Site icon Aparadh Bichitra

বিদ্যুৎ সংযোগ না পেলেও বিল পাঠিয়েছে পল্লী বিদ্যুৎ

ছয়মাস আগে বিদ্যুৎ সংযোগ পাওয়ার জন্য স্থানীয় পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির জোনাল অফিসে আবেদন করেছিলেন বরিশালের বাবুগঞ্জ উপজেলার নতুনচর জাহাপুর গ্রামের বাসিন্দা হনুফা বেগম। গত দুইমাস ধরে বসতঘর পর্যন্ত বিদ্যুতের তার ঝুঁলিয়ে রাখলেও দেয়া হয়নি সংযোগ। বিদ্যুৎ সংযোগ না পেলেও গত জুলাই মাসের বিদ্যুৎ বিল পাঠিয়েছে পল্লী বিদ্যুৎ।

ভূতুড়ে এ কান্ডটি ঘটিয়েছে পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির জেলার গৌরনদী জোনাল অফিস। এছাড়াও জুলাই মাসে ওই এলাকার সহ¯্রাধিক গ্রাহককে মনগড়াভাবে ভূতুরে বিল পাঠানো হয়েছে বলেও গ্রাহকরা অভিযোগ করেন। বিদ্যুৎ সংযোগ না পেয়েও বিল পাওয়া নতুনচর জাহাপুর গ্রামের বাসিন্দা মোশাররফ মোল্লার স্ত্রী হনুফা বেগম জানান, বিদ্যুৎ ব্যবহার না করেও জুলাই মাসে তাকে ৭৮ টাকার বিল পাঠানো হয়েছে। বিষয়টি তিনি জোনাল অফিসে যোগাযোগ করেও কোনো প্রতিকার পাননি। পল্লী বিদ্যুৎ অফিস থেকে তাকে জানিয়ে দেয়া হয় বিল পরিশোধ করতে। এতে স্থানীয়ভাবে বিরূপ প্রতিক্রিয়ার সৃষ্টি হয়েছে। বিষয়টি জানার পর বাবুগঞ্জ উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান সরদার খালেদ হোসেন স্বপন পল্লী বিদ্যুত সমিতির জেলারেল ম্যানেজারের সাথে যোগাযোগ করার পর গত চারদিন আগে হনুফা বেগমের বসতঘরে মিটার স্থাপন করে বিদ্যুৎ সংযোগ দেয়া হলেও ভূতুড়ে বিলের ব্যাপারে কোনো সিদ্ধান্ত দেয়া হয়নি। ওই গ্রামের মৃত আবুল হোসেন হাওলাদারের পুত্র কবির হোসেন অভিযোগ করেন, আগে প্রতিমাসে তার বসতঘরে ১৫০ থেকে ১৮০ টাকা হারে বিদ্যুৎ বিল আসলেও জুলাই মাসে তার কাছে পাঠানো বিদ্যুৎ বিল এসেছে ৪৮০ টাকা। তিনি আরও জানান, স্থানীয় মসজিদে প্রতিমাসে ৮০ থেকে ৯০ টাকা বিল আসলেও জুলাই মাসে সেখানে বিল পাঠানো হয়েছে ১৮০ টাকা। এভাবেই পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির গৌরনদী জোনাল অফিস থেকে ওই এলাকার সহ¯্রাধিক গ্রাহককে মনগড়াভাবে ভূতুড়ে বিল পাঠানো হয়েছে বলেও গ্রাহকরা অভিযোগ করেন। ফলে ভুক্তভোগী গ্রাহকদের মাঝে চরম অসন্তোষ দেখা দিয়েছে। নাম প্রকাশ না করার শর্তে পল্লী বিদ্যুৎ গৌরনদী জোনাল অফিসের দায়িত্বশীল এক কর্মকর্তা বলেন, বিষয়টি দেখভালের দায়িত্ব উপজেলার সরিকল বিদ্যুৎ অফিসের। তারাই ভালো বলতে পারবেন, কি হয়েছে। এ ব্যাপারে সরিকল বিদ্যুত অফিসের প্রধান মো: গিয়াস উদ্দিনের ব্যবহৃত মোবাইল ফোনে একাধিকবার যোগাযোগ করা হলেও তিনি ফোন রিসিভ না করায় কোনো বক্তব্য পাওয়া যায়নি।