রেজাউল করিম খোকনঃ
বাংলাদেশ এখন আর তলাবিহীন ঝুড়ি নয়। অনুন্নত দেশ হিসেবে এক সময় যে পরিচিতি ছিল তাও কাটিয়ে উঠেছে। নিম্ন-মধ্যম আয়ের দেশে পরিণত হয়েছে কয়েক বছর আগেই। এখন আমাদের মাথাপিছু আয়ের পরিমাণ ১৬১০ ডলার। আর্থসামাজিকভাবে বাংলাদেশ যে দ্রুত এগোচ্ছে তা এখন দেশীয় ও আন্তর্জাতিক গবেষণায় প্রমাণিত। অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি ৭ শতাংশের বেশি। শিক্ষা ও স্বাস্থ্যসেবার মান ও ব্যাপ্তি বেড়েছে। মাতৃ ও শিশু মৃত্যুহার কমেছে। এ ধরনের অনেকগুলো সূচকে এগিয়ে আছে বাংলাদেশ। মানব উন্নয়ন সূচকেও মধ্যম অবস্থানে রয়েছে। বাংলাদেশ এখন বিশে^র সম্ভাবনাময় দেশগুলোর অন্যতম। এগুলো মনগড়া, বানোয়াট কিংবা আবেগতাড়িত কোনো তথ্য নয়। বিভিন্ন গবেষণায়, জরিপে প্রাপ্ত তথ্যে উঠে আসছে বাংলাদেশের অগ্রগতির বাস্তব চিত্র। বিবিএসের খানা আয় ব্যয় জরিপেও এসব সূচকের অগ্রগতি অব্যাহত রয়েছে। সামাজিক ও অর্থনৈতিক ক্ষেত্রে দেশ এগোচ্ছে। মানুষের খাদ্যাভাসে পরিবর্তন এসেছে। চালের গড় ভোগ কমেছে। বেড়েছে মাছ-মাংসের মতো খাবারের অংশ। শিক্ষা ও স্বাস্থ্য খাতে উন্নতি হয়েছে। মোট দারিদ্র্য এবং অতিদারিদ্র্য কমেছে। যেহেতু জনসংখ্যা বেড়েছে, সে কারণে এখনো চার কোটির মতো মানুষ দারিদ্র্যসীমার নিচে বসবাস করছে।
স্বাধীনতার আগে বাংলাদেশ যখন পাকিস্তানের অংশ, পূর্ব ও পশ্চিম পাকিস্তানের মধ্যে অর্থনৈতিক বৈষম্য ছিল এ দেশের স্বাধীনতা সংগ্রামের অন্যতম ভিত্তি। ১৯৭১ সালে দীর্ঘ নয় মাসের রক্তক্ষয়ী মুক্তিযুদ্ধের মধ্য দিয়ে বংলাদেশ স্বাধীনতা লাভ করে। স্বাধীনতার ৪৬ বছর পর দেখা গেছে, সেই পাকিস্তানের চেয়ে অর্থনৈতিক ও সামাজিক ক্ষেত্রে প্রায় সব সূচকে এগিয়ে গেছে বাংলাদেশ। মূলত সরকারি ও বেসরকারি খাতের সমন্বিত উদ্যোগেই বাংলাদেশের এই সাফল্য। বাংলাদেশের মোট দেশজ উৎপাদনের (জিডিপি) প্রবৃদ্ধি এখন পাকিস্তানের চেয়ে বেশি। বাংলাদেশের চেয়ে পাকিস্তানে বেকার মানুষ বেশি। আবার পাকিস্তানিদের চেয়ে বাংলাদেশিদের গড় আয়ুও বেশি। শিক্ষা, স্বাস্থ্য, মাতৃমৃত্যু, শিশু মৃত্যুর হার কমাতেও বাংলাদেশ তুলনামূলকভাবে বেশি সাফল্য দেখিয়েছে। কিছু কিছু সূচকে বাংলাদেশ ভারতের চেয়ে বেশ এগিয়ে আছে।
