রাজউকের ইমারত পরিদর্শক মোঃ মিজানুর রহমান এর অবৈধ সম্পদের উৎস কী?

0
1283

জেমস এ কে হামিম:
রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের দুর্নীতি নিয়ে গনমাধ্যমে প্রতিদিনই সংবাদ প্রকাশিত হচ্ছে। প্রায় কোন না কোন কর্মকর্তার আয় বহির্ভূত বিশাল সম্পত্তি গড়ার অপরাধে দুদকের জালে আটক পড়ছে। আবার-দুদক ধরে নেয়ার সময় পথেই চুক্তির সংবাদ গণমাধ্যম থেকে পাওয়া যাচ্ছে।

১। ১৩ নং সেক্টর রোড-২০ হাইজ-১১, ৬ তলা বাড়ী।
২। মীরের বাজার মেঘডুবী গাজীপুর ৫ বিঘা + ৫ বিঘা + বাংলো বাড়ী।
৩। পূর্বাঞ্চলে প্লট-২ টি।
৪। শনির আখড়া ৫ কাঠা জায়গা
৫। সিদ্ধেশরী জায়গা -৫ কাঁঠা। ৬। উত্তরা আরএমসি হাসপাতালের ৫০% শেয়ার হোল্ডার।
৭। নথ টাওয়ারের নীচতলায় ১ টা বড় দোকান পজিশন কিনা।
৮। বন্ধুর কাছে ম্যান পাওয়ারের বিজনেসে দেড় কোটি টাকা বিনিয়গ।
৯। স্ত্রী এবং মেয়ের জন্য প্রায় দুইশত ভরি স্বর্ণ অলংকার ক্রয়।
১০। কুলিল্লায় ডোপ্লেক্স বাড়ী ও পুকুর সহ প্রায় জমির পরিমাপ পঞ্চাশ বিঘা।
১১। বিভিন্ন লোকের কাছে ব্যবসায়িকভাবে বিপুল পরিমান টাকা মজুত আছে। রাজউকের অনেক কর্মচারী ঢাকা শহরে একাধিক আলীশান বাড়ী প্রাইভেট কার ও মোটা অংকের ব্যাংক ব্যালেন্সের মালিক। ঘুষ না দিয়ে সেবা গ্রহন ছাড়া রাজউক থেকে কোন কাজ উদ্ধার করতে পারছে না এমন ঘটনা নেই বলেই চলে। অর্থাৎ রাজউক হচ্ছে টাকার খনি।

