হবিগঞ্জ শহরের মুদীমাল ব্যবসায়ী গৌরাঙ্গ লাল দাশ চৌধুরীকে নির্মমভাবে খুন-

0
846

হবিগঞ্জ প্রতিনিধি ॥ ঘাতকরা গৌরাঙ্গের মুখমন্ডল স্কচটেপ দিয়ে মুড়িয়ে শ্বাসরোধ করে ফেলে। চুনারুঘাটে খোয়াই নদী থেকে ভাসমান অবস্থায় লাশ উদ্ধার করা হয়। নিহতের শরীরে আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। স্বজনদের ধারণা টাকা-পয়সার লেনদেনের ঘটনায় তাকে খুন করা হয়ে থাকতে পারে ॥
হবিগঞ্জ শহর থেকে নিখোঁজ হওয়ার দু’দিন পর হাত-পা বাধা ও মুখে স্কচটেপ মোড়ানো অবস্থায় ব্যবসায়ী গৌরাঙ্গ লাল দাশ চৌধুরীর (৩৯) লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ।

গতকাল শনিবার বিকেল ৩টার দিকে চুনারুঘাট পৌর এলাকার পূর্ব বরাইল খোয়াই নদীর মধ্যস্থানে একটি লাশ ভাসমান দেখে স্থানীয় লোকজন চুনারুঘাট থানা পুলিশকে খবর দেয়। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে লাশটি উদ্ধার করে। সংবাদ পেয়ে গৌরাঙ্গের পরিবারের সদস্যরা ঘটনাস্থলে গিয়ে লাশটি গৌরাঙ্গের বলে শনাক্ত করেন। সন্ধ্যায় গৌরাঙ্গের লাশ ময়না তদন্তের জন্য হবিগঞ্জ সদর আধুনিক হাসপাতাল মর্গে প্রেরণ করা হয়।
নিহতের পারিবারিক সূত্র জানায়, শহরের মাছুলিয়া এলাকার বাসিন্দা ঘোষপাড়ায় বসবাসকারী গৌরাঙ্গ লাল দাশ চৌধুরী দীর্ঘদিন ধরে কোর্টস্টেশন রোডস্থ সোমা স্টোর দোকানে মুদীমালের ব্যবসা করে আসছেন। বৃহস্পতিবার রাত প্রায় সাড়ে ৯টা থেকে তাকে খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না। এ ঘটনায় তার ভাই অ্যাডভোকেট রাজগোপাল দাশ চৌধুরী হবিগঞ্জ সদর থানায় সাধারণ ডায়রি করেন। এতে তিনি উল্লেখ করেন বৃহস্পতিবার রাত প্রায় সাড়ে ৯টায় ব্যবসায়িক কাজে তার ভাই গৌরাঙ্গ লাল দাশ চৌধুরী কর্মচারিকে দোকানে রেখে আধ ঘন্টা সময়ের কথা বলে বাইরে যান। দীর্ঘ সময় পেরিয়ে গেলেও তিনি দোকানে না ফেরায় তার ব্যবহৃত মোবাইল নাম্বারে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলে তার মোবাইল নাম্বার দু’টি বন্ধ পাওয়া যায়। অ্যাডভোকেট রাজগোপাল দাশ চৌধুরী আত্মীয়-স্বজনসহ তার বন্ধু-বান্ধব ও পরিচিতজনদের সাথে যোগাযোগ করেও ছোট ভাই গৌরাঙ্গ লাল দাশ চৌধুরীর কোন সন্ধান পাননি। এদিকে শনিবার বিকেলে চুনারুঘাট থানা পুলিশ খোয়াই নদী থেকে ভাসমান অবস্থায় লাশ উদ্ধার করেছে মর্মে খবর পেয়ে গৌরাঙ্গের পরিবারের লোকজন সেখানে গিয়ে লাশ শনাক্ত করেন। তার পরিবারের লোকজনে ধারণা টাকা-পয়সার লেনদেন থেকে কিংবা পারিবারিক শত্রুতার জের ধরে তাকে হত্যা করা হয়ে থাকতে পারে।
এ ব্যাপারে অ্যাডভোকেট রাজগোপাল দাশ চৌধুরী জানান, কারা আমার ভাইকে খুন করেছে এখনও আমরা তা নিশ্চিত হতে পারিনি কিংবা আন্দাজও করতে পারছি না। যারাই আমার ভাইকে খুন করে থাকুক না কেন আমরা সুষ্ঠু তদন্তের মাধ্যমে ঘাতকদের খুঁজে বের করে গ্রেফতারের দাবি জানাচ্ছি।
চুনারুঘাট থানার ওসি একে এম আজমিরুজ্জামান জানান, ঘাতকরা গৌরাঙ্গকে অপরহরণ করে হাত-পা বেধে ও মুখে স্কচটেপ পেছিয়ে হত্যা করেছে। পরে লাশ গোপন করার জন্য খোয়াই নদীতে ফেলে দিয়েছে।

Print Friendly, PDF & Email

মন্তব্য করুন

Please enter your comment!
Please enter your name here

3 × five =