Site icon Aparadh Bichitra

ডিজিটাল নিরাপত্তা নতুন মোড়কে

বিতর্কিত ৫৭ ধারা বাতিলের জন্য দীর্ঘ দিন আন্দোলনের পর সরকার কালো আইনটি বাতিল করে তার স্থলে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন ২০১৮ আইন প্রণয়ন করে। নতুন এ আইনে ৫৭ ধারার বিষয়গুলোই রয়ে গেছে। তবে বিষয়গুলো ভিন্ন ভিন্নভাবে উল্লখ করা আছে। আইনটি আগে একটি ধারায় ছিল। এখন তা বিভিন্ন ধারায় ভাগ করে দেয়া হয়েছে। এতে আগের মতই সাংবাদিক সহ যে কেন ব্যক্তির বিরুদ্ধে অপপ্রয়োগের সুযোগ রাখা হয়েছে। ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের ৩২ ধারা নিয়ে ইতোমধ্যে দেশব্যপি প্রতিবাদের ঝড় উঠছে। ৫৭ ধারার পরিবর্তে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন গণমাধ্য কর্মীসহ মানুষের বাক স্বাধীনতা কেড়ে নেয়ার জন্য এক ভয়ানক হাতিয়ার হয়ে দাঁড়িয়েছে।

অনেক মন্ত্রী বলেছেন এমপিদের নিয়ে যাতে খারাপ কিছু সাংবাদিকরা না লিখতে পারে সেজন্যই এ আইন তৈরি করা হয়েছে। এতে সাংবাদিকদের জন্য তদন্ত সাপেক্ষে অনুসন্ধানী প্রতিবেদন তৈরি করা কঠিন হয়ে পড়বে। পেশাগত দায়িত্ব পালনের ক্ষেত্রে সাংবাদিকরা যে হয়রানি ও জেল জুলুমের শিকার হবেন তার সুষ্পষ্ট আলামত পাওয়া যাচ্ছে। এক কথায় সংবাদপত্রের ওপর ভয়াবহ কুঠারাঘাত করার উদ্দেশ্যে এ আইন প্রণয়ন করা হয়েছে। শুধু সাংবাদিকবই নয় পুরো সমাজের মুক্তচিন্তা এবং স্বাধীন মত প্রকাশের পথকে রুদ্ধ করে দেয়া হচ্ছে বলে বিশিষ্টজনরা মনে করছেন। ৫৭ ধারায় যা ছিল তা ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের ২৫, ২৮, ২৯ এবং ৩১ ধারায় ভাগ করে রাখা হয়েছে। অর্থাৎ বিলুপ্ত হয়নি ৫৭ ধারা এবং তা জনগণকে বোকা বানানোর জন্য নতুন রুপে আত্মপ্রকাশ করছে। সংবদপত্রের সব পক্ষ ও সিভিল সোসাইটির তীব্র প্রতিবাদের মুখে ৫৭ ধার বাতিলের অঙ্গীকার করলেও কার্যত তা না করে এখন আরও কঠোরভাবে আইনটি প্রয়োগের চেষ্টা চলছে।