Site icon Aparadh Bichitra

এবার ২০ শতাংশও বাড়াতে রাজি নয় মালিকপক্ষ

২০১৩ সালে পোশাক খাতে ন্যূনতম মজুরি যেখানে প্রায় শতভাগ বাড়ানো হলেও এবার ২০ শতাংশও বাড়াতে রাজি নয় মালিকপক্ষ। ন্যূনতম মজুরি বোর্ডে শ্রমিক সংগঠনের পক্ষ থেকে যেখানে ন্যূনতম মজুরি নির্ধারণের দাবি করা হয় ১২ হাজার টাকা সেখানে মালিক পক্ষ দিতে চাইছে মাত্র ৬ হাজার ৩৬০টাকা। এ নিয়ে শ্রমিকদের বিভিন্ন সংগঠন আন্দোলন সমাবেশ করলেও চলতি বছরের মধ্যে এ ন্যূনতম মজুরি নির্ধারিত হচ্ছে বলে নিশ্চিত করেছে পোশাক মালিকদের একাধিক সংগঠন।

জানা যায়, বর্তমানে পোশাক শ্রমিকদের ন্যূনতম মজুরি রয়েছে পাঁচ হাজার ৩০০ টাকা। এর প্রেক্ষিতে মালিকপক্ষ মাত্র ১৯ শতাংশের কিছু বেশি মজুরি বাড়াতে চাইলেও চলতি অর্থবছরে এটি নির্ধারণের কোনো ঘোষণা আসছে না বলে জানিয়েছেন নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক বিজিএমইএ এর এক কর্মকর্তা। তিনি বলেন, নির্বাচনের বছর হিসেবে সরকারের উচ্চ পর্যায় থেকেই পোশাক শ্রমিকদের ন্যূনমত মজুরি নির্ধারণের চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নিতে কালক্ষেপন করছে। এক্ষেত্রে পোশাক মালিকদের তো করণীয় কিছু নেই। বিষয়টি নিয়ে কোনো মন্তব্য করতে রাজ হননি স্বয়ং বিজিএমইএ এর সভাপতি মো. সিদ্দিকুর রহমানও। তিনি বলেন, পোশাক শ্রমিকদের ন্যূনতম মজুরি নিয়ে একটি বোর্ড গঠিত হয়েছে। বোর্ডের সিদ্ধান্ত মতোই নির্ধারিত হবে এটি। এখনই এ বিষয়ে কথা বলার সময় আসেনি। এদিকে বিষয়টি নিয়ে পোশাক মালিকরাই চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নিতে কাল ক্ষেপন করছে বলে মনে করছেন পোশাক শ্রমিক নেতা গার্মেন্টস শ্রমিক ঐক্য ফোরামের সভাপতি মোশারেফা মিশু। তিনি বলেন, আমরা যে মজুরির দাবি করেছি সেটার ধারে কাছেও নেই মালিকপক্ষের প্রস্তাব। এদিকে আবার দিনের পর দিন পেরিয়ে যাচ্ছে এই বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্তে আসতে পারছে না কেউই। আমি মনে করি এটি শ্রমিকদের অধিকার পাওনা অধিকার থেকে বঞ্চিত করার একটি ষড়যন্ত্র। অর্থনীতির মূলে যারা রয়েছে তাদের বেতন-ভাতা নিয়ে এরকম ছিনিমিনি খেলা কিছুতেই মেনে নেওয়া যায় না। আগস্টের মধ্যেই এ বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া না হলেও শ্রমিক সংগঠনগুলো কঠোর কর্মসূচিতে যাবে বলেও মন্তব্য করেন তিনি। পোশাক শ্রমিকদের ন্যূনতম মজুরি পুনঃনির্ধারণ করা হয়েছিল ২০১৩ সালের ১ ডিসেম্বর। পাঁচ হাজার ৩০০ টাকা ন্যূনতম মজুরি ঠিক করা হয় তখন। নতুন কাঠামোয় ওই বেতন তারা পাচ্ছেন পরের জানুয়ারি থেকে। আর চলতি বছরের ১৪ জানুয়ারি পোশাক শ্রমিকদের নতুন মজুরি নির্ধারণে মজুরি বোর্ড গঠন করে সরকার। বোর্ডকে আগামী ছয় মাসের মধ্যে শ্রমিকদের মজুরি নির্ধারণ করে সুপারিশ দিতে বলা হলেও ৬মাস পেরিয়ে গেলেও এ বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্তে আসতে পারেনি মজুরি বোর্ড।