তরুণীর সঙ্গে পুলিশের অশোভন আচরণ ব্যবস্থা নেয়ার সুপারিশ

0
587

মধ্যরাতে চেকপোস্টে তরুণীর সঙ্গে পুলিশের অশোভন আচরণের তদন্ত করেছে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের সাইবার অপরাধ ও নিরাপত্তা বিভাগ। তারা ওই  ঘটনার সত্যতা পেয়েছেন। পরে তদন্ত কর্মকর্তারা ঘটনায় জড়িত পুলিশ সদস্যদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়ার সুপারিশ করেছেন।

গতকাল মঙ্গলবার সকাল সাড়ে ৬টার দিকে রাকিব রাজ নামের এক পুলিশ কর্মকর্তা তার সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম থেকে ৬ মিনিট ১৬ সেকেন্ডের একটি ভিডিও আপলোড করেন। সেখানে লিখেন, ‘দেখুন একটা অসভ্য মেয়ের কারসাজি। আজ রাত ২টায় (২২.১০.১৮) এই মেয়েটা পুলিশ চেকপোস্টে পুলিশ তাকে চেক করতে চাইলে সে পুলিশের সঙ্গে এই রকম ব্যবহার করে। সবাই প্লিজ শেয়ার করবেন।’ভিডিওতে দেখা যায় চেকপোস্টে  সিএনজিতে বসা এক তরুণীর সঙ্গে কয়েকজন পুলিশ কর্মকর্তা অশোভন আচরণ করছেন। ভিডিওতে শোনা যায়, ‘বেয়াদব মেয়ে, বাসা থেকে আপনাকে ভালো শিক্ষা দেয় না।’ এসময় মেয়েটিকে বলতে শোনা যায়, ‘আমার চেহারায় লাইট মারতেছেন কেন। লাইট ব্যাগে মারেন। ব্যাগ চেক করেন। আপনি আমার সঙ্গে এভাবে কথা বলছেন কেন। ফিল্ডিং মারেন মাইয়াগো দেখলে।’ তখন পুলিশ সদস্যদের বলতে শোনা যায় ‘আপনাকে দেখে যেন আমি মুগ্ধ হয়ে গেছি, আপনি তো বিশ্ব সুন্দরী হয়ে গেছেন। আপনার সমস্যা কি। এটা আমাদের চেকপোস্ট।’ এসময় পুলিশ সদস্যরা তরুণীকে এডিকটেড, হোটেল থেকে নেমে আসছে। এতরাতে কেন, কোথায় যাচ্ছ বলতে শোনা যায়।’ গতকাল ওই ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হয়ে যায়। এরপরই তদন্তে নামে পুলিশের সাইবার ইউনিট। ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের সাইবার অপরাধ ও নিরাপত্তা বিভাগের অতিরিক্ত উপ- কমিশনার নাজমুল ইসলাম মানবজমিনকে বলেন, পুলিশের চেকপোস্টে গভীর রাতে এক ভদ্র মহিলার সঙ্গে কিছু পুলিশ সদস্যের ভিডিওসহ কথোপকথন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে আমাদের নজরে আসে। পরে বিষয়টি নিয়ে আমরা তদন্ত করি। তদন্তে আমরা ওই ঘটনার সত্যতা খুঁজে পেয়েছি। ভদ্র মহিলার সঙ্গে পুলিশের এরকম আচরণের জন্য আমরা তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়ার সুপারিশ করেছি। তিনি বলেন, ঘটনার ভিডিও নজরে আসার পরপরই আমরা বিষয়টি গুরুত্ব দিয়েই গ্রহণ করেছি। বিষয়টি নিয়ে একটি পেশাদারী সেবা প্রদানকারী সংস্থা হিসেবে অনলাইনে পুলিশকে নিয়ে কোনো ঘৃণাবোধ না ছড়ানোর অনুরোধ করেছিলাম। আমরা আশ্বাস দিয়েছিলাম নিরপেক্ষ ও সঠিক অনুসন্ধান করে ব্যবস্থা নেয়া হবে। আমরা সেটা করেছি। কি ব্যবস্