুলিশই জনতা, জনতাই পুলিশ, এই কথা বাংলাদেশ পুলিশের মূলনীতি থাকলেও হবিগঞ্জ সদর মডেল থানার ওসি ইয়াছিনুল হক আছেন এই শ্লোগানের বিপরীত মুখি। একজন পুলিশ অফিসারের কারণে পুলিশ বাহিনীর সুনাম নষ্ট হইতে পারে না। ওসি যেমন কথা বলেন, তেমনি কাজ করেন। ওসি বলেছিলেন প্রতিনিধিকে এক ডজন মামলার আসামী করবেন। তারই ধারাবাহিকতায় অদ্যাবধি প্রতিনিধির বিরুদ্ধে যে ৪টি মিথ্যা ও কাল্পনিক মামলা করিয়েছেন ।
একটি অভিযোগ সম্পর্কে জানতে চাইলে ওসি প্রতিনিধির সঙ্গে খুবই খারাপ আচরন করেন। তারই পরিপ্রেক্ষিতে হবিগঞ্জ প্রতিনিধি বিগত ১০/১২/১০১৬ ইং তারিখে একটি অভিযোগ সম্পর্কে খোঁজ নিতে চাইলে ওসি প্রতিনিধির সঙ্গে খুবই খারাপ আচরন করেন। পরবর্তিতে প্রতিনিধি মাননীয় ডিআইজি সিলেট রেঞ্জ ও পুলিশ সুপার হবিগঞ্জ বরাবরে ওসির বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করিলে ওসি প্রতিনিধির উপর ভীষণ ভাবে ক্ষিপ্ত হন। উক্ত আক্রোশের ধারাবাহিকতায় বিগত ৩১/০৩/২০১৭ ইং তারিখে সদর উপজেলার লুকড়া গ্রামের আব্দুল আওয়াল ওরফে কালাই মিয়াকে বাদী করিয়া একটি মিথ্যা ও কাল্পনিক ঘটনা সজিয়ে প্রতিনিধির বিরুদ্ধে জি.আর.মামলা নং- ১১৫/১৭ ইং দায়ের করিয়ে প্রতিনিধিকে গ্রেফতার করিয়েছিলেন। এর পরিপ্রেক্ষিতে প্রতিনিধি হবিগঞ্জ জেলা কারাগারে থাকা কালীন বিগত ০৪/০৪/২০১৭ ইং তারিখে লুকড়া গ্রামের ইউনুছ আলীকে বাদী করিয়া আরেকটি মিথ্যা মামলা দায়ের করেন যার সি.আর মামলা নং- ১৯৯/১৭ ইং। বিগত ১০/০৪/২০১৭ ইং তারিখে রিচি গ্রামের আলমগীর মিয়াকে বাদী করিয়ে আরেকটি মিথ্যা ও কাল্পনিক মামলা করান, যার সি.আর. মামলা নং-২২২/১৭ ইং। প্রতিনিধি উক্ত মামলাগুলেতে মাননীয় বিজ্ঞ আদালতে হাজির হয়ে জামিনে আছেন।