স্বাধীনতার পর গত ৪৬ বছরে অর্থনৈতিকভাবে অনেক এগিয়েছে বাংলাদেশ। ব্যবসা বাণিজ্যেরও প্রসার ঘটেছে। স্বাধীনতার পরবর্তী বেশ কয়েকটি বছর লেগে গেছে অর্থনীতি ঠিক করতে। এরপর যেভাবে ধারাবাহিক প্রবৃদ্ধি হয়েছে, সেটা খুবই উৎসাহব্যঞ্জক। স্বল্পোন্নত দেশের (এলডিসি) তালিকা থেকে বেরিয়ে উন্নয়নশীল দেশ হওয়ার ক্ষেত্রে তিনটি সূচকেই ভালো অবস্থানে আছে বাংলাদেশ। মাথাপিছু আয়, মানবম্পদের উন্নয়ন ও অর্থনৈতিক ভঙ্গুরতা-এ তিনটি ক্ষেত্রেই প্রয়োজনীয় উন্নতি করেছে বাংলাদেশ। জাতিসংঘের সংশ্লিষ্ট সংস্থার জরিপে তেমন তথ্য উঠে এসেছে।
দিনে দিনে বাংলাদেশ ক্রমেই সমৃদ্ধির দিকে এগিয়ে যাচ্ছে। মানুষের জীবনযাত্রার মান বাড়ছে। মাথাপিছু আয়ও বাড়ছে প্রতি বছর। নতুন প্রজন্মের দৃষ্টিভঙ্গি বদলে যাওয়ায় অনেকেই পড়াশোনা শেষ করে ব্যবসা বাণিজ্যে সম্পৃক্ত হচ্ছে। বিভিন্ন ধরনের ব্যবসা উদ্যোগে তাদের সম্পৃক্ততা দেশের অগ্রগতির পথকে সুগম করে তুলেছে। অতীতে শুধুমাত্র ব্যবসায়ী পরিবারের ছেলেরা ব্যবসায় আসত। তবে এখন দেশে তথ্যপ্রযুক্তির দ্রুত বিকাশ ব্যবসা বাণিজ্যের নতুন সুযোগ সৃষ্টি করে দিচ্ছে। গ্রামের ক্ষুদ্র ও মাঝারি উদ্যোক্তারাও প্রত্যন্ত এলাকাতে বসেই তাদের উৎপাদিত পণ্য বিক্রি করতে পারছেন। গ্রামীণ অর্থনৈতিক কাঠামো বদলে গেছে গত দুই আড়াই দশক সময়ে।
এক সময় বাংলাদেশের অর্থনীতি কৃষিনির্ভর ছিল। তবে এখন আর সে অবস্থায় নেই আমাদের অর্থনীতি। অর্থনীতির কাঠামোগত অনেক পরিবর্তন হয়েছে। কৃষিনির্ভরতা কমেছে, অর্থনীতি এখন অনেকটাই শিল্প কেন্দ্রিক হয়ে উঠেছে। গার্মেন্টস শিল্পের ব্যাপক প্রসার আমাদের অর্থনীতির চেহারাটাই পাল্টে দিয়েছে। তৈরি পোশাক রপ্তানির মাধ্যমে বাংলাদেশ এখন সিংহভাগ বৈদেশিক মুদ্রা উপার্জন করছে। স্বাধীনতার পর মোট জাতীয় উৎপাদনে শিল্প খাতের অবদান ছিল ৬ দশমিক ৬ শতাংশ। বর্তমানে মোট দেশজ উৎপাদনে শিল্প খাতের অবদান প্রায় ২৮ শতাংশ। এখন দেশে ব্যবসা বাণিজ্যের নিত্যনতুন ক্ষেত্র তৈরি হয়েছে। নতুন নতুন উদ্যোক্তা সৃষ্টির জন্য সরকারি-বেসরকারি নানা উদ্যোগ দেশজুড়ে উদ্দীপনা জাগিয়েছে। এ জন্য এসএমই খাতের বিকাশে