সামাজিক নিরাপত্তা বেষ্টনী

0
1590

মুফরাত রাহিনঃ
‘আঘাত করতে চাই এই ঘুণে ধরা সমাজব্যবস্থাকে। গ্রামে গ্রামে বহুমুখী কো-অপারেটিভ করা হবে। পাঁচ বছরের প্ল্যানে বাংলাদেশের ৬৫ হাজার গ্রামের প্রত্যেকটিতে বহুমুখী কো-অপারেটিভ করা হবে। বেকার অথচ কর্মক্ষম প্রত্যেকটি ব্যক্তিকে কো-অপারেটিভের সদস্য করা হবে। প্রতিটি মহকুমাকে জেলায় রূপান্তর করা হবে। নতুন জেলায় করে প্রশাসনিক কাউন্সিল থাকবে। এর মধ্যে জনসাধারণের প্রতিনিধিত্ব থাকবে।’Ñ১৯৭৫ সালের ২৬ মার্চ সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে দৃপ্তকণ্ঠে এবং পরিষ্কারভাবে ঘোষণা করেছেন বঙ্গবন্ধু। সবচেয়ে বড় বিষয়, ’৭৪-’৭৫ সালের যে অর্থনীতি সেখানকার হিসাবে দেখা যায়, সামষ্টিক আয়ের প্রবৃদ্ধি ছিল সাড়ে ৬ ৭ শতাংশের মধ্যে। যেটা আমরা এতদিন পরে অর্জন করতে পারলাম ২০১৫-১৬ অর্থবছরে।
আজকের বাংলাদেশের বিশ্বের নজরকাড়া অর্থনৈতিক অগ্রগতি আর হৃদয়ে আশা জাগানিয়া অসামান্য সামাজিক অগ্রগতি জাতির পিতা সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি শেখ মুজিবের প্রদর্শিত পথে তারই সুযোগ্য কন্যা দূরদৃষ্টিসম্পন্ন মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে সংঘটিত হচ্ছে।

অভিভাবক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বাংলার গরিব-দুঃখী মানুষদের উন্নয়ন এবং কল্যাণে শক্তিশালী ও যুগোপযোগী সামাজিক নিরাপত্তা বেষ্টনী প্রণয়ন করেছেন। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সিদ্ধান্ত এবং নির্দেশে সামাজিক নিরাপত্তা বেষ্টনীর প্রকল্পগুলো হলো নিম্নরূপÑ
দারিদ্র্য বিমোচন কৌশলপত্র (পিআরএসপি) ১৮টি সামাজিক নিরাপত্তা কর্মসূচি চিহ্নিত করেছে। এসব কর্মসূচি নগদ অর্থ সহায়তা বা অন্য কোনো সহায়তার সাথে যুক্ত। এ কর্মসূচিগুলো হলো-
বয়স্ক ভাতা : সরকারি তথ্য অনুযায়ী মোট জনসংখ্যার ৭ শতাংশ লোক বয়স্ক হিসেবে চিহ্নিত। এর ২০ শতাংশ লোক এ বেষ্টনীর আওতাভুক্ত।
বিধবা ও দুস্থ মহিলা ভাতা : মোট ৭ লাখ উপকারভোগী এর আওতাভুক্ত।
দৈহিক অক্ষমতাসম্পন্ন দুস্থ ভাতা : এ বেষ্টনীর আকার সীমিত। প্রায় ২ লাখ লোক এর উপকারভোগী।
দরিদ্র মাতাদের ভাতা : অন্যান্য বেষ্টনীর মতো এ বেষ্টনীর পরিধি সীমিত হওয়া সত্ত্বেও এ কর্মসূচিটি পর্যায়ক্রমে বাস্তবায়িত হচ্ছে। ২০০৭-০৮ অর্থবছরে চালু করা এ বেষ্টনীর আওতায় মোট ৩ হাজার ইউনিয়ন রয়েছে। এতে ইউনিয়ন প্রতি উপকারভোগী হবে ১৫ জন।
