নীলফামারী-৪ আসন থেকে দলীয় মনোনয়ন প্রত্যাশী সাবেক ছাত্রলীগ নেতা অধ্যক্ষ শহীদুল ইসলাম

6
934

মোঃ মোরছালীন: নীলফামারী-৪ (কিশোরগঞ্জ-সৈয়দপুর) আসন থেকে আগামী ১১তম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগ মনোনয়ন প্রত্যাশী আলহাজ্ব এ.কে.এম শহীদুল ইসলাম প্রিন্সিপাল। তিনি নীলফামারী জেলার কিশোরগঞ্জ উপজেলার পুটিমারী ইউনিয়নের ভেরভেরী গ্রামের কৃতি সন্তান। রাজনৈতিক দিক থেকে নীলফামারীর বৃহৎ আওয়ামী লীগ পরিবারের একজন ব্যক্তিত্ব সম্পন্ন মেধাবী ও বিচক্ষণ রাজনৈতিক নেতা হিসেবে তিনি পরিচিত। তিনি ছাত্র জীবন থেকেই রাজনীতির সঙ্গে প্রত্যক্ষভাবে জড়িত। ১৯৬৪-৬৫ ইং সালে উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা বর্ষে নীলফামারী কলেজে অধ্যয়নকালে প্রয়াত আওয়ামী লীগ নেতা দুলু সাহেবের সাথে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে বঙ্গবন্ধুর দিক নির্দেশিত জেলা ভিত্তিক বিভিন্ন কর্মসূচীতে নেতৃত্ব দেন। ১৯৬৬ সালে অধ্যক্ষ শহীদুল ইসলাম ছাত্রলীগের দ্বি-বার্ষিক কাউন্সিল অনুযায়ী কেন্দ্র থেকে প্রেরিত নেতা আব্দুর রউফ ও মজিবুল হকের পরিচালনায় রংপুর জেলা ছাত্রলীগের কাউন্সিল তুমুল প্রতিযোগিতার মধ্য দিয়ে ওহাব-শহীদুল প্যানেল বিজয়ী হয়। রংপুর জেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক হিসেবে শহীদুল নেতৃত্ব দেন। সাধারণ সম্পাদক থাকাকালীন নিপীড়িত বাঙ্গালীর পক্ষে বঙ্গবন্ধুর ৬ দফা দাবী নিয়ে লালমনিরহাট, কুড়িগ্রাম, গ্ইাবান্ধা ও নীলফামারী জেলার বিভিন্ন বিক্ষোপ সমাবেশে তিনি জোড়ালো অবদান রাখেন। ১৯৬৮ সালে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে অর্র্থনীতিতে এম.এ অধ্যয়নকালীন সময়ে রাকসু ভিপি আব্দুর রহমানের সহায়তায় জিন্নাহ হলে ২৬ নং কক্ষে সিট পান।

