ত্রিদেশীয় সিরিজের খেলার সময় বাম হাতের আঙুলে চোট পেয়েছিলেন সাকিব আল হাসান। পরে সেই চোট নিয়ে নয় মাস খেলেছেন তিনি। তবে এশিয়া কাপের আগে তিনি অস্ত্রোপচার করাতে চেয়েছিলেন। কিন্তু দলের প্রয়োজনে এই টুর্নামেন্টে খেলতে রাজি হয়েছেন।
তবে মাঝপথেই আঙুলের ব্যাথা বেড়ে যায়। জানা যায়, অস্ত্রোপচারের বিকল্প নেই। তবে সেটি নির্ভর করছে সংক্রমণ কমার পর। এই ব্যাপারে পরামর্শ করতে শুক্রবার রাতে অস্ট্রেলিয়ায় যাত্রা করেন। যাওয়ার আগে সাকিব জানিয়ে গেলেন এক দুঃসংবাদ, তার আঙুল আর স্বাভাবিক হবে না। তিনি জানান, ‘সংক্রমণ সবচেয়ে বড় দুশ্চিন্তার জায়গা। ওটা যতক্ষণ পর্যন্ত জিরো পার্সেন্টে না আসবে, ততক্ষণ পর্যন্ত কোনো শল্যবিদ অস্ত্রোপচার করবে না। ওখানে হাত দিলে হাড়ে চলে যাবে, আর হাড়ে চলে গেলে পুরো হাত নষ্ট! এখন আসল ব্যাপারটা হচ্ছে কীভাবে সংক্রমণটা কমানো যায়। এই আঙুলটা আর কখনো শতভাগ ইয়ে (ঠিক) হবে না। যেহেতু নরম হাড়, আর কখনো জোড়া লাগার সম্ভাবনা নেই। পুরোপুরি ঠিক হবে না। অস্ত্রোপচার করে ওরা এমন একটা অবস্থায় এনে দেবে হাতটা, ব্যাট ভালোভাবে ধরতে পারব, ক্রিকেট চালিয়ে যেতে পারব।’ চোট থেকে সেরে উঠতে অনেকটা সময় লাগবে সাকিবের। এর ফলে দেশের মাঠে জিম্বাবুয়ে ও ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে খেলা হবে না এই অধিনায়কের। আশা করছেন জানুয়ারিতে বিপিএলের আগেই সেরে উঠবেন, ‘সংক্রমণটা আগে দূর করতে হবে। ওটা চলে গেলে আসলে বোঝা যাবে কত সময় লাগবে। আর আসল অস্ত্রোপচার করা হলে ছয় থেকে আট সপ্তাহ লেগে যাবে। সাধারণত ছয় সপ্তাহের মধ্যেই হয়ে যায়, দুই সপ্তাহ বেশি ধরে রাখা হয়। যদি ছয় সপ্তাহের মধ্যে হয়ে যায়, তাহলে বিপিএলের বেশ আগে ফিট হয়ে যাবো।’