ছাতক (সুনামগঞ্জ )প্রতিনিধি :
সুনামগঞ্জের ছাতকে হাইকোটের আদেশ অমান্য ও শিক্ষা মন্ত্রনালয় যুন্ম সচিবে পরিপত্রের নিদেশের ৮দিন ও জেলা শিক্ষা কর্মকতা মানছেন না । এ অনিয়মের ঘটনা ধামাচাপা দিতে জেলা ও উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসে গত সোমবার গভীর রাতে শিক্ষক নামে একটি স্বাথোন্বষী সিন্ডিকেট চত্রু বির্তকিত কর্মকতাকে নিয়ে গোপন বৈঠক অনুষ্টিত হয়েছে । এ বৈঠকে হাইকোটের আদেশ অমান্য ও শিক্ষা মন্ত্রনালয়ের নিদেশে ২৪টি বিদ্যালয় থেকে পদায়ন প্রধান কে প্রত্যাহারে আদেশ এখনো বাস্তবায়ন করেনি জেলা শিক্ষা কর্মকতা । এ অনিয়ম দুনীতি ও ঘুষ কেলেংকারির ঘটনায় উপজেলা শিক্ষা অফিসে ব্যাপক তোলপাড় সৃষ্টি হয়েছে। বিতকিত কর্মকতাকে ঘুষ দুনীতির ঘটনায় থেকে বাচাঁতে শিক্ষকরা তার পক্ষে ও বিপক্ষে প্রতিবাদ সভা করেছেন ।
জানা গেছে,সহকারী শিক্ষকদের চলতি দায়িত্ব হিসেবে (জ্যেষ্ঠতার ভিত্তিতে)৬০ প্রধান শিক্ষক পদে পদায়ন নিয়ে রমরমা বাণিজ্যের অভিযোগ উঠেছে সুনামগঞ্জ জেলা ও উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা দু’ কর্মকতার বিরুদ্ধে। এছাড়াও ওই প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে টাকার বিনিময়ে শিক্ষকদের পছন্দের বিদ্যালয়ে বদলির অভিযোগ রয়েছে । এসব কাজে জেলা ও উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা দু’ কর্মকর্তা মিলে মিশে ঘুষ বানিজ্যের করেছে বলে অভিযোগ করে শিক্ষকরা । এসব ক্ষেত্রে মানা হয়নি আদালতের নিষেধাজ্ঞা, মন্ত্রী এবং প্রতিমন্ত্রীর ও সুপারিশও।
এদিকে সদ্য জাতীয়করণকৃত সুনামগঞ্জের ছাতক উপজেলায় ৪৭টি বিদ্যালয়ের পক্ষ থেকে হাইকোর্টে ২টি রিট পিটিশন করা হয়েছে।হাইকোটে স্থগিতাদেশ থাকায় বিদ্যালয়গুলোতে চলতি দায়িত্বে প্রধান শিক্ষককে পদায়ন না করার জন্য অর্থ ও পরিকল্পনা প্রতিমন্ত্রী এমএ মান্নান জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তাকে সুপারিশ করে। কিন্তু প্রতিমন্ত্রীর সুপারিশ অমান্য করে বিদ্যালয়গুলোতে চলতি দায়িত্বে প্রধান শিক্ষক পদায়ন করা হয়। বিদ্যালয়গুলো হলো- বুড়াইর গাও,নোয়াগাও আব্দুল জব্বার খিদ্রাকাপন,খাসগাও,পাইগাও,দক্
ওইসব বিদ্যালয়ের দায়িত্বে থাকা প্রধান শিক্ষকরা জানান, তাদের বিদ্যালয়ে যাতে অন্য কোনো প্রধান শিক্ষক দেয়া না হয় সে জন্য তারা উচ্চ আদালতে রিট পিটিশন করেছেন। আদালতের নিষেধাজ্ঞা সত্ত্বেও শিক্ষা অফিস ওইসব বিদ্যালয়ে প্রধান শিক্ষক পদায়ন করছে।
ছাতক উপজেলার শিক্ষক আলমগীর ও কামাল জানান, নীতিমালা অনুযায়ী শিক্ষকদের কাছের বিদ্যালয়ে পদায়ন করার কথা। কিন্তু এ নীতিমালাও মানছেন না জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা। এ উপজেলার ৪৭টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় মামলায় জড়িত আছে।
এ ৪৭টি বিদ্যালয়ে প্রধান শিক্ষকের পদ নিয়ে হাইকোর্টে মামলা চলমান। তাই বিদ্যালয়গুলোতে প্রধান শিক্ষক নিয়োগে স্থগিতাদেশ রয়েছে। তারপরও আর্থিক সুবিধা গ্রহণের মাধ্যমে আদালতের নির্দেশনা অমান্য করে সেখানেও পদায়নের আদেশ দিয়েছেন জেলা ও উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা। উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকতা মানিক চন্দ্র দাশ জানান, শিক্ষা মন্ত্রনালয়ে অনুমোদন নিয়ে এসব বিদ্যালয়ে পদায়ন প্রধান শিক্ষক নিয়োগ সম্পন্ন করা হয়েছে । শিক্ষা মন্ত্রনালয়ে যুন্ম সচিবের পরিপত্রের আদেশ ব্যাপারে প্রশ্ন করা হলে তিনি উত্তর দিতে নারাজ। এ ব্যাপারে জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা পঞ্চানন বালা জানান, শিক্ষকদের পদায়ন নিয়মমাফিক হয়েছে। একটি পক্ষ সুবিধা না পেয়ে তার বিরুদ্ধে কুৎসা রটাচ্ছে।হাইকোট ও শিক্ষা মন্ত্রনালয়ে আদেশে পরিপত্রের ব্যাপারে প্রশ্ন করলে তিনি সঠিক উত্তর দিতে পারেনি