ছাত্রলীগ নেতা শহীদুল ইসলামের ছাত্র জীবন শেষ না হতেই ১৯৭০ সালের ১লা আগস্ট লালমনিরহাট ডিগ্রী কলেজে অর্থনীতি বিষয়ে শিক্ষকতা শুরু করেন। স্বাধীনতা যুদ্ধে অধ্যক্ষ শহীদুুল ইসলাম মুক্তির সংগ্রাম ও যুদ্ধ জয়ের চেতনা নিয়ে এপ্রিলের শুরুতে লালমনিরহাট ত্যাগ করেন এবং চিলাহাটি বর্ডার হয়ে কলকতার হলদি বাড়ী ও দেওযানগঞ্জে যান। প্রয়াত আজহারুল ইসলামের নেতৃত্বে মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণ করে দেশের অভ্যান্তরে চলে আসেন। যুদ্ধ চলাকালীন সময় একজন মুক্তি বাহিনী হিসেবে তিনি যুদ্ধকালীন দায়িত্ব পালন করেন। দেশ স¦াধীন হলে তিনি ২০ ডিসেম্বর কিশোরগঞ্জ এ্যাডমিনিস্ট্রিটিভ অফিসারের কাছে যোগদান পত্র জমা দেন ্এবং সনদ গ্রহণ করে পরের সপ্তাহে লালমনিরহাট ডিগ্রী কলেজে পুনরায় যোগদান করেন। বহু খ্যাতনামা প্রতিষ্ঠানে অসাধারণ গ্রহণযোগ্যতা পেয়েছেন। ১৯৯৪ সালে পদন্নতি জনিত কারণে তিনি ‘সদরপুর সরকারী কলেজ’ ফরিদপুরসহ দেশের বিভিন্ন কলেজে কর্মরত ছিলেন। অবশেষে তিনি অধ্যক্ষ হয়ে ‘মজিদা খাতুন সরকারী মহিলা কলেজ’ লালমনিরহাটে আবার ও ফিরে আসেন এবং ২০০৫ সালে উক্ত কলেজ থেকেই অবসরে যান। অবসরে থাকাকালীন রাজনৈতিক বিষয়ে তিনি জোড়ালো রুপে তিনি নিজেকে তৈরী করেন। ২০০৫ সালে ২৪ ও ২৫ শে আগস্ট আওয়ামী লীগের ডাকে সারা দেশব্যাপী হরতাল চলাকালে অধ্যক্ষ শহীদুল ইসলামের ছোট ভাইয়ের ছেলে রাসেল ছাত্রলীগ কর্মী পুলিশকৃত ধৃত হয়ে নীলফামারী জেলা কারাগারে ৬৫ িিদন হাজতবাস করেন।
যার ধারাবাহিকতা ২০০৮-এর জাতীয় সংসদ নির্বাচনে সংসদীয় এলাকা-১৪, নীলফামারী-৩-এর মনোনয়ন প্রত্যাশী হয়ে তৃণমূল আওয়ামী লীগ, যুবলীগ, ছাত্রলীগ, কৃষকলীগসহ অন্যান্য রাজনৈতিক নেতাকর্র্মীর সাথে ঘনিষ্ঠ রাজনৈতিক সম্পর্ক রক্ষা করেন এবং দলীয় বিভিন্ন মিটিং-এ অংশগ্রহণ ও নেতৃত্ব দেন।
২০০৮ সালে ২০ মে জননেত্রী শেখ হাসিনার মুক্তির দাবীতে অধ্যক্ষ সহীদুল ইসলামের নেতৃত্বে পুটিমারীতে গণ অনশন পালন করা হয়। তিনি কর্মজীবন ও রাজনৈতিক ব্যস্ততার মধ্য দিয়ে তাঁর সন্তানদের সুশিক্ষায় শিক্ষিত করে তুলেছেন। বর্তমান সেনাবাহিনীতে তাঁর বড় ছেলে মেজর হিসেবে কর্মরত আছেন। ছোট ছেলে বিবিএ অধ্যয়নরত বর্তমানে পুর্তগালে আছেন। তিনি ২০১১ সালে স্ব-স্ত্রীক হজ্বব্রত পালন করেন। রাজনৈতিক চিন্তায় এই প্রবীন নেতার আশা বঙ্গবন্ধুর আদর্শে দেশ পরিচালনায় তার সুযোগ্য কন্যা দেশরতœ ও বাংলাদেশের চলমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ডিজিটাল সোনার বাংলা গড়ার প্রত্যয় নির্বাচনী আসন নীলফামারী-৪ (কিশোরগঞ্জ-সৈয়দপুর) বিভিন্ন প্রেক্ষাপটে রাজনৈতিক অবদানমূূখী সেবা অব্যাহত রেখেছেন। বর্তমানে তিনি ও তাঁর পুরো পরিবার আওয়ামী লীগ দলীয় বিভিন্ন পর্যায়ে বিভিন্ন পদে থেকে দেশের বিভিন্ন এলাকা ও শিক্ষা প্রতিষ্ঠাানে নেতৃত্ব দিচ্ছেন। এ লক্ষ্যে তিনি কাজ করে যাচ্ছেন। ব্যানার, পোস্টার, বিলবোডসহ সমান তালে গণসংযোগ চালিয়ে যাচ্ছেন। তিনি নৌকার মাঝি হওয়ার ইচ্ছা বক্ত করে বলেন, এর আগে অনেকে নৌকার মাঝি হয়ে বৈঠা হাতে নিয়েছিলেন কিন্তু লক্ষ্য স্থানে নৌকা ভিড়াতে পারেনি। পশ্চাৎপদ এ আসনের মানুষের ভাগ্য নিয়ে ছিনিমিনি খেলেছেন তারা। বেশিরভাগ রাস্তাঘাট এখন ও কাঁঁচাই রয়ে গেছে। কোন কলকারখানা নেই এখানে। মানুষের কর্মসংস্থানের সুযোগ নেই। এ এলাকার মানুষ এখন ও পান্তাভাত খায়। যার ফলশ্রুতিতে আওয়ামী লীগের আন্তঃদলীয় উচ্চ পদস্থ নেতা ও নেতৃবৃন্দের দৃৃষ্টি আকর্ষণ ও প্রশাসনিক জড়িপ অনুযায়ী অধ্যক্ষ শহীদুল ইসলাম আগামী ১১তম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগ মনোনয়ন প্রত্যাশী নীলফামারী-৪ (কিশোরগঞ্জ-সৈয়দপুর) আসনের সর্র্বস্তরের জনগণ ও দেশের রাজনৈতিক ব্যক্তিবর্গসহ দেশবাসীর কাছে দোয়া ও সমর্থন কামনা করেন।

Print Friendly, PDF & Email

মন্তব্য করুন

Please enter your comment!
Please enter your name here

4 × one =