ছাত‌কে ট্রাফিক পুলিশের বেপরোয়া চাঁদাবাজি

0
1121

ছাতক(সুনামগঞ্জ) প্রতিনিধি ::
ছাত‌কে ট্রাফিক পুলিশের বেপরোয়া চাঁদাবাজিতে অতিষ্ঠ গাড়ি চালকগণ। ভারীযান থেকে শুরু করে ব্যাটারী চালিত রিক্সা চালকরাও রেহাই পাচ্ছে না অসাধু ট্রাফিক পুলিশের হাত থেকে। পৌর শহ‌রে বিভিন্ন পয়েন্টে ট্রাফিক পুঁলিশের প্রকাশ্যে চাদাঁবাজি এখন নিত্য নৈমত্তিক ব্যাপার হয়ে দাড়িয়েছে বলে জানান ভোক্তভোগিরা ।
অভিযোগে প্রকাশ ,কাগজ দেখার নাম করে রিক্যুইজিশনের ভয় দেখিয়ে চাদাঁবাজি করেন ট্রাফিক পুলিশ কনস্টেবল শাহ আলম । সুত্র জানায় ,কতিপয় অসাধু ট্রাফিক র্সাজেন্ট ট্রাফিক পুলিশ কনস্টেবল শাহ আলম চাঁদাবাজিতে উৎসাহিত করেছে। একাধিক প্রাইভেট গাড়ির মালিক ও ড্রাইভারদের অভিযোগ, শাহ আলম ট্রাফিক পু‌লিশ পৌর শহ‌রের সব পরিবহনের চাঁদাবাজি নিয়ন্ত্রণ করেন।