প্রতিনিধির বিরুদ্ধে ৩টি মামলা করানোর পরও ওসি ইয়াসিনুল হক ক্লান্ত হননি। সর্বশেষ বিগত ১০/০৪/২০১৮ ইং তারিখে বড় বহুলা গ্রামের কল্পনা আক্তার পারভিনকে বাদী বানিয়ে প্রতিনিধির বিরুদ্ধে নারী ও শিশু নির্যাতান ট্রাইব্যুনাল হবিগঞ্জে আরেকটি মামলা দায়ের করান। যার মামল নং- ৩৫৮/১৮ বিজ্ঞ আদালত ওসি হবিগঞ্জকে তদন্ত প্রতিবেদন দেওয়ার জন্য নির্দেশ প্রাদান করেন। মামলাটি ওসি ইয়াসিনুল হকের কাছে তনন্তধীন আছে। মামলাটিতে প্রতিনিধি ন্যায় বিচার থেকে নিশ্চত বঞ্চিত হবে উক্ত ওসির প্রভাবের কারনে। উক্ত ওসির বিরুদ্ধে মাননীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী ও মাননীয় স্বরাষ্ট্র সচিব এবং পুলিশের আই.জি.পি মহোদয় বরাবরে একাধিক লিখিত আবেদন করেন। হবিগঞ্জ সদর মডেল থানার ওসি ইয়াছিনুল হক প্রতিনিধির বিরুদ্ধে ইতিপূর্বেও কোন রকম তদন্ত ছাড়াই ৩টি মামলার প্রতিবেদন দাখিল করেন এবং মিথ্যা ও কালপনিক ৪টি মামলা কারিয়েছেন যা ওসি ইয়াছিনুল হক আর্ন্ডাগ্রাউন্ডে থেকে ও মামলার খরচ বহন করছেন। ওসি আরো বিভিন্ন মামলা মোকাদ্দমায় প্রতিনিধিকে জড়াইতে পারেন এবং প্রতিনিধির পরিবারের যেকোন সদ্যসকে যেকোন সময় ভাড়াটিয় খুনিদেরকে দিয়ে খুন করাতে পারেন বলে আশংকা রয়েছে।
ওসি ইয়াছিনুল হক সর্ম্পেকে যতটুকু তথ্য পাওয়া গেলো আরো উল্লেখ্য যে, হবিগঞ্জ সদর মডেল থানা এলাকায় নিরিহ বিভিন্ন লোকদের মাধ্যেমে জানা যায় যে, নি¤œশ্রেনী থেকে ধরে যেকোনা লোক থানায় সেবা নিতে গেরল প্রায় ২০,০০০ হাজার টাকা ওসিকে দিতে হয়। নতুবা থানায় কোনো ধরনের সেবা পাওয়া যাবেনা। এলাকার সাধারন মানুষের ভাস্য। তদন্ত করিলে এর প্রমান পাওয়া যাবে। আরো তদন্ত সাপেক্ষে প্রমান সহ নিউজে আসবে। ওসি ই্য়াছিনুল হক বিগত ২০০১ সালে বাাংলাদেশ পুলিশ বাহিনিতে সাব-ইনেসপেক্টর পদে যোগদান করার পর হতে অধ্যবধি যেসব জেলায় চাকরি করেছেন তার নিরপেক্ষ তদন্ত করিলে তার চরিত্র ও তার দুর্নীতি সম্পর্কে অনেক তথ্য প্রমান পাওয়া যাবে। কারন তার বাড়ি বিবাড়িয়া জেলায় তার দুর্নীতি ও চাঁদাবাজি কৌশল আগে থকেই সকলে জানা ছেল।। হবিগঞ্জ প্রতিনিধিকে নির্যাতনের পর গত ০১/০৬/২০১৮ ইং রোজ শুক্রবার তারই নির্দেশে সদর মডেল থানার পুলিশ অফিসার গন সম্মিলিত ভাবে হবিগঞ্জ চ্যানেল এস.এ জেলা প্রতিনিধি সিরাজুল ইসলাম জিবনকে ঐ রাতে তার বাসা হতে আটক করে রাতভর চোখ বেধে মারধর করেছে এবং দুই লক্ষ টাকা চাঁদা দাবি করেছেন। চাঁদার টাকা না দেওয়ার কারনে মডেল থানার পুলিশ এই সময় সিরাজুল ইসলাম জিবনের পায়ূপথে জলন্ত মমবাতির ফূটা ফেলে আগুনের ছ্যাকা দিয়ে নির্যাতন করেছেন এবং ইয়াবা বিক্রির মিথ্যা অভিযোগে কোর্টে চালান করেছেন। বাংলাদেশ মফস্বল সাংবাদিক ফোরামের পক্ষ থেকে তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানানো হয়েছে। শুক্রবার রাত নয় ঘটিকায় এ প্রতিবাদ জানানো হয়েছে। সাংবাদিক নির্যাতনের ঘটনার সাথে ওসি সহ সকল পুলিশ অফিসারদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি করেছেন। বর্তমানে সাংবাদিক জিবন হবিগঞ্জ বিজ্ঞ আদালতে জামিনের পর হবিগঞ্জ আধুনিক সদর হাসপাতালে সিকিৎসাধিন অবস্থায় আছেন।

Print Friendly, PDF & Email

মন্তব্য করুন

Please enter your comment!
Please enter your name here

5 × five =