সোনারগাঁ থানার ওসির বিরুদ্ধে ৫০ লাখ টাকা ঘুষ বানিজ্যের অভিযোগ

0
729

সোনারগাঁয়ের একাধিক আওয়মীলীগ, যুবলীগ, শ্রমীকলীগ নেতা কর্মী  ও সাধারণ জনতার দাবী এ ঘটনার সত্যতা পাওয়া গেলে ক্লোজড হওয়া ৪ পুলিশ সদস্যের মতোই ওসিকেও ক্লোজড করা হোক।

“গতকাল রবিবার সোনারগাঁয়ের রয়েল রিসোর্ট সানিফয়েলস এন্ড পলিমার ইন্ড্রাস্ট্রিজের মালিক আল-মোস্তফা ও সোনারগাঁ থানার অফিসার ইনচার্জ মোরশেদ আলম পিপিএম এর সাথে দীর্ঘক্ষন গোপন বৈঠক হয়। একটি সূত্র নিশ্চিত করে, বৈঠকে দেড় কোটি টাকায় সানিফয়েলস এন্ড পলিমার ইন্ড্রাস্ট্রিজের মালিক আল-মোস্তফার লাঠিয়াল হিসাবে সম্পূর্ন বেআইনী ভাবে দেড় কোটি টাকার মধ্যে ৫০ লাখ টাকা উৎকোচ গ্রহন করে সোনারগাঁ থানা যুবলীগের সহ-সভাপতি ও সাবেক এমপি কায়সার হাসনাতের এপিএস মাসুম চৌধুরীর ক্রয়কৃত জমি আল মোস্তফাকে দখল করে দেয় অফিসার ইনচার্জ মোরশেদ আলম। ৫০ লাখ টাকা উৎকোচ পেয়ে গত রবিবার রাত ১০ টার মধ্যে জমি ছেড়ে দিতে হুমকি দেয় জমির মালিক যুবলীগ নেতা ও সাবেক এমপির এপিএস মাসুম চৌধুরী ও জাহিদুল ইসলাম স্বপনকে। কিন্তু অফিসার ইনচার্জের বেআইনী নির্দেশ না মানায় রবিবার রাত ২ টায় অফিসার ইনচার্জ নিজেই অবৈধভাবে জমির আরেক মালিক জাহিদুল ইসলাম স্বপনসহ বাসায় থাকা তার ভাইকেও গ্রেফতার করে। জানা গেছে, মাসুম চৌধুরী বিরুদ্ধে আদালতে ৬টি মামলা করে প্রতিপক্ষ। ৬ টি মামলায়ই আদালত মাসুম চৌধুরীর পক্ষে রায় দিয়ে তাকে ষোল আনা জমির মালিক ঘোষনা করে। আদালতের সুষ্পষ্ট নির্দেশনা অমান্য করে সোনারগাঁ থানার অফিসার ইনচার্জ মোরশেদ আলম নিজে রাত ২টায় কোন প্রকার ওয়ারেন্ট ছাড়াই সাবেক এমপি কায়সার হাসনাতের এপিএস ও থানা যুবলীগের সদস্য জাহিদুল ইসলাম স্বপন ও তার ভাইকে গ্রেফতার করে থানায় নিয়ে আসে। বর্তমান আওয়ামীলীগ সরকার ক্ষমতায় থাকা অবস্থায় শুধু টাকার জন্য আওয়ামীলীগ নেতাকে গ্রেফতারের তীব্র নিন্দা জানায় স্হানীয় এলাকাবাসী। থানা আওয়ামী লীগ ও যুবলীগের নেতাকর্মীরা দুর্নীতিবাজ সোনারগাঁ থানার অফিসার ইনচার্জ মোরশেদ আলমের অপসারনসহ তদন্তপূর্বক তার বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যবস্হা ও দুর্নীতি দমন কমিশনের মাধ্যমে তার দুর্নীতি অনুসন্ধানের দাবি জানায়। সোনারগাঁ থানা যুবলীগের সহ-সভাপতি ও সাবেক এমপির এপিএস মাসুম চৌধুরী আদালত অবমাননা ও চরম দুর্নীতির তীব্র নিন্দা জানিয়ে যুবলীগ নেতা জাহিদুল ইসলাম স্বপনের মুক্তি চায়। নাম প্রকাশ না করার শর্তে একাধিক সোনারগাঁবাসী ও আওয়ামীগ নেতাকর্মীরা জানায়, দুর্নীতিবাজ অফিসার ইনচার্জ মোরশেদ আলমের দুর্নীতি অনুসন্ধানে দুর্নীতি দমন কমিশনে অভিযোগ করা হবে এবং উচ্চ আদালতে তার দুর্নীতি তদন্তে রিট করা হবে। এছাড়াও তিনি চরম মানবাধিকার লঙ্গনের পাশাপাশি আদালত অবমাননা করেন। সোনারগাঁ থানার ডিউটি অফিসার সহকারী উপ-পরিদর্শক মোহাম্মদ শাহীন জানায়, কেন জাহিদুল ইসলামকে গ্রেফতার করা হয়েছে তা জানি না। ওসি স্যার নিজেই গ্রেফতার করেছে। ওসি স্যার, আসলে মামলা হবে। এ বিষয়ে সোনারগাঁ থানার অফিসার ইনচার্জ মো.মোরশেদ আলমকে একাধিকবার তার মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলেও তিনি তা রিসিভ করেনি।

Print Friendly, PDF & Email

মন্তব্য করুন

Please enter your comment!
Please enter your name here

twenty + sixteen =