অনুসন্ধানে জানা গেছে , ট্রাফিক পুলিশের চাদাঁবাজির মূল কেন্দ্র । শুধু তাই নয় ,সার্জেন্টদের সাথে পালা দিয়ে সমান তালে চাদাঁবাজিতে জড়িয়ে পড়েছে কতিপয় অসাধু ট্রাফিক কনস্টেবল শাহ আলম। এই সার্জেন্ট ও হাবিলদাররা পৌর শহ‌রের পেপার মিল ,‌কোট প‌য়েন্ট, রহমতবাগসহ অন্তত ৭টি পয়েন্টে কর্তব্যরত অবস্থায় একাধিক যানবাহন থেকে অবৈধ ফায়দা আদায় করতে ‘রেকারম্যান’দের নিরাপদ মাধ্যম হিসেবে ব্যবহার করেন এমন অভিযোগ ভুক্তভোগীদের। গতকাল সরজমিন ঘুরে দেখা যায় সার্জেন্ট নিখিলের নেতৃত্বে আম্বরখানায় ট্রাক থেকে শুরু করে অটোরিকশা পর্যন্ত আটক করে রিক্যুইজেশন এবং মামলার ভয় দেখিয়ে চালক ও মালিকদের কাছ থেকে অবৈধ ফায়দা হাসিলের চেষ্টা করছেন ।
একইভাবে পুরো উপ‌জেলাজু‌ড়ে প্রতিদিন শত শত গাড়ির কাছ থেকে অবৈধ ফায়দা হাসিল করা হয় বলে অভিযোগ রয়েছে। টিএস আই মোস্তফা নাম ব্যবহার ক‌রে সি‌লেট বিভা‌গের দুনী‌তিবাজ ট্রা‌ফিক পু‌লিশ শাহ আলম থাকলেই ডিউটির চিন্তা না করে ফায়দা লুটতে ব্যাস্ত থাকেন । গ্রাম গঞ্জ থেকে আসা সিএনজি ,লেগুনা, ট্রাক গাড়ির ড্রাইভারদের কাছ থেকে ৫০০ টাকা থেকে ১০০০টাকা আদায়ে করেন। দোয়ারাবাজার থে‌কে সিএনজি চালিত অটোরিকশা চালক কা‌দির মিয়া জানান, ট্রাফিক পুলিঁশের চাঁদাবাজিতে আমরা অসহায় হয়ে পড়েছি। তাদের কথামত উৎকোচ না দিলে কারণে অকারণে মামলা দিয়ে হয়রানি করা হয়। ট্রাক চালক এমাদ উদ্দিন জানান, ট্রাফিক পুলিশের চাদাঁবাজী ইদানিং বৃদ্ধি পেয়েছে । সারা দিন শহরের বাহিরে ট্রাক রেখে সন্ধার পর শহ‌রের প্রবেশের সাথে সাথে ট্রাফিক পুলিশকে প্রতিটি পয়েন্টে পয়েন্টে উৎকোচ দিতে হয়। নতুবা খালি গাড়ি হলে ‘রিকুইজিশন’ আর মালবাহী হলে ‘অভার লোড’ বলে মামলার ভয় দেখিয়ে উৎকোচ দিতে বাধ্য করা হয়।
জানা গেছে , ট্রাফিকের অঘোষিত ‘ক্যাশিয়ার’ এর দায়িত্ব পালন করছেন শাহ আলম । তিনি শহ‌রের প্রতিটি অবৈধ লেগুনা স্ট্যান্ড,এ্যম্বোলেন্স স্ট্যান্ড,কার ও লাইটেস স্ট্যান্ড, সিএনজি স্ট্যান্ড ও অটোরিকশা স্ট্যান্ড ছাড়াও রিকশা গ্যারেজ থেকে মাসোয়ারা আদায় করছেন।
এছাড়া শাহ আলম ছাতক গো‌বিন্দ গঞ্জ সড়‌কে পেপার মিল থেকে সিএনজি অটোরিক্সা আটক করে থানায় ঢুকানোর ভয় দেখিয়ে কোট প‌য়েন্ট পাশে নিয়ে উৎকোচ নিয়ে ছেড়ে দেয়। পেপার মিল পয়েন্ট হচ্ছে অবৈধ ফায়দা হাসিলের মূল কেন্দ্র বিন্দু । ট্রাফিকের রেকার বানিজ্য জমজমাট হয়ে উঠেছে। যে কোন গাড়ি আটকের পর গাড়ির চালক দিয়ে গাড়িটি চালিয়ে থানায় নেয়া হলেও গাড়ি ছাড়ার সময় অবৈধভাবে রেকার বিল নেয়া হয়। আর এসব রেকার বিল সরকারী কোষাগারেও জমা হয়না এমনটা দাবী চালকদের। এছাড়া প্রাইভেট কার বা মাইক্রো রিকুইজেশনের উপর হাইকোর্টের নিষেধাজ্ঞা রয়েছে। এরপরেও প্রতিদিনই রিকুইজেশন করা হচ্ছে প্রাইভেট গাড়ি। অসংখ্য রিক্সা একই নাম্বার প্লেইটে একাধিক রিক্সা থাকলেও কোন অভিযান হয়নি। তেমনি ভাবে ইজিবাইক নামক যানবাহনও চলছে রয়েছে একাধিক পেইটে। সংশিষ্ট সুত্র জানিয়েছে, রিক্সা ও ইজি বাইক মালিকদের কাছ থেকে নিয়মিত মাসোহারা আদায় করেন ট্রাফিক পুলিশের কতিপয় টিএস আই ও ট্রাফিক পু‌লিশ শাহ আলম তাদের কাছ থে‌কে টাকা হা‌তিয়ে নি‌চ্ছেন ।
এদিকে বিভিন্ন অপরাধে রেকার দিয়ে টেনে যানবাহন থানায় ঢুকানো হয়। তবে যত বড় অপরাধ থাকুক ৪/৫ হাজার টাকা দিলে সে ১৩৭ ধারায় মামলা দিয়ে গাড়ি বের করে দেয়া হয়- এমন অভিযোগ রয়েছে শহ‌রে ট্রাফিক পু‌লিশ শাহ আল‌মের বিরুদ্ধে। প্রতিদিন হাজার হাজার টাকা ঢুকছে তার পকেটে। এ ব্যাপা‌রে শাহ আলম জানান, আ‌মি টাকা দি‌য়ে এখা‌নে এ‌সে‌ছি । এখন থে‌কে এস‌পি স্যার‌কে মা‌সোহারা দি‌তে হয়। আমার বিরু‌দ্ধে লেখ‌লে কিছু হ‌বে না । এস‌পি স্যারের লোক আ‌মি ! এ ব্যাপা‌রে টিএস আই বা‌রেক জানান ,আ‌মি নতুন এখা‌নে এ‌সে‌ছি । এখান থে‌কে কেউ য‌দি টাকা পয়সার লেনদেনের অভিযোগ সম্পর্কে দৃষ্টিপাত করলে তিনি বলেন, অভিযোগ পেলে ব্যবস্থা নেয়া হবে

Print Friendly, PDF & Email

মন্তব্য করুন

Please enter your comment!
Please enter your name here

fourteen − eleven =