সারাদেশে নির্মাণ শুরু হচ্ছে ৫৬০টি মডেল মসজিদের

0
1440

মুসলিম সম্প্রদায়ের ইবাদত-বন্দেগি নির্বিঘœ করতে অগ্রাধিকার প্রকল্পের বিবেচনায় নিজস্ব অর্থায়নে ৫৬০টি মডেল মসজিদ নির্মাণ উদ্যোগী হয়েছেন মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। বর্তমান সরকারের ২০১৪ সালের নির্বাচনি ইশতেহারে প্রতিটি জেলা ও উপজেলায় একটি করে উন্নত মসজিদ নির্মাণের প্রতিশ্রুতি পূরণের লক্ষ্যেই এ প্রকল্প বাস্তবায়ন করা হচ্ছে। জানা গেছে, মসজিদগুলো নির্মাণ শুরু হবে চলতি বছরেই। প্রথম দফায় ঢাকাসহ বিভাগীয় শহরগুলোতে নাগরিক সুবিধা সম্বলিত ১০টি মসজিদ নির্মাণ করা হবে। পরবর্তীতে পর্যায়ক্রমে প্রতিটি জেলা ও উপজেলায় একটি করে সর্বমোট ৫৬০টি মডেল মসজিদ ও ইসলামিক সাংস্কৃতিক কেন্দ্র নির্মাণের উদ্যোগ নিয়েছে ধর্ম মন্ত্রণালয়।
ধর্ম মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে, ৬৪টি জেলা সদর ও পাঁচটি সিটি করপোরেশনে চারতলা বিশিষ্ট এবং ৪৭৫টি উপজেলা সদরে তিনতলা বিশিষ্ট মসজিদ ও ইসলামিক সাংস্কৃতিক কেন্দ্র নির্মাণ করা হবে। এছাড়া উপকূলীয় ১৬টি এলাকায় নিচতলা ফাঁকা রেখে চারতলা বিশিষ্ট মসজিদ ও ইসলামিক সাংস্কৃতিক কেন্দ্র নির্মাণ করা হবে।

মডেল মসজিদ ও ইসলামিক সাংস্কৃতিক কেন্দ্রগুলোতে বিভিন্ন রকমের নাগরিক সুবিধার ব্যবস্থা রাখা হচ্ছে। উপকূলীয় এলাকার মসজিদ ও ইসলামিক সাংস্কৃতিক কেন্দ্রের নিচতলায় দুর্যোগের সময় ‘সাইক্লোন সেন্টার’ হিসেবেও ব্যবহার করার সুযোগ থাকবে। মডেল মসজিদ ও সাংস্কৃতিক কেন্দ্রগুলোতে মোট চার লাখ ৪০ হাজার ৪৪০ জন পুরুষ এবং ৩১ হাজার ৪০০ জন মহিলার নামাজ পড়ার সুবিধা রাখা হচ্ছে। কোরআন-হাদিসের জ্ঞান অর্জনের লক্ষ্যে ৩৪ হাজার পাঠকের জন্য লাইব্রেরি সুবিধা রাখা হয়েছে। এসব লাইব্রেরিতে প্রতিদিন ছয় হাজার ৮০০ গবেষক গবেষণা করতে পারবেন। প্রতিদিন ৫৬ হাজার মুসল্লির দাওয়াতি কার্যক্রম পরিচালনার সুবিধাও থাকবে। প্রতিবছর ১৪ হাজার শিক্ষার্থীর কোরআন হিফজ করার সুবিধা ছাড়াও ১৬ হাজার ৮০০ শিশুর প্রাক-প্রাথমিক শিক্ষা অর্জনের ব্যবস্থাও রাখা হবে।
এছাড়াও দুই হাজার ২৪০ জন দেশি-বিদেশি অতিথির আবাসনের সুবিধাও থাকবে এসব কেন্দ্রে। মৃতদেহ গোসলের ব্যবস্থা ছাড়াও হজযাত্রী ও ইমামদের প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা রাখা হয়েছে মডেল মসজিদ ও ইসলামিক সাংস্কৃতিক কেন্দ্রগুলোতে।
এ প্রসঙ্গে ধর্মমন্ত্রী অধ্যক্ষ মতিউর রহমান জানান, ‘তৃণমূল পর্যন্ত ইসলাম ধর্মের সঠিক প্রচার-প্রসার, ধর্মীয় সভা সেমিনার আয়োজন ও জঙ্গিবাদের বিরুদ্ধে জাতিকে সঠিক দিক নির্দেশনা প্রদান, হজযাত্রীদের প্রশিক্ষণ, হামদ-নাত-কিরাত প্রতিযোগিতা তথা ইসলামিক সাংস্কৃতিক কর্মকা- পরিচালনা, ইসলামিক রিসার্চ, ইমাম মুয়াজ্জিনের ট্রেনিং, সামাজিক সমস্যা- বাল্য বিবাহ, যৌতুক ও মাদকসহ নানা সমস্যার সামাজিক সমাধানে আলেমদের কার্যক্রম পরিচালনার ক্ষেত্রে এ মডেল মসজিদ ও ইসলামিক সাংস্কৃতিক কেন্দ্র একটি গুরুত্বপূর্ণ প্লাটফর্ম হিসেবে কাজ করবে।’ এছাড়া দেশের সর্বস্তরের আলেমদের কর্মসংস্থান সৃষ্টিতেও এ প্রকল্প অনেক বড় ভূমিকা রাখবে বলেও জানিয়েছেন মন্ত্রী।

Print Friendly, PDF & Email

মন্তব্য করুন

Please enter your comment!
Please enter your name here

seven + 11 =