জন হয়রানি চরমে পূর্ব প্রস্তুতি ছাড়া হঠাৎ লেগুনা বন্ধ

1
1163

নিরাপদ সড়কের দাবিতে কোমলমতি ছাত্রদের আন্দোলনের পর থেকে সড়ক পথে আর শৃঙ্খলা ফেরে আসছে না। যদিও বা উক্ত আন্দোলনের সুফল পেয়ে আন্দোলনটিকে সমাজের সকল শ্রেণীর লোক সমর্থন দিয়ে আসছিল। সড়ক মহাসড়কে প্রতিদিন ঝড়ছে প্রাণ। সম্প্রতি সড়ক দূর্ঘটনার দায় লেগুনার ওপর চাপিয়ে দিয়ে কোন প্রকার পূর্ব প্রস্তুতি ছাড়া হঠাৎ লেগুনা চলাচল বন্ধ করে দেয়া হয়। এর ফলে সড়কে চলাচলকারি অপরাপর গাড়ির ওপর চাপ বৃদ্ধি পায় অস্বাভাবিক ভাবে।

এই চাপকে পুঁজি করে লোকাল বাসগুলো ভাড়া বৃদ্ধির এক বাহানা সৃষ্টি করে যাত্রি হয়রনি করে চলছে। বর্ধিত ভাড়াকে কেন্দ্র করে বাসের চালক, কন্ডাক্টার ও হেল্পারদের সাথে যাত্রিদের বাক বিতন্ডা ও হাতাহাতি চলছে যা দেখার কেউ নেই। বলতে গেলে গোটা পরিবহন সেক্টর অরাজকতায় ভরে গেছে। ঢাকার কোন কোন সড়কে ও বাস স্ট্যান্ডে এক ঘন্টা দাঁড়িয়ে থেকেও বাস বা অপর কোন যানবাহনও পাচ্ছে না যাত্রিরা। জনজীবনকে অচল করে দিয়ে হঠাৎ এই লেগুনা বন্ধের কারন খুঁজে পাচ্ছে না লেগুনার মালিক ও যাত্রিসাধারন। কয়েক হাজার শ্রমিক তাদের আয়ের জন্য লেগুনার ওপর নির্ভরশীল। এগুলোর মালিকরা আয় রোজগারের বিকল্প পথ তৈরির সময়ও পাচ্ছে না। মোট কথা সরকার সড়ক দূর্ঘটনার দায় থেকে এড়িয়ে যাবার জন্য সকল দোষ লেগুনার ওপর চাপিয়ে দিয়ে এক অস্বস্থিকর পরিস্থিতি সৃষ্টি করছে। এ অবস্থা বেশি দিন চলতে থাকলে লেগুনার সাথে জড়িত মালিক-শ্রমিক-যাত্রি সকলে আন্দোলনে নামবে এমন ধারনা অমূলক নয়। সরকারের সংশ্লিষ্ট বিভাগ এ ব্যাপরে করনীয় যা তা করবে বলে ভুক্তভোগীদের বিশ্বাস। জনসাধারনকে হয়রানির অতল গহ্বরে ফেলে দিয়ে কোন সমস্যার সমাধান হতে পারে না।

Print Friendly, PDF & Email

মন্তব্য করুন

Please enter your comment!
Please enter your name here

8 − two =