১৪৯টি স্বর্ণের বার আত্মসাতের মামলায় রামপুরা থানার তিন পুলিশের কারাদণ্ড

0
684

ক্ষমতার অপব্যবহার করে ১৪৯টি স্বর্ণের বার আত্মসাতের মামলায় রাজধানীর রামপুরা থানার তিন পুলিশ সদস্যকে ৫ বছর করে কারাদণ্ডাদেশ দিয়েছেন আদালত। বৃহস্পতিবার ঢাকার বিভাগীয় বিশেষ জজ মিজানুর রহমান এ রায় ঘোষণা করেন।

একই সঙ্গে আদালত পুলিশের সোর্স মাহফুজ আলম রনির ৩ বছরের কারাদণ্ডাদেশও দিয়েছেন। দণ্ডপ্রাপ্ত ৩ পুলিশ সদস্য হলেন, রামপুরা থানার এসআই মঞ্জুরুল ইসলাম, কনস্টেবল আকাশ চৌধুরী ও কন্সটেবল ওয়াহিদুল ইসলাম। ২০১৪ সালের ১৩ মার্চ রামপুরা থানা পুলিশ রাজধানীর বনশ্রী এলাকায় একটি মাইক্রোবাস থেকে ২৩৫টি স্বর্ণের বারসহ গাড়ি আটক করে। সেসময় মাইক্রোবাস রেখে পালানোর সময় সমীর ও মুহিন নামের দুই ব্যক্তিকে আটক করা হয়।ঘটনার তিন দিন পর ৭০টি স্বর্ণের বার উদ্ধার দেখিয়ে সমীর ও মুহিনের বিরুদ্ধে রামপুরা থানায় একটি চোরাচালান মামলা দায়ের করা হয়। থানা হেফাজতে নেয়ার পর ওই দুই আসামি গাড়িতে ২৩৫টি স্বর্ণের বার ছিল বলে জানায়। পরে ডিএমপির কমিশনার বেনজীর আহমদের নির্দেশে মামলার তদন্তভার গ্রহণ করে ডিবি। ডিবির পৃথক তিনটি দল নারায়ণগঞ্জ, গাজীপুর ও বগুড়ায় অভিযান চালিয়ে পুলিশের তিন সদস্যসহ ৫ জনকে গ্রেফতার করে। তাদের কাছ থেকে বাকি ১৪৯টি স্বর্ণের বার উদ্ধার করে।পরে ২০১৪ সালের ৭ এপ্রিল দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) এই মামলা দায়ের করে।এ ঘটনায় রামপুরা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কৃপা সিন্ধু বালাকে ক্লোজড করা হয়। মামলায় ২০১৫ সালের ১৪ মে মাসে আদালতে দুদকের উপ-পরিচালক মির্জা জাহিদুল আলম দণ্ডপ্রাপ্ত ৩ জনসহ ৫ জনের বিরুদ্ধে চার্জশিট দাখিল করেন। একই বছরের ১৫ অক্টোবর মামলায় আদালত অপর আসামি মাইক্রোবাস চালক সজিব শিকদারকে অব্যাহতি দিয়ে দণ্ডিতদের বিরুদ্ধে চার্জগঠন করেন। বিচারকালে আদালত ৩০ জনের সাক্ষ্য গ্রহণ করেন। দুদকের পক্ষে আদালতে প্রসিকিউটর রুহুল ইসলাম খান মামলা পরিচালনা করেন।

Print Friendly, PDF & Email

মন্তব্য করুন

Please enter your comment!
Please enter your name here

seven + sixteen =