যুদ্ধাহত মুক্তিযোদ্ধা ভাতা : মুক্তিযুদ্ধে আহত ব্যক্তিদের এই ভাতা প্রদান করা হয়। প্রায় ১০ হাজার উপকারভোগী এ বেষ্টনীর আওতাভুক্ত।
অনাথ আশ্রম কর্মসূচি : এ কর্মসূচি দুটি ধারায় কাজ করছে। প্রথমটি হলো সরকার কর্তৃক পরিচালিত শিশু পরিবার আশ্রম এবং দ্বিতীয়টি বেসরকারি অনাথ আশ্রম। প্রথমটির আওতায় প্রায় ১০ হাজার অনাথ শিশু সুবিধা ভোগ করে। দ্বিতীয়টির সুবিধাভোগীদের সংখ্যা প্রায় ৪৫,০০০।
জ্বালানি তেলের ভর্তুকি : ডিজেলের মূল্য বৃদ্ধি পাওয়ায় প্রান্তিক চাষিদের জন্য ভর্ভুকি দিয়ে সেচ কাজ পরিচালনার নিমিত্তে এই সুবিধা দেওয়া হয়। ২০০৭-০৮ অর্থবছরে সর্বমোট ভর্তুকি বরাদ্দ ছিল ৭৫০ কোটি টাকা।
প্রাথমিক স্কুলের ছাত্রদের ভাতা : এ কর্মসূচির আওতায় সারাদেশে প্রায় ৫৫ লাখ ছাত্রকে সাহায্য দেওয়া হবে। ২০০৭-০৮ অর্থবছরে এর জন্য বরাদ্দ ছিল ৫০০ কোটি টাকা।
ঝরেপড়া ছাত্র ভাতা : স্কুলে যাওয়া বন্ধ করে দিয়েছে এমন ছাত্রদের প্রদেয় ভাতায় প্রাথমিক স্কুলের প্রায় ৫ লাখ ছাত্র আওতাভুক্ত হয়েছে। ২০০৭-০৮ অর্থবছরে এর জন্য ৫৮৯ কোটি টাকা বরাদ্দ করা হয়।
ছাত্রী ভাতা : এ কর্মসূচির আওতায় ৩০ লাখ সুবিধাভোগী রয়েছে। ২০০৭-০৮ অর্থবছরে এর জন্য বরাদ্দ ছিল ২,৩২৪ কোটি টাকা।
প্রতিবন্ধী ছাত্র ভাতা : সব পর্যায়ের প্রতিবন্ধী ছাত্রছাত্রী এ কর্মসূচির আওতাভুক্ত। ভাতার পরিমাণ পর্যায়ভিত্তিক কম-বেশি। ২০০৭-০৮ অর্থবছরে এর জন্য বরাদ্দ ছিল ৫ কোটি টাকা।
পোশাক শিল্প শ্রমিকদের প্রশিক্ষণ ও সহায়তা তহবিল : এ কর্মসূচিটি ২০০৭-০৮ অর্থবছরে চালু করা হয়। বরাদ্দ ছিল ২০ কোটি টাকা।
সাময়িক বেকারত্ব দূরীকরণ কর্মসূচি : এ কর্মসূচির আওতায় ২০০৭-০৮ অর্থবছরে ৫০ কোটি টাকা বরাদ্দ ছিল। দেশের উত্তরাঞ্চলের ৫টি জেলায় এ ধরনের বেকারত্ব প্রকট। বেকার ব্যক্তিদের সহায়তার জন্য এ কর্মসূচি গ্রহণ করা হয়েছিল। সাময়িক এ বেকারত্ব সমস্যাটি ‘মঙ্গা’ বলে পরিচিত।
হতদরিদ্র জনগোষ্ঠীর জন্য কর্মস্থান কর্মসূচি : ২০০৭-০৮ অর্থবছরে এক মাসের জন্য এ কর্মসূচিটি চালু হয়। মোট বরাদ্দ ছিল ১০০ কোটি টাকা। ওই বছরেই এ কর্মসূচিকে প্রাতিষ্ঠানিক রূপ দেওয়া হয়। মোট বরাদ্দ ছিল ২০০০ কোটি টাকা। কর্মসূচির প্রথম পর্যায় বাস্তবায়িত হয়েছে এবং তা স্থায়ী হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
