রাজিবপুর চরাঞ্চলে বন্যা শহনশীল বিনাধান -১১ চাষ করে আশায় বুকবাঁধছে কৃষকরা

0
445

রৌমারী (কুড়িগ্রাম) প্রতিনিধি: কুড়িগ্রামের রাজিবপুর উপজেলার কোদালকাটি ইউনিয়নের ব্রহ্মপুত্র নদের চরাঞ্চলে পতিত জমিতে বন্যা শহনশীল বিনাধান-১১চাষাবাদ করে হাসি ফুটেছে চরাঞ্চলের কৃষকদের মুখে। গতকাল বুধবার সরেজমিনে গিয়ে জানা যায়, উপজেলার কোদাঁলকাটি ইউনিয়নের চরসাজাই মন্ডলপাড়া গ্রামের এরশাদুল হক মাস্টার চরাঞ্চলের কৃষকদের একত্রিত করে ব্রহ্মপুত্র নদ দ্বারা বিচ্ছিন্ন পতিত জমিতে বন্যা শহনশীল বিনাধান-১১ চাষ করেন। বন্যার পানিতে ধানের ক্ষতি না হওয়ায় আশায় বুকবাঁধছে কৃষকরা। বিনাধান-১১ আবাদ করে সফলতার মুখ দেখেছেন চরাঞ্চলে দুরিদ্র কৃষকরা।

কৃষি উদ্যোক্তা এরশাদুল হক জানান, বিনা-১১ ধান বন্যার পানিতে নষ্ট হয় না। এ জাতের ধানের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বেশি হওয়ায় ফলন বেশি হয়। রাজিবপুর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা প্রনয় বিষন দাস বলেন, বন্যা শহনশীল বিনা ধান -১১ আবাদ করে তিনি সব চেয়ে আলোড়ন সৃষ্টি করেছেন এলাকায়। কোদাঁলকাটি ইউপি চেয়ারম্যান হুমায়ুন কবীর ছক্কু জানান, এরশাদ একজন উন্নত ও নতুনত্ব চাষাবাদের প্রতিক। প্রতিদিন সূর্য উঠা থেকে শুরু করে সূর্যাস্ত পর্যন্ত কৃষান-কৃষানীরা তার বাড়িতে ভীড় জমায় তার পরামর্শ নেওয়ার জন্য। রৌমারী উপজেলা চেয়ারম্যান মো. মজিবুর রহমান বঙ্গবাসী, রাজিবপুর উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান মো. শফিউল আলম বলেন, ব্রহ্মপুত্র নদের চরাঞ্চলে বন্যার পানিতে অন্যন্য জাতের ধান ক্ষেত নষ্ট হয়েছে। বন্যা শহনশীল বিনা-১১ ধানের কোন ক্ষতি হয় নাই। বাংলাদেশ পরমানু কৃষি গবেষনা ইনস্ট্রিটিউটের পরিচালক (প্রশিক্ষণ ও পরিকল্পনা) ডক্টর মো: জাহাঙ্গীর আলম ও আর্ন্তজাতিক স্বর্ন পদক প্রাপ্ত মূখ্য বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা (বিভাগীয় প্রধান উদ্ভিদ প্রজনন বিভাগ) ডক্টর মির্জা মোফাজ্জল ইসলাম বলেন, এরশাদুল হক কে আমরা দেশের শ্রেষ্ঠ কৃষক ও কৃষি উদ্যোক্তা হিসেবে চিহ্নিত করেছি। স্থানীয় সংসদ সদস্য রুহুল আমিন জানান, এরশাদ রৌমারী ও রাজিবপুর উপজেলার পাঁচ শতাধিক কৃষককে বিনামূল্যে বন্যা সহনশীল জাত বিনাধান-১১ এর বীজ দিয়েছে। আমি তার অনেক ফসলী জমি পরিদর্শন করেছি। আমি মনে করি এরশাদ শুধু একজন কৃষক, কৃষি উদ্যোক্তা নন তিনি একজন কৃষি গবেষকও বটে।

Print Friendly, PDF & Email

মন্তব্য করুন

Please enter your comment!
Please enter your name here

two − 2 =