বরিশালের উজিরপুরের জল্লা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ও ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি বিশ্বজিৎ হালদার নান্টুকে গুলি করে হত্যা করা হয়েছে। গতকাল শুক্রবার রাত সাড়ে আটটায় ইউনিয়নের কারফা বাজারে তাঁর নিজ ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় তাঁর সহযোগী নিহার হালদার নামে অপর এক যুবক গুলিবিদ্ধ হয়েছেন।
তাকে বরিশাল শেরে বাংলা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়। স্থানীয় লোকজন ও থানা পুলিশ সূত্রে জানা যায়, শুক্রবার রাত সাড়ে আটটায় ইউপি চেয়ারম্যান বিশ্বজিৎ হালদার কারফা বাজারে নিজের ব্যবসা প্রতিষ্ঠান স্বর্ণা গার্মেন্টস অ্যান্ড ক্লোথ স্টোরে বসে ছিলেন। হঠাৎ করে দুইটি মোটরসাইকেলে করে আসা কয়েকজন তাকে গুলি করে পালিয়ে যায়। এতে চেয়ারম্যান বিশ্বজিৎ হালদার ও নিহার হালদার গুলিবদ্ধ হন। এ সময় স্থানীয় লোকজন ও স্বজনরা তাঁদের উদ্ধার করে প্রথমে আগৈলঝাড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করায়। সেখান থেকে উন্নত চিকিৎসার জন্য বিশ্বজিতকে বরিশাল শেরে বাংলা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়। সেখানে রাত পৌনে ১০টার দিকে জরুরী বিভাগের চিকিৎসক তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন। হাসপাতালের পরিচালক বাকির হোসেন বলেন, হাসপাতালে পৌঁছানোর আনুমানিক ২০ মিনিট আগে তার মৃত্যু হয়। তার বুকে, পিঠে ও পায়ে তিনটি গুলির চিহ্ন রয়েছে। এ ব্যাপারে বরিশাল জেলার পুলিশ সুপার মো. সাইফুল ইসলাম বলেন, দলীয় কোন্দল ও আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে হত্যাকাণ্ডের এ ঘটনা ঘটতে পারে। বিষয়টি আমরা খতিয়ে দেখছি। পাশাপশি হত্যাকারীদের চিহ্নিত করে দ্রুত গ্রেপ্তার করে আইনের আওতায় আনা হবে।