ষ্টাফ রিপোর্টার:
রাজধানীর খিলক্ষেএ থানায় ঈদের দিনে ও রেহাই, পেল না আসলাম বাহিনীর কাছে। মাদক ব্যবসায় পৃষ্ঠপোষক আসলাম উদ্দিন এর ভাতিজা ও অন্যান্য সবাই মিলে একটি মাদকের বড় চালান নিয়ে আসে খিলক্ষেতে। তা নেওয়ার সময় দেখে ফেলে এক জন হতদরিদ্র ইজিবাইক চালক। তাকে সজোরে আঘাত করলেই চলে যায় স্থানীয় কিছু যুবক। ঘটনা স্থানত্যাগ করার পর। হলুদ টেক্স ক্যাব এর চাঁদাবাজ আসলাম রাতে হামলা চালিয়ে যান তাদের বাসায়। এতে আহত হন জসিম উদ্দিন বেপারী, গনি মিয়া, উজ্জল, মিজান, সহ আরো অনেকে। এলাকা বাসী আসলাম এর বাহিনীর কাছে জিম্মি হয়ে পরেছে। এতে এলাকার মাঝে থমথমে ভাব বিরাজ করছে।
এলাকাবাসী আরও জানান আসলাম এর কাছে কারও রেহাই নেই। তার পোষা কুকুর এর আচরণ করে তারা। তাদের অত্যচারে অতিষ্ঠ এলাকা সাধারন মানুষ। আসলাম বাহিনীর কুখ্যাত ব্যক্তিরা হলেন, কায়েস উদ্দিন, ইমরান শাকিল, আকিব, মাসুম সহ একাধিক ভাড়াটিয়া ক্যাডার বাহিনী। এর সাথে জড়িয়ে পড়েছে বিভিন্ন শ্রেণীর পেশার মানুষ। মাদক দ্রব্যের ধ্বংসলীলার হাত থেকে রক্ষার দায়িত্বে নিয়োজিত সংশ্লিষ্ট পুলিশ প্রশাসন বা মাদক দ্রব্য নিয়ন্ত্রক অধিদপ্তর এর ভূমিকা থাকলেও এসব বিষয়ে তারা তেমন কিছু করছেনা। উল্টো এদের সাথে রয়েছে মাসিক মাসহারা চুক্তি ফলে সমাধানের মাধ্যমে এক শ্রেণীর হোটেল ব্যবসায়ীরা এবং মাদক ব্যবসায়ীরা তাদের ব্যবসাকে আরো ফুলিয়ে ফাপিয়ে তুলছে। বারের ব্যবসা বা মাদক যেন মাসততো ভাই। এ দুই শ্রেণী সমন্বয়ে চলছে মাদক দ্রব্যের অবৈধ ব্যবসা ও অসামাজিক কার্যকলাপ। ফলে নেশার তারনে অতি গোপনে বারগুলোর ছোট ছোট রুম ভাড়া করে চলছে নারী ও মাদক এতে সামাজিক অবক্ষয় নষ্ট হচ্ছে সেই সাথে নষ্ট হচ্চে উঠতি বয়সের তরুন তরুনীরা। এদিকে অপরাধ বিচিত্রার অনুসন্ধানে জানা গেছে একটি শক্তিশালী সিন্ডিকেটের অবাধে চলছে রাজধানীর খিলক্ষেতে কয়েকজন কথিত নেতা আসলাম উদ্দিন দীর্ঘ দিন ধরে মাদক ব্যবসা করে যাচ্ছেন রাজনৈতিক ক্লাবে। আমাদের এখানে অনেকেই আসেন। সমপ্রতি মিজানুর রহমান, তানভির, মাসুম বিল্লাহসহ ক্লাবে আরও অনেকেই অপরাধ মূলক কাজের সাথে জড়িয়ে তাদের সাথে কথা বলে জানা যায় আমরা সব শ্রেণীর মানুষকে ম্যানেজ করে চালাই। তবে এ বিষয়ে সত্যতা জানতে চাইলে এলাকাবাসী জানান এরা দীর্ঘ দিন যাবৎ এ ধরনের অসামাজিক কর্মকান্ড চালিয়ে আসছে। পুলিশ মাঝে মধ্যে পুলিশের অভিযান চালিয়ে নিয়ে মামলা দিয়েছে। কিন্তু সিন্ডিকেট চক্রটি বার বার আইনের চোঁখের ফাক দিয়ে বেরিয়ে আবারো একই উপায়ে শক্ত ভাবে চালিয়ে যাচ্ছে ব্যবসা। চোখে পড়ে বাড়ির গেটে বিভিন্ন রকম যুবক-যুবতী ও মাদক ব্যবসায়ী চক্র। এ ব্যপারে খিলক্ষেত থানার অফিসার ইন-চার্জ ওসি শহিদুল হককে প্রায় প্রতি মাসে ২৬ লক্ষ টাকা মাসোহারা দিয়ে থাকে বলে একটি সূত্রে জানা যায়। একের পর এক হামলা, মামলা ও র্যা ব অভিযান চালিয়েও বন্ধ করতে পারেনি এই অবৈধ মাদক ব্যবসা। এ ধরনের কুচক্রকে আইনের আওতায় এনে মাদক নিয়ন্ত্রণ আইনের আওতায় আনা হউক। মাদক দ্রব্য নিয়ন্ত্রক এর গুলশান জোন এর কর্মকর্তার সাথে বারবার দেখা করতে চাইলেও তাকে পাওয়া যায়নি। কয়েকবার অভিযান চালিয়ে খিলক্ষেত থানার ওসি অপারেশন অভিযান চালিয়ে গত ১৯/০৪/২০১৮ ই তারিখে আসলাম উদ্দিনের নাতি ৩৫০০ পিচ ইয়াবাসহ মাদক ব্যবসায়ী ও খদ্দরদের গ্রেফতার করেন। শুধু তাই নয়, খিলক্ষেত থানার মাদক ও পতিতা পল্লী থেকে শুরু করে সকল প্রকার অন্যায়মূলক কার্যক্রম বন্ধ করতে পারেনি ওসি শহিদুল হক। ক্লাবে দীর্ঘদিন যাবত মাদক, পতিতা ও মাদকের রাজা ইয়াবাসহ বিভিন্ন প্রকার অসামাজিক কার্যকলাপ চালিয়ে আসছে। উক্ত প্রতিষ্ঠানে উত্তরা র্যা ব-১ অভিযান চালায়। ঐ ক্লাবে নির্দিষ্ট কোন মাদকের ট্রেড লাইসেন্স নেই। এ ব্যাপারে খিলক্ষেতের সুশীল সমাজের লোকজন কুরুচিপূর্ণ কথা বলে-এখন আর আবাসিক নগরীতে বসবাস করা সম্ভব নয়। মাদকে ভাসছে দেশ, তেমনি খিলক্ষেতের অবৈধ মাদকের সিন্ডিকেট। যেখানে নিরিবিলি পরিবেশ থাকার কথা সেখানে হৈ-হুল্লোড় ও চেঁচামেচি যা বসবাসের জন্য অনোপযোগী হয়ে পড়েছে। এমতাবস্থায়, সংশ্লিষ্ট প্রশাসন মহলের কাছে আবেদন আবাসিক নগরীতে যত্রতত্র অবৈধ মাদক স্পট ও আবাসিক হোটেলের নামে চলছে পতিতা ব্যবসা। এব্যাপার খিলক্ষেত থানায় একটা মামলা দায়া করা হয়। ঢাকা মহানগর উত্তরে কমিশনারের দৃষ্টি আকর্ষণ করা হউক।