ঘূর্ণিঝড় ‘তিতলি’র প্রভাবে লণ্ডভণ্ড হয়ে গেছে ভারতের উড়িষ্যা ও অন্ধ্রপ্রদেশ। দুই রাজ্যে আঘাত হানার পর এতে এখন পর্যন্ত সাতজনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে বলে টাইমস অব ইন্ডিয়ার প্রতিবেদনে বলা হয়েছে। ক্রমেই বাড়ছে বাড়ছে ঝড়ের গতিবেগ।
পশ্চিমবঙ্গে তিতলির প্রভাব খুব বেশি পড়েনি; এ রাজ্যে তেমন ক্ষয়ক্ষতিও হয়নি। তবে ঝড় না হলেও প্রবল বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে পশ্চিমবঙ্গেও। এদিকে বাংলাদেশের আবহাওয়া অধিদফতরের এক বিশেষ বিজ্ঞপ্তিতে ‘তিতলি’র ক্রমশ দুর্বল হয়ে যাওয়ার ইঙ্গিত দেওয়া হয়েছে। এতে বলা হয়, ঘূর্ণিঝড় তিতলি উড়িষ্যা উপকূলীয় এলাকায় অবস্থান করছে। এটি উত্তর-উত্তরপশ্চিম দিকে গিয়ে দুর্বল হয়ে যেতে পারে। আবহাওয়া অধিদফতর জানায়, ঘূর্ণিঝড়টির প্রভাবে উত্তর বঙ্গোপসাগর,বাংলাদেশের উপকূলীয় এলাকা এবং সমুদ্র বন্দরসমূহের ওপর দিয়ে ঝড়ো হাওয়া বয়ে যেতে পারে। চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, মংলা ও পায়রা বন্দরকে চার নম্বর হুঁশিয়ারি সংকেত নামিয়ে তিন নম্বর স্থানীয় সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে। টাইমস অব ইন্ডিয়া বলছে, অন্ধ্রপ্রদেশের শ্রীকাকুলামে ঘূর্ণিঝড়ের প্রবাবে প্রাণ হারিয়েছেন দুই ব্যক্তি। পালাসা রেলস্টেশন ও ভিজিয়ানা গ্রাম ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে তছনছ হয়ে গেছে। অন্ধ্রপ্রদেশের উপকূলবর্তী জেলাগুলিতেও জারি করা হয়েছে রেড অ্যালার্ট। ঘূর্ণিঝড় তিতলিতে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে উড়িষ্যার গঞ্জাম জেলা। এ ছাড়াও উড়িষ্যার বেরহামপুরে মারাত্মক প্রভাব পড়েছে তিতলির। প্রভাব পড়েছে ভুবনেশ্বর ও পুরীতেও। মূলত দুই রাজ্যের উপকূলবর্তী জেলাগুলিতে ব্যাপক প্রভাব পড়েছে। ধসে গেছে অসংখ্য মাটির বাড়ি। যোগাযোগ ব্যবস্থা বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে। গাছপালা উল্টে পড়েছে রাস্তায়; বিদ্যুৎহীন হয়ে গেছে অসংখ্য গ্রাম। অন্ধ্রপ্রদেশের শ্রীকাকুলামের কাছে বিশাখাপত্তনমের দিকে ‘তিতলি’ এগোচ্ছে জানিয়ে আনন্দবাজার পত্রিকা বলছে, এই জেলাতেও মারাত্মক প্রভাব পড়েছে ঘূর্ণিঝড়ের।