রাজউকের মহাখালী শাখার ইমারত পরিদর্শক মোঃ মিজানুর রহমান, পিতা- সহিদ উল্লাহ, মাতা- রাজিয়া বেগম। তার বর্তমান ঠিাকানাঃ রোড- ১০, বাড়ী- ১১, সেক্টর- ১৩, উত্তরা, ঢাকা এর নিজস্ব সাড়ে ছয়তলা ভবন এ বসবাস করেন। জানা যায়, তিনি অনিয়ম করে বহুতল ভবন গড়ে তুলছেন। অন্য কোন জোনে তার জোনের মত হয়রানি হয় নি। অভিযোগ রয়েছে রাজউক এর উর্ধ্বতন কর্মকর্তাদেরকে ম্যানেজ করেই তিনি দীর্ঘ ঘূষের মাত্রা বৃদ্ধি করে চলেন। তার অবৈধ রয়েছে সম্পদের পাহাড় । ঘুষের টাকা দিয়ে তিনি পাপকে মাফ করতে যান মক্কা শরীফে। এ যেন আল্লাহকে বোকা বানানোর পায়তারা। এখন নামের সাথে হাজী শব্দটি সংযুক্ত হচ্ছে কিন্তুু পাজি স্বভাব তার রয়ে গেল। এই ঘুষ বাণিজ্য এর পেছনে রয়েছে পরকিয়া ও আরও বিভিন্ন অভিযোগ। তার স্ত্রী সন্তান থাকা সত্ত্বে উঠতি বয়সের মেয়েদের সাথে ফুর্তি করা তার স্বাভাব তার প্রমাণ এ প্রতিবেদকের কাছে রয়েছে। তার অবৈধ সম্পদের মধ্যে ঢাকার উত্তরায় ১৩ নং সেক্টর, বাড়ী- ১১ সাড়ে ছয় তলা একটি অত্যাধুনিক বিলাস বহুল বাড়ী যার বর্তমান বাজার মূল্য প্রায় দশ কোটি টাকা। আরো সম্পদ রয়েছে গাজীপুর মীরের বাজার মেঘডুবীতে একটি বাংলো বাড়ী । পূর্বাচঞ্চে তার দুই টি প্লট ও শনির আখড়া পাঁচ কাঠা জায়গা রয়েছে তার নামে। আধুনিক ঢাকার সিদ্ধেশ্মরীতে ৫ কাঁঠা জমি। কী করে এত সম্পদের মালিক হলেন তিনি। উত্তরায় মডেল টাউনে রয়েছে তার একটি হাসপাতাল। ৫০% শেয়ার রয়েছে তার নামে। হাসপাতালটির নাম আর.এম.সি ৭নং সেক্টরে এর অবস্থান। এখানেই শেষ নয়! উত্তরায় হাউজ বিল্ডিং এ নর্থ টাওয়ারের নীচ তলায় ১টা বড় দোকান পজিশন রয়েছে তার নামে। এর পাশাপাশি তার ম্যানপাওয়ারের বিজনেস ও রয়েছে তার বন্ধু সাথে। অনেকের কাছে রাজউক এর এই পরিদর্শক ব্যবসায়ী হিসাবে খ্যাত। এত সম্পদের মালিক যে হলে যে কেউ তার স্ত্রী কন্যাকে রাজ-রানীর মতই রাখতে পারে। মিজান স্ত্রী নাম মোসাম্মদ রাবেয়া বেগম। দুইশত ভরি স্বর্ণ অলংকার গড়েছে। কিভাবে তার এই চাকুরী হতে এত অবৈধ সম্পদ গড়ে তুলছে। নাম প্রকাশ না করার শর্তে রাজউকের একাধিক কর্মকর্তা এ প্রতিবেদককে জানান, সংশ্লিষ্ট উন্নয়ন নিয়ন্ত্রন শাখার সাথে সুসর্ম্পক রেখে হাতিয়ে নিয়েছেন কোটি টাকা। অনুসন্ধানে যানা যায়, মিজানুর রহমান কুমিল্লা জেলার অন্যতম ধনী বিত্তবান ব্যাক্তি হিসাবে পরিচিত। তার কুমিল্লায় ডুপ্লেক্স বাড়ী ও পুকুর সহ প্রায় জমির পরিমান পঞ্চাশ বিঘা। অবৈধ টাকার জোরে কুমিল্লায় ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করেছেন তিনি। ঢাকাতে বিভিন্ন লোকের কাছে ব্যবসায়ীক ভাবে বিপুল পরিমান অর্থ মজুদ করেছেন। এ ব্যপারে মিজানুর রহমানের সাথে মুঠোফোনে যোগাযোগ করলে তিনি এ প্রতিবেদককে বলেন, “আমি হজ্ব থেকে এসে এখনো কোথায় জয়েন করিনি। জয়েন করলে পরে যোগাযোগ করবেন”। তার আয়ের সাথে সম্পদের পার্থক্য সংক্রান্ত বিষয়টি দুদক ও সংশ্লিষ্ট বিভাগ তদন্ত করলে চাঞ্চল্যকর তথ্য বেরিয়ে আসবে বলে মনে করেন বিশিষ্ট জনেরা। এ ব্যপারে এ প্রতিবেদকের তদন্ত অব্যহত আছে। আগামি সংখ্যায় চোখ রাখুন।

Print Friendly, PDF & Email

মন্তব্য করুন

Please enter your comment!
Please enter your name here

sixteen − nine =