যানজট যেন রাস্তার নিত্যসঙ্গী

0
564

গত বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে ১২টা। ময়মনসিংহগামী এনা পরিবহনের একটি বাস থামে উত্তরা হাউস বিল্ডিং সংলগ্ন বিজিবি মার্কেট কাউন্টারের সামনে। উত্তরা জসীমউদ্দীন রোড থেকে আবদুল্লাহপুর বাসস্ট্যান্ড পর্যন্ত তীব্র যানজট। এনা বাসের সুপারভাইজার মেহেদী জানান, রাত সাড়ে ১০টায় মহাখালী বাস টার্মিনাল থেকে গাড়ি ছাড়া হয়। এয়ারপোর্ট আসতেই লেগে যায় প্রায় ৪০ মিনিট।

পরে জসীমউদ্দীন রোড থেকে হাউস বিল্ডিং আসতে লেগে যায় আরো প্রায় ৫০ মিনিট, স্বাভাবিক সময়ে এই পথ অতিক্রম সম্ভব তিন মিনিটেও। বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে ১২টা থেকে রাত ২টা পর্যন্ত দেখা যায় উত্তরার জসিম উদ্দিন রোড থেকে টঙ্গী বাজার পর্যন্ত প্রচণ্ড যানজট। সারি সারি বাস ও ট্রাক। আবার ঢাকাগামী রাস্তায়ও একই দশা। তবে রাস্তায় বেশি দেখা গেছে পশুবাহী ট্রাক। যানজট নিরসন করতে ট্রাফিক পুলিশও আপ্রাণ চেষ্টা করছিল। ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ট্রাফিক) উত্তর বিভাগের উপপুুলিশ কমিশনার প্রবীর কুমার রায় জানান, ‘রাস্তায় যানবাহনের চাপ বাড়ছে। ট্রাফিক পুলিশও আপ্রাণ চেষ্টা করছে। আবদুল্লাহপুরের রাস্তাটি যানবাহন মুক্ত রাখার চেষ্টা চলছে।’ পুুলিশের তথ্য অনুযায়ী, মহাখালী আন্তজেলা বাস টার্মিনাল থেকে প্রতিদিন হাজার দেড়েক যাত্রীবাহী বাস ছেড়ে যায়। এর বেশির ভাগ বাস আবদুল্লাহপুর হয়ে দেশের উত্তর ও মধ্যাঞ্চলের বিভিন্ন জেলায় যায়। তা ছাড়া রাজধানীর বিভিন্ন রুটের কয়েক হাজার বাস আবদুল্লাহপুর পর্যন্ত চলাচল করছে। এর সঙ্গে অসংখ্য ট্রাক, কাভার্ড ভ্যান, প্রাইভেট কার, মাইক্রোবাস এই এলাকা পেরিয়ে দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে যাতায়াত করে। ট্রাফিক সার্জেন্টরা জানান, ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কে যানবাহনের চাপ এমনিতেই বেশি। ঈদে আরো বেড়ে যায়। হাউজ বিল্ডিংয়ের সামনে দায়িত্বরত ট্রাফিক কনস্টেবলরা জানান, গাড়ির চাপ বাড়ছে। তাঁরা সাধ্যমতো চেষ্টা করছেন যানজট নিয়ন্ত্রণে রাখতে। পশুবাহী ট্রাকের কারণে যানজট কিছুটা বাড়ে। আবার টঙ্গীর পরেই রাস্তা ভাঙাচোরা। ফলে গাড়ি চলতে হয় ধীরগতিতে। দেখা গেছে, আবদুল্লাপুর থেকে আশুলিয়া রোডের দুই পাশেই প্রচণ্ড যানজট। পশুবাহী অনেক ট্রাক ঢাকায় প্রবেশ করছে। ওই ট্রাকগুলোকে বেশি সুবিধা দিতে হচ্ছে।

Print Friendly, PDF & Email

মন্তব্য করুন

Please enter your comment!
Please enter your name here

15 − ten =