প্রাকৃতিক দুর্যোগজনিত ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকদের তহবিল কর্মসূচি : এ কর্মসূচি বাস্তবায়নের জন্য ২০০৭-০৮ অর্থবছরে ১০০ কোটি টাকা বরাদ্দ করা হয়। উদ্দেশ্য ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকরা যাতে কর্মহীনতা ও মজুরি হ্রাসজনিত বিপদ মোকাবেলা করতে সক্ষম হয়।
গ্রামীণ মাতৃকেন্দ্র (আরএমপি) কর্মসূচি : এ কর্মসূচির আওতায় গ্রামীণ দুস্থ মা’দের সুদমুক্ত ক্ষুদ্রঋণ প্রদান করা হয়। ৩১৮টি উপজেলায় সুবিধাভোগীর সংখ্যা ১২,৯৬৫। সুবিধাভোগীদের প্রাথমিক স্বাস্থ্য পরিচর্যা, জন্মনিয়ন্ত্রণ ও অনানুষ্ঠানিক শিক্ষার জন্য প্রশিক্ষণও দেওয়া হয়।
মাতৃস্বাস্থ্য ভাউচার কর্মসূচি : স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয় এ কর্মসূচি বাস্তবায়ন করছে। এর আওতায় গ্রামীণ দরিদ্র ও গর্ভবতী মহিলাদের নগদ অর্থ সহায়তা দেওয়া হয়। ২০০৭-০৮ অর্থবছরে এর জন্য বরাদ্দ ছিল ১২৬ কোটি টাকা।
কমিউনিটি পুষ্টি কর্মসূচি : এ কর্মসূচির উদ্দেশ্য হলো গ্রামের দরিদ্র জনগোষ্ঠীকে পুষ্টিহীনতা রক্ষা করা। ২০০৭-০৮ অর্থবছরে এর জন্য বরাদ্দ ছিল ১৫৮ কোটি টাকা। মোট ৩৪টি জেলার ১০৫টি উপজেলায় এ কর্মসূচি বাস্তবায়িত হচ্ছে।
খাদ্য সহায়তা কর্মসূচি : প্রধানত দুই ধরনেরÑ১. সনাতনী টেস্ট রিলিফ এবং ২. কাজের বিনিময়ে খাদ্য (কাবিখা)। কাবিখা কর্মসূচির মধ্যে দুই প্রকার কার্যক্রম রয়েছে। হলো ভালনারেবল গ্রুপ ফিডিং (ভিজিএফ)। এর আওতায় হতদরিদ্রদের বিনামূল্যে খাদ্য সহায়তা প্রদান করা হয়। অন্যটি হলো ভালনারেবল গ্রুপ ডেভেলপমেন্ট (ভিজিডি)। এর আওতায় দল গঠন, প্রশিক্ষণ, দক্ষতা বৃদ্ধি ও সঞ্চয় কার্যক্রমও রয়েছে।
বিভিন্ন ধরনের নগদ অর্থ ও খাদ্য সহায়তা কর্মসূচির আওতায় ২০০৮-০৯ অর্থবছরে প্রায় ৮.৫ মিলিয়ন দরিদ্র পরিবার বা ৪২.৫ মিলিয়ন ব্যক্তি উপকৃত হয়েছিল। টেস্ট রিলিফ বা কাবিখার উপকারভোগীরা এর অন্তর্ভুক্ত নয়। সরকারি তথ্য অনুযায়ী এ দুই কর্মসূচির আওতায় ৯.৩ মিলিয়ন সুবিধাভোগী ছিল। পরিসংখ্যানে দেখা যায়, ২০০৮-০৯ অর্থবছরে ভিজিএফ-এ সবচেয়ে বেশি (২৮ শতাংশ) উপকারভোগী ছিল। এর পরেই নগদ অর্থ সহায়তা ছিল ৯.৯ শতাংশ এবং ভিজিডি ছিল ৩.৭ শতাংশ। অন্যান্য কর্মসূচির উপকারভোগীর সংখ্যা ছিল ১ শতাংশেরও কম।
