Site icon Aparadh Bichitra

সুধারামে যৌতুকের ২ লাখ টাকা আদায়ে ব্যর্থ হয়ে ৪ মাসের অন্তসত্তা গৃহবধূকে পুড়িয়ে হত্যার চেষ্টা

স্টাফ রিপোর্টার নোয়াখালী থেকে : সুধারামে যৌতুকের ২ লাখ টাকা আদায়ে ব্যর্থ হয়ে ৪ মাসের অন্তসত্তা গৃহবধূকে পুড়িয়ে হত্যার চেষ্টা। ঘটনাটি ঘটেছে জেলার সদর থানার ধর্মপুর ইউপির হাজিরহাট ভাটিরটেক গ্রামে শুক্রবার ভোর ৪টায়। এলাকাবাসী জানায়, বিগত ৩ মার্চ ১৭ইং আয়েশ বেগম (২০) এর সাথে মো: আকবর হোসেন (২৫) এর বিয়ে হয়। বিয়ের পর থেকে ভিকটিমের স্বামী মধ্যপ্রাচ্যের ওমান যাওয়ার কথা বলে মামা শ্বশুর নূরনবী থেকে ১ লাখ ২০ হাজার টাকা হাওলাত নেয়। তা ফেরত না দিয়ে স্ত্রী আয়েশাকে আরো ২ লাখ টাকা যৌতুক দেওয়ার জন্য বাবা-মা ও মামা-মামীকে চাপ সৃষ্টি করেন। তারা অপারগতা প্রকাশ করলে নেমে আসে মধ্যযুগীয় নির্যাতন। পরে আকবর আবার স্ত্রী আয়েশাকে বলে, বন্ধুর সাথে কথা হয়েছে, ওমানে গিয়ে ব্যবসা করতে পারব, আরো ২ লাখ ৬০ হাজার টাকা লাগবে।

৩ আগস্ট শুক্রবার রাতে দাবীকৃত যৌতুকের টাকা পরিশোধের জন্য ঘুম থেকে উঠাইয়া চাপ দিলে সে উ”চস্বরে প্রতিবাদ করা মাত্রই কাঠের রোল দিয়ে বুকে আঘাত করে। এক পর্যায়ে চাচা শ্বশুর মোসলেহ উদ্দিন, চাচী শ্বাশুড়ী ভানু বেগম, শ্বাশুড়ী নূর জাহান বেগম ও দাদী শ্বাশুড়ী জাহানারা বেগম তার দুই গালে দফায় দফায় চোপটাঘাত করতে থাকে। এ সময় তারা বলতে থাকে ২ লাখ টাকা দিবি বল, না হয় আকবরকে অন্য জায়গায় বিয়ে দিয়ে ২ লাখ টাকা নেব। অন্ত:স্বত্তÍাও বাঁচাও বাঁচাও বলে চিৎকার করে কান্না করতে লাগলে, আসামীরা বলে এ বেটিকে এক্ষুনি জীবনের তরে শেষ করে দেয়। তাৎক্ষনিক ভাবে ১নং আসামী আকবর কোকের বোতলে রাখা কেরোসিন আয়েশার শরীরে ঢেলে ম্যাচের শলা দিয়ে পরনের মেক্সির নিচে আগুন দেয়। আগুনের লেলিহান শিখা ধাও ধাও করে জলাব¯’ায় আসবাবপত্রে আগুন লাগার উপক্রম হলে তাকে ধাক্কা দিয়ে ঘর থেকে বের করে দিলে নিরুপায় হয়ে দ্রুত পাশের পুকুরে ঝাপ দেয়। সংবাদ পেয়ে শিরিন সুলতানা ও বিবি রহিমা তাকে উদ্ধার করে দ্রুত সিএনজি যোগে নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করে। আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডা: সৈয়দ মহিউদ্দিন আবদুল আজিম মানবজমিনকে জানান, ৩নং ওয়ার্ডের ১২নং বেডের রোগীর বুক, স্তন, পেট, গলা, হাত সহ শরীরের ৮০% পুড়ে জ্বলসে গেছে। ভিকটিম আয়েশা বেগম গতকাল ৭ আগস্ট মঙ্গলবার সুধারাম মডেল থানায় ৫ জনকে আসামী করে অভিযোগ দাখিল করেছেন। তদন্তকারী এস.আই শাহিদুর রহমান ঘটনা¯’ল তদন্ত করেছেন।