Site icon Aparadh Bichitra

ব্যবসায়ীদের প্রতারণার ফাঁদে ফেলে নগ্ন ছবি তুলে মোটা অংকের টাকা আদায়

গোপালগঞ্জে ব্যবসায়ীদের প্রতারণার ফাঁদে ফেলে নগ্ন ছবি তুলে মোটা অংকের টাকা আদায় চক্রের পাঁচ সদস্যকে আটক করেছে পুলিশ। শনিবার জেলার বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়ে তাদের আটক করা হয়। পরে গোপালগঞ্জ সদর থানায় তাদের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করে পুলিশ।

আটক প্রতারক চক্রের সদস্যরা হলো- টুঙ্গিপাড়া উপজেলার নিলফা গ্রামের ফরিদ মোল্লার ছেলে কামরুল ইসলাম মোল্লা (৫০), একই গ্রামের জামাল মোল্লার ছেলে সোহাগ মোল্লা (২৮),  গোপালগঞ্জ সদর উপজেলার মানকদহ গ্রামের সিরাজুল হক সিকদারের ছেলে রইচ শিকদার (৩৪),  গোপালগঞ্জ শহরের নবীনবাগ এলাকার লুৎফর রহমান সিকদারের ছেলে মোঃ সাইফুল ইসলাম সিকদার (৫০) ও  গোপালগঞ্জ সদর উপজেলার মেরী গোপীনাথপুর গ্রামের আব্দুল আজিজের মেয়ে সায়েরা আজিজ তিথি (১৮)। অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) মোহাম্মদ ছানোয়ার হোসেন জানান, প্রতারক চক্র মালামাল ক্রয় ও ট্রাক ভাড়া নেয়ার কথা বলে জেলার বিভিন্ন ব্যবসায়ীদের টুঙ্গিপাড়া উপজেলার নিলফা গ্রামের ফরিদ মোল্লার ছেলে কামরুল ইসলামের বাড়িতে ডেকে নিতেন। এখানে এনেই প্রতারকদের পাতা ফাঁদে আটকে যেতেন ব্যবাসয়ীরা। এ চক্রের অন্যান্য সদস্যের সহযোগিতায়  নারী সদস্য নগ্ন হয়ে ব্যবসায়ীর সাথে ছবি তোলা ও ভিডিও ধারণ করতো। এই ভিডিও ফাঁস করে দেয়ার ভয়ে ফাঁকা নন জুডিশিয়াল স্ট্যাম্পে সই নিয়ে মোটা অংকের অর্থ আদায় করে আসছিল। তিনি আরো জানান, প্রতারণার শিকার গোপালগঞ্জ সদর উপজেলার বোয়ালীয়া বাজারের সিমেন্ট ব্যবসায়ী রিপন ফকির ও চন্দ্রদিঘলীয়া ইউনিয়নের ৮ নং ওয়ার্ডে’র মেম্বার গাজী আনিচের অভিযোগ পেয়ে মোবাইল ফোন ট্র্যাকিং করে  জেলার বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়ে তাদের আটক করা হয়। আটক ব্যক্তিরা প্রতারণার মাধ্যমে ১৫ থেকে ১৬ জন ব্যবসায়ীর কাছে এভাবে থেকে মোটা অংকের অর্থ হাতিয়ে নেয়ার কথা স্বীকার করেছে বলে জানান ওই পুলিশ কর্মকর্তা। প্রতারণার শিকার গোপালগঞ্জ সদর উপজেলার বোয়ালীয়া বাজারের সিমেন্ট ব্যবসায়ী রিপন ফকির ও চন্দ্রদিঘলীয়া ইউনিয়নের ৮ নং ওয়ার্ডে’র মেম্বার গাজী আনিচ জানান, তাদের ব্যবসায়িক কাজের কথা বলে নিলফা গ্রামের  কামরুল ইসলাম মোল্লার বাড়িতে ডেকে নেয় প্রতারক চক্র। তারপর প্রতারক চক্রের সদস্যরা জোর করে নগ্ন মহিলার সাথে ছবি তোলে ও ভিডিও ধারণ করে। এসব কাজ শেষে মারপিট করে তাদের কাছ থেকে নন জুডিশিয়াল স্ট্যাম্পে স্বাক্ষর আদায় করে নেয়। এরপর তাদের কাছ থেকে ২ লাখ ৪০ হাজার টাকা আদায় করে এ চক্র।