সামাজিক নিরাপত্তাবেষ্টনী কর্মসূচির ভাতার পরিমাণ ও উপকারভোগীর সংখ্যা দুটিই বাড়ানো হয়েছে ২০১৭-১৮ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেটে। এর মধ্যে কয়েকটি খাতে ভাতার পরিমাণ উল্লেখযোগ্য হারে বেড়েছে। বাজেটে সামাজিক নিরাপত্তা ও কল্যাণে ২৪ হাজার ৪৮৯ কোটি টাকা বরাদ্দের প্রস্তাব করা হয়েছে, যা উন্নয়ন ও অনুন্নয়ন বাজেটের ৬ শতাংশ।
অর্থবছর ২০১৬-১৭ সালে এই খাতে বরাদ্দ ছিল ১৯ হাজার ২৯১ কোটি টাকা, যা উন্নয়ন ও অনুন্নয়ন বাজেটের ৫.২ শতাংশ। এর আগে ২০১৫-১৬ অর্থবছরে এ খাতে বরাদ্দ ছিল ১৭ হাজার ৮০ কোটি টাকা। সামাজিক নিরাপত্তা খাতে এ বরাদ্দ রেখে জাতীয় সংসদে বাজেটে বলা হয়, ‘দারিদ্র্য ও পশ্চাৎপদ জনগোষ্ঠীর কল্যাণে আমরা বয়স্ক ভাতা, মাতৃত্বকালীন ভাতা, বিধবা-স্বামী নিগৃহীত-দুস্থ মহিলা ভাতা, প্রতিবন্ধী ভাতা, শিক্ষা উপবৃত্তি ভাতা, প্রতিবন্ধী শিক্ষা উপবৃত্তি, বাড়ি খামার, আশ্রয়ণ প্রকল্প, কাজের বিনিময়ে খাদ্য কর্মসূচি, টিআর, জিআর, চর জীবিকায়নসহ উল্লেখযোগ্যসংখ্যক সামাজিক সুরক্ষা কর্মসূচি বাস্তবায়ন করা হচ্ছে, যা আগামীতেও অব্যাহত থাকবে। বাজেটে বয়স্ক ভাতাপ্রাপ্তরা জনপ্রতি মাসিক ৫০০ টাকার পরিবর্তে ৬০০ টাকা করে পাবে। একই সঙ্গে উপকারভোগীর সংখ্যা বর্তমানে ৩১ লাখ ৫০ হাজার ৩৫ লাখে উন্নীত করা হচ্ছে।
এছাড়াও বিধবা ও স্বামী নিগৃহীত নারীদের ভাতা ৫০০ টাকার পরিবর্তে ৬০০ টাকা করা হচ্ছে। আর এই উপকারভোগীর সংখ্যা ১১ লাখ ৫০ হাজার ১০ শতাংশ বাড়িয়ে ১২ লাখ ৬৫ হাজার করা হচ্ছে।
বাড়ি খামার প্রকল্প : প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সরকারের গৃহীত সমবায় সমিতিভিত্তিক দীর্ঘমেয়াদি সামাজিক পরিকল্পনা। এই প্রকল্পটির আওতায় গ্রামের দরিদ্র পরিবারগুলোকে অর্থনৈতিক ইউনিট হিসেবে তৈরি করার মাধ্যমে গ্রামীণ জনগোষ্ঠীর আর্থ-সামাজিক অবস্থার উন্নয়ন ঘটানোর উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।
২০২০ সালের মধ্যে দেশে দারিদ্র্যতার হার ১০ শতাংশে নামিয়ে আনার লক্ষ্যে এই প্রকল্পটি গ্রহণ করা হয়েছে। সমন্বিত গ্রাম উন্নয়নের লক্ষ্যে প্রতিটি বাড়িকে অর্থনৈতিক কার‌্যাবলির কেন্দ্রবিন্দু হিসেবে গড়ে তোলার প্রয়াসে ‘একটি বাড়ি খামার’ প্রকল্পটি বাস্তবায়নের উদ্যোগ নেওয়া হয়। এ প্রকল্পটি ৬৪ জেলার ৪৯০ উপজেলার ৪ হাজার ৫০৩টি ইউনিয়নের ৪০ হাজার ৯৫০টি গ্রামে বাস্তবায়িত হচ্ছে।
