দুর্নীতিতে বেপরোয়া টিও মোল্লা

0
825

লক্ষ্মীপুর প্রতিনিধি:
লক্ষ্মীপুর সদর উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার মনিরুজ্জামান মোল্লার উপকরণ বানিজ্যের কাছে অসহায় উপজেলার প্রাথমিক শিক্ষকরা। জানাযায়, মনিরুজ্জামান বিদ্যালয়ের ক্ষুদে ডাক্তারদের এ্যপরণ (ড্রেস) এর জন্য ৩,০০০/- টাকা করে ২, ৮৬ টি স্কুলে ৮, ৫৮, ০০০/- টাকা ও প্রাক প্রাথমিকের শিক্ষা উপকরণ কেনার জন্য ৩, ৬০০/- টাকা করে ১০, ২৬,০০০/- টাকা, প্রাক প্রাথমিকের বরাদ্ধকৃত অর্থ ও শ্লিপের বরাদ্ধকৃত অর্থ থেকে মোট ৬,৩০০/- টাকা অডিটের নামে ৩০০/- টাকা, করে ৮৫,৮০০/- টাকা, বই কেনার জন্য ১৭৫০/- টাকা করে ৫,০০,৫০০/- টাকা সর্বমোট ২৪, ৭০, ৩০০/= আদায় করে বলে অভিযোগ পাওয়া যায়।

উপজেলার ২৮৬টি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকদের ক্লাষ্টার ওয়ারী এ টাকা জমা দেওয়ার নির্দেশ প্রদান করা হয়। সে মোতাবেক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকগণ হয়রানির ভয়ে উক্ত টাকা প্রদানে বাধ্য হলেও তাহাদের অনেকের মধ্যে ক্ষোভ বিরাজ করছে। কয়েকজন শিক্ষক নাম প্রকাশ না করার শর্তে জানান, যে বই তাদের দেওয়া হয়েছে তার গায়ের দাম নেওয়া হলেও প্রকৃত পক্ষে তার দাম অর্ধেক ও নেই। বাজার থেকে উক্ত বই অল্প দামে সহজেই কেনা যায়। অপর দিকে প্রাক প্রাথমিকের যে উপকরণ ও ক্ষুধে ডাক্তারদের যে ড্রেস দেওয়া হয় তাও আরো অনেক কম দামে কেনা যায়। এতে শিক্ষা অফিসার লাখ লাখ টাকা দুর্নীতি করে লাভবান হলেও শিক্ষা প্রতিষ্ঠান গুলো আর্থিক ভাবে ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছে। এ ব্যাপারে জসিম উদ্দিন নামের একজন বিদ্যালয় সভাপতি ও সাংবাদিক রফিকুল ইসলামসহ তিনজন সাংবাদিক উপস্থি হয়ে লক্ষ্মীপুরের সহকারী জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার মোছাদ্দেক হোসেনকে জানিয়ে তার মতামত জানতে চাইলে তিনি জানান, উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসারের পন্য সরবরাহের কোন সুযোগ নেই। তিনি পণ্য গুলো যথাযথ ভাবে কেনা হয়েছে কিনা তা যাছাই বাছাই করতে পারেন। মনিরুজ্জামান কেন এ কাজ করছেন তা তিনি জানেননা। তবে বিষয়টি তিনি খতিয়ে দেখবেন। এ দিকে সহকারী জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার মোসাদ্দেক হোসেনকে অবহিত করার পর পণ্য সরবরাহকারি উপজেলা শিক্ষা অফিসার ও তার সহযোগী সহকারি শিক্ষা অফিসারগণ এ নিয়ে লুকোচুরি খেলা শুরু করেন এবং পরের দিন প্রধান শিক্ষকদেরকে ডেকে টি ও বলেন সাংবাদিক বা যেকেহ প্রশ্ন করলে বলবেন পন্যগুলি আমরা নিজেরাই কিনেছি, আমার নাম বলা যাবে না। পণ্যগুলো এবার উপজেলা থেকে সরবরাহ না করে যাদিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় থেকে ও এন. আহম্মদিয়া সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় এ বিতরন করে। স্ব স্ব ক্লাষ্টার টাকা উত্তোলন করে বলে অভিযোগ পাওয়া যায়। সে মোতাবেক উক্ত টাকা আদায় ও পন্য সরবরাহ করে বলে জানাগেছে। এ ব্যাপাারে জানতে চাইলে পন্য সরবরাহকারী একজন প্রধান শিক্ষক জানান, বলার অনেক আছে। তার অধীনে চাকুরী করে তার কথার বাইরে কিছু বলার সুযোগ নেই। টিওর মতের ব্যতিক্রম হলে নেপথ্যে হয়রানির আতংকে আছি। মনিরুজ্জামান মোল্লার বদলী বাণিজ্য ও পরীক্ষার প্রশ্ন পত্র ছাপানো, মৌখিক ডিপোটিশন বানিজ্য সহ নানা অভিযোগ রয়েছে তার বিরুদ্ধে। টি ও মনিরুজ্জামান মোল্লা ১০ বছর চাকুরী জীবনে ৯ বার বদলী ও বেগমগঞ্জ প্রাথমিক শিক্ষা অফিসে থাকা কালে দুর্নীতির দায়ে বিভাগীয় মামলা হয় বলে অভিযোগ পাওয়া যায়। এদিকে মৌখিক ডিপোটিশনে প্রায় ডজন তিনেক শিক্ষক বদলী দিলেও একজন শিক্ষককে টিওর নির্দেশে সহকারী উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা শহিদুল ইসলাম পপি নামে একজন শিক্ষিকাকে লিখিত ভাবে শোকজ করিলেও বাকীদের শোকজ করেন নাই। শহিদুল ইসলামকে প্রশ্ন করা হলে একজন কে লিখিত শোকজ করেন বাকীদের শোকজ করেন নাই এমন প্রশ্ন করলে শহিদুল ইসলাম বলেন আমি টি ও স্যারের নির্দেশে শোকজ করেছি। প্রশ্ন উঠেছে একজন থেকে ডিপোটিশনের টাকা না পাওয়া তাহাকে শোকজ করা হয়েছে। উপজেলা সহকারী শিক্ষা অফিসার হাসিনা আক্তার গত ১৮/০৭/১৮ইং আব্দুল্যাহ পুর সকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ে পরিদর্শনে গেলে শিক্ষকদের উপস্থিতিতে সি.সি ক্যামেরাকে কেন্দ্র করে সরকারের ডিজিটাল পদ্ধতি নিয়ে সমালোচনা করেন। টি ও মনিরুজ্জামান মোল্লা উপকরণগুলো ক্রয় করেন প্রাইমারি ভিশন বাংলা বাজার, ঢাকা থেকে। চলবে

Print Friendly, PDF & Email

মন্তব্য করুন

Please enter your comment!
Please enter your name here

four × 4 =