নতুন পরিকল্পনা গ্রহণ করা হচ্ছে। আজকের ক্ষুদ্র ও মাঝারি প্রতিষ্ঠানই একদিন বৃহৎ শিল্প হিসেবে আবির্ভূত হবে। দেশের অর্থনীতিতে বড় অবদান রাখবে। বর্তমানে অপ্রচলিত পণ্য বিদেশে রপ্তানির মাধ্যমে রপ্তানি আয় বাড়ানোর জন্য উদ্ভাবনী কৌশল প্রয়োগ করা হচ্ছে। তথ্যপ্রযুক্তি খাতে বাংলাদেশে অভাবনীয় সাফল্য অর্জন করেছে গত এক দশকে। আমাদের মেধাবী তরুণ প্রযুক্তিবিদরা দেশে তো বটেই, আন্তর্জাতিক অঙ্গনেও বড় ধরনের কৃতিত্বের প্রমাণ দিচ্ছেন। আগামী ২০২১ সাল নাগাদ আইসিটি খাত দেশের উন্নয়নের সবচেয়ে বড় অংশীদার হিসেবে আত্মপ্রকাশ করবে। রপ্তানি আয় বেড়ে যাবে অনেকগুণ। তখন আমাদের আর অন্য কোনোদিকে তাকাতে হবে না।
৫৭ বছরের স্বপ্নকে সত্যি করে পরমাণু যুগে সম্প্রতি পা রেখেছে বাংলাদেশ। পাবনার রূপপুর পরমাণু প্রকল্পের মূল নির্মাণকাজ শুরু হওয়ার মধ্য দিয়ে বাংলাদেশ বিশে^র সম্ভ্রান্ত নিউক্লিয়ার ক্লাবের সদস্য হওয়ার আরেক ধাপ এগিয়ে গেল। বর্তমানে বিশে^র মাত্র ৩১টি দেশ এই ক্লাবের সদস্য। এসব দেশে চালু সাড়ে চারশ পারমাণবিক চুল্লি থেকে বিশে^র মোট বিদ্যুতের ১১ শতাংশ উৎপাদন করা হচ্ছে। পাকিস্তান আমলে এ প্রকল্পের উদ্যোগ নেয়া হলেও বাস্তবে কোনো অগ্রগতি ছিল না। ২০১০ সাল থেকে ধাপে ধাপে বিভিন্ন প্রক্রিয়ার পর আলোর মুখ দেখেছে। রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ প্রকল্প শুধুই একটি বিদ্যুৎ কেন্দ্র নয়। এর মাধ্যমে বাঙালি নিউক্লিয়ার জাতি হিসেবে বিশে^ পরিচিতি পাবে। এটা আমাদের অর্থনৈতিক উন্নয়নের ধারাকে নানাভাবে বেগবান করবে।
বিশ^ব্যাংকের সহায়তা ছাড়াই বাংলাদেশ নিজস্ব অর্থায়নে পদ্মা সেতু নির্মাণের উদ্যোগ গ্রহণ করে সমগ্র বিশে^ বিস্ময় সৃষ্টি করেছে। নিজস্ব অর্থে পদ্মা সেতু নির্মাণের পদক্ষেপ বাংলাদেশের জন্য একটি বড় অর্জন সন্দেহ নেই। যা আগে অবাস্তব, অলীক কল্পনা বলে মনে হতো সেই স্বপ্নের পদ্মা সেতু নির্মাণের কাজ এখন দ্রুতগতিতে এগিয়ে চলেছে। ইতোমধ্যেই নির্মাণাধীন পদ্মা সেতুর বেশ কিছু অংশ দৃশ্যমান হয়ে উঠেছে। বাংলাদেশে সব ষড়যন্ত্রকে উপেক্ষা করে নিজস্ব সামর্থ্যে সক্ষমতায় এগিয়ে যেতে পারে-এটা প্রমাণিত হয়েছে পদ্মা সেতু নিজস্ব অর্থায়নে নির্মাণ উদ্যোগের মাধ্যমে।