বর্তমানে অসচ্ছল প্রতিবন্ধীরা ৭০০ টাকা করে মাসিক ভাতা পাচ্ছে। উপকারভোগীর সংখ্যা সাড়ে ৭ লাখ বাড়িয়ে করা হয়েছে ৮ লাখ ২৫ হাজার। হিজড়া জনগোষ্ঠীর জীবনমান উন্নয়ন কার্যক্রমের অধীনে বিভিন্ন স্তরে প্রদেয় বিশেষ ভাতা/বয়স্ক ভাতা ৭০০ টাকা করা হয়েছে। উপকারভোগীর সংখ্যা ৬ হাজার ৯৭০ জন বাড়িয়ে করা হয়েছে ৭ হাজার ৫৫০ জন।
বেদে ও অনগ্রসর জনগোষ্ঠীর জীবনমান উন্নয়ন কার্যক্রমের অধীনে উপকারভোগীরা মাসে ৬০০ টাকা করে ভাতা পায়। আগামী অর্থবছর তারা ৭০০ টাকা করে ভাতা পাবে। এ জন্য সরকার এ খাতে বরাদ্দ দেয় ২০ কোটি ৬৮ লাখ টাকা।
প্রতিবন্ধী শিক্ষার্থীদের জন্য শিক্ষা উপবৃত্তির হার প্রাথমিক স্তরে ৪০০ টাকা, মাধ্যমিক স্তরে ৬০০ টাকা, উচ্চ মাধ্যমিক স্তরে ৭০০ টাকা এবং উচ্চতর স্তরে ১ হাজার ২০০ টাকা রাখা হয়েছে। উপকারভোগীর সংখ্যা প্রাথমিক ও মাধ্যমিক স্তরে ১০ হাজার এবং ৮০ হাজার করা হয়েছে।
চা-শ্রমিকদের জীবনমান উন্নয়নেও উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। এ খাতে ২০১৭-১৮ অর্থবছরে চা-শ্রমিকদের জীবনমান উন্নয়ন কর্মসূচির অধীনে ১৫ কোটি টাকা বরাদ্দের প্রস্তাব করা হয়েছে।
মৌলিক চাহিদার ব্যয়ভিত্তিক দরিদ্র জনসংখ্যার মধ্যে ৪০ শতাংশ জনগোষ্ঠী বিভিন্ন কর্মসূচির আওতাভুক্ত।
[তথ্যসূত্র : বাংলাপিডিয়া এবং উইকিপিডিয়া]
সামাজিক নিরাপত্তা বেষ্টনী রাষ্ট্র কর্তৃক দরিদ্র ও সুবিধাবঞ্চিত জনগোষ্ঠীকে আর্থিক বা অন্য কোনো সহায়তা প্রদানের ব্যবস্থা। সম্পদের অপ্রতুলতার কারণে উন্নত দেশের তুলনায় অনুন্নত বা উন্নয়নশীল দেশে এ ধরনের ব্যবস্থা অপেক্ষাকৃত কম। তবুও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সাহসী এবং দক্ষ নেতৃত্বে উন্নয়নশীল বাংলাদেশে শক্তিশালী সামাজিক নিরাপত্তা বেষ্টনী বাস্তবায়িত হয়েছে এবং সময়ের সাথে সাথে বৃহৎ আকারে প্রসারিত হচ্ছে।
সেদিন আর বেশি দূরে নয়, যেদিন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কল্যাণে বঙ্গবন্ধুর ‘দুখী মানুষের মুখে হাসি ফুটিয়ে সোনার বাংলা’ গড়ার স্বপ্নের অবশিষ্ট কাজগুলো সুসম্পন্ন করা হবে।

Print Friendly, PDF & Email

মন্তব্য করুন

Please enter your comment!
Please enter your name here

ten − six =