Site icon Aparadh Bichitra

ব্যাংকগুলোতে থামছে না লোপাট

এবার কেন্দ্রীয় ব্যাংক বাংলাদেশ ব্যাংকের ভোল্টে স্বর্ণ নিয়ে ঘটে গেল কেলেংকারির ঘটনা। ভোল্টের দায়িত্বে থাকা কর্মকর্তারা জড়িত না থাকলে এধরনে ঘটনা ঘটতে পারে না। এর আগে ৮ শত কোটি টাকা চুরির ঘটনা নিয়ে গোটা দেশে তোলপাড় হয়ে গেল যার তরঙ্গ আজও বয়ে চলছে। অগ্রণী, সোনালী, জনতা ও রুপালী ব্যাংকে যেভাবে খেলাপি গ্রাহকের সংখ্যা বাড়ছে তা আশংকাজনক। বিশেষ করে অগ্রণী ব্যাংক নিয়ে যে উদ্বেগ সৃষ্টি হচ্ছে তা আশংকাজনক। গণমাধ্যমে প্রকাশিত সংবাদে জানা যায় বিশটি খেলাপি ঋনগহীতা অগ্রণী ব্যাংককে গিলে খাচ্ছে। এর সাথে জড়িত আছে ব্যাংকটির কিছু দুর্নীতিবাজ জিএম, ডিএমডি ও আরও বিভিন্ন শ্রেণীর কর্মকর্তারা।

চট্টগ্রামের ইলিয়াস ব্রাদার্স, নুরজাহান গ্রুপ, সামান্নাজ গ্রুপ ও আরও কয়েকটি অসাধু গ্রাহকের কাছে অগ্রণী ব্যাংকের কোটি কোটি টাকা পাওনা। ঢাকার তানাকা গ্রুপ, এসডিএস, সিদ্দিক ট্রেডার্স, লিনা পেপারস, মায়ের দোয়া, রুপগঞ্জ ট্রেডিং, নীলফামারী শাখার শাওন ব্রিকস্ক লি: সহ আরও কিছু অসাধু গ্রাহক ব্যাংকটিকে দেউলিয়া করে দিচ্ছে।

দুর্নীতিবাজ কর্মকর্তাদেরকে ব্যাংক পুরষ্কার দিয়ে পদোন্নতি দিচ্ছে। সৎ কর্মকর্তাদেরকে মিথ্যা অভিযোগে সাজা দিয়ে বছরে পর বছর হয়রানি করে যচ্ছে। ব্যাংকটির বর্তমান জিএম আইন সুকান্ত বিকাশ সান্যাল, জিএম মনোয়ার হোসেন, হেড অব আইসিসি ও ডিএমডি মশিউর আলীর দুর্নীতি নিয়ে গণমাধ্যমে যে সংবাদ প্রকাশিত হয়েছে তা আতংক সৃষ্টি করে। বর্ণিত এসব কর্মকর্তাদের দুর্নীতি নিয়ে অপরাধ বিচিত্রায় পূর্ববর্তী দুটি সংখ্যায় সংবাদ প্রকাশিত হয়েছে। প্রকাশ, উক্ত সংবাদটি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে। অর্থাৎ গোটা দেশবাসী জেনে গেছে অগ্রণী ব্যাংক লি: এর কর্মকর্তাদের দুর্নীতির মহোৎসব। অথচ ব্যাংক কর্তপক্ষ নিরব যা প্রশ্নবিদ্ধ। এদিকে ঢাকার পুরানা পল্টন শাখার সাবেক ডিজিএম যিনি বর্তমানে ব্যাংকটির হেড অফিসে কর্মরত আছেন তার বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগ দিয়ে বছরের পর বছর হয়রানি করা হচ্ছে। বিষয়টি আদালতে প্রমাণিত হয়েছে যে উক্ত ডিজিএম এর বিরুদ্ধে ব্যাংক মিথ্যা অভিযোগ এনে হয়রানি করেছে। আদালতের রায়ে উক্ত ডিজিএমকে তার বকেয়া পাওনা পরিশোধ করে তাকে জিএম পদে পদোন্নতি দেয়ার জন্য অগ্রণী ব্যাংকেকে নির্দেশ দেন। অগ্রণী ব্যাংকে এধরনের অনিয়মের খেলা বন্ধ করতে হবে। সেই সাথে অন্যান্য ব্যাংকের দুর্নীতির লাগাম ধরতে হবে।