বাংলাদেশ এখন স্বল্পোন্নত দেশের কাতারে থাকলেও আর বেশিদিন এ অবস্থানে থাকতে হবে না। খুব শিগগিরই বাংলাদেশ স্বল্পোন্নত দেশের তালিকা থেকে উন্নয়নশীল দেশ হওয়ার সুপারিশ পেতে যাচ্ছে জাতিসংঘের ইকোনমিক এন্ড সোস্যাল কাউন্সিলের অধীনে আরেকটি সংস্থা দ্য কমিটি ফর ডেভেলপমেন্ট পলিসির (সিডিপি) কাছ থেকে। তারাই একটি দেশকে স্বল্পোন্নত দেশের তালিকা থেকে উত্তরণের ব্যাপারে সুপারিশ করে থাকে। আশা করা যায়, আগামী ২০২৪ সাল নাগাদ বাংলাদেশ স্বল্পোন্নত দেশের কাতার থেকে উন্নয়নশীল দেশ হিসেবে উত্তরণ লাভ করবে। সাধারণত স্বল্পোন্নত দেশ হিসেবে আমরা নানা সুবিধা পেয়ে থাকি আন্তর্জাতিক অঙ্গনে।
স্বল্পোন্নত দেশ (এলডিসি) থেকে উত্তরণ ঘটলে অগ্রাধিকারমূলক বাজার সুবিধা হারাবে বাংলাদেশ। তাতে রপ্তানি বাণিজ্য কমতে পারে। তবে দরকষাকষির সক্ষমতা বৃদ্ধির পাশাপাশি কার্যকরী উদ্যোগ নিলে বাণিজ্যিক ক্ষতি কমানো সম্ভব। আঙ্কটাডের অনুমান, এলডিসি থেকে উত্তরণ ঘটলে বাংলাদেশের রপ্তানি আয় সাড়ে ৫ থেকে সাড়ে ৭ শতাংশ পর্যন্ত কমতে পারে। গত অর্থবছরের হিসাবে সেটি ১৫০ থেকে ২২০ কোটি ডলারের সমান হবে। বর্তমান বৈশি^ক বাণিজ্য এলডিসিভুক্ত না হয়েও অনেক দেশ এলডিসির সুবিধা পায়। অন্যদিকে এলডিসিভুক্ত দেশ সে সব সুবিধা পায় না। অগ্রাধিকারমূলক বাজার সুবিধার চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় বাংলাদেশকে হোমওয়ার্ক করতে হবে। জিএসপি প্লাস সুবিধা পেতে দরকষাকষি শুরু করতে হবে। কারণ আমাদের রপ্তানির বড় অংশই যায় ইউরোপে। আমাদের প্রতিযোগী দেশগুলোর সঙ্গে পাল্লা দিতে অভ্যন্তরীণ সক্ষমতা বাড়াতে হবে। ঠিক একইভাবে সব জায়গায় আমাদের দক্ষতা বাড়াতে হবে। পণ্য রপ্তানিতে লিড টাইম কমাতে হবে। কারণ অন্য সব দেশের চেয়ে আমাদের লিড টাইম বেশি। সড়ক ও রেলপথ যোগাযোগ খাতে প্রচুর বিনিয়োগ করতে হবে। বন্দরের সক্ষমতা বাড়াতে হবে। পাশাপাশি আর্থিক খাতকে শক্তিশালী করতে হবে। সহজ শর্তে ঋণের সুযোগ বাড়াতে হবে।
বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ সম্প্রতি বলেছেন, বাংলাদেশ স্বল্পোন্নত দেশের কাতার থেকে উন্নয়নশীল দেশ হিসেবে উত্তরণ লাভের পর আমাদের রপ্তানিতে তেমন কোনো প্রতিকূল প্রভাব পড়বে না। তার কথায় নানা যুক্তি রয়েছে। যা আমাদের অনেকটা আশ্বস্ত করেছে বৈকি। তবে এ জন্য পরিকল্পনামাফিক বিভিন্ন পদক্ষেপ গ্রহণ করে পরিস্থিতি সামাল দিতে হবে। এমনিতে দেশের অর্থনীতির কিছু ক্ষেত্রে চাপ বাড়ছে। মূল্যস্ফীতি আরো বেড়ে যাওয়ায় ঝুঁকি তৈরি হয়েছে। স্থানীয় ও আন্তর্জাতিক লক্ষণ তাই বলছে। রপ্তানির চেয়ে আমদানি বাড়ছে অনেক বেশি হারে। এমনিতেই বহির্বিশে^র সঙ্গে লেনদেনে চাপ বেড়ে গেছে। বিশ^বাজারে গেল বছর জ্বালানি তেল ও ভোগ্যপণ্যের দাম আগের দুটি বছরের চেয়ে বেড়েছে। ২০১৮ সালে আরো বাড়তে পারে বলে আন্তর্জাতিক বিভিন্ন সংস্থার পূর্বাভাস রয়েছে। অপরিশোধিত জ্বালানি তেল এখন ব্যারেল প্রতি ৬৫ ডলার ছাড়িয়ে গেছে যা গত তিন বছরের মধ্যে সর্বোচ্চ। জাতিসংঘের খাদ্য ও কৃষি সংস্থার হিসাবে ২০১৭ সালে বিশে^ খাদ্যপণ্যের দাম বেড়েছে ৮ দশমিক ২ শতাংশ, যা ২০১৪ পর সর্বোচ্চ।
বিশ^ব্যাংকের সর্বশেষ কমোডিটি মার্কেটস আউটলুকে এ বছর জ¦ালানি ও অন্যান্য ভোগ্যপণ্যের দাম আরো বাড়বে বলে পূর্বাভাস রয়েছে। বিশ^বাজারে জ্বালানি তেল ও খাদ্যপণ্যের মূল্যবৃদ্ধি দেশে মূল্যস্ফীতি বদ্ধির ঝুঁকি তৈরি করেছে নিঃসন্দেহে বলে দেয়া যায়। চলতি অর্থবছরের নভেম্বর পর্যন্ত ৫ মাসে আমদানি ব্যয় বেড়েছে মাত্র ২৭ দশমিক ৫৭ শতাংশ। একই সময়ে রপ্তানি আয় বেড়েছে মাত্র ৭ দশমিক ৬৫ শতাংশ। রেমিট্যান্স ১০ শতাংশ বাড়লেও উচ্চ আমদানি ব্যয়ের কারণে বহির্বিশে^র সঙ্গে চলতি হিসাবে ৪৪৩ কোটি ডলারের ঘাটতি হয়েছে ৪৮ কোটি ডলার। এদিকে আলোচ্য ৫ মাসে যে পরিমাণ পণ্য আমদানির জন্য এলসি খোলা হয়েছে তার মূল্য গত অর্থবছরের একই সময়ের তুলনায় ৯১ শতাংশ বেশি। ফলে আগামীতে বিদেশের সঙ্গে লেনেদেন ঘাটতি আরো বেড়ে যেতে পারে। রপ্তানি ও রেমিট্যান্সের তুলনায় আমদানি বেড়ে যাওয়ার ফলে ডলারের বিপরীতে টাকার ধারাবাহিক দরপতন হচ্ছে, যা আমদানি করা পণ্যের দাম বাড়িয়ে দিচ্ছে স্বাভাবিকভাবে। তারপরও আমরা আশাবাদী এলডিসি থেকে উত্তরণের পর বাংলাদেশ সৃষ্ট পরিস্থিতি ঠিকভাবে সামাল দিয়ে উন্নয়নের ধাপ অতিক্রম করে আরো এগিয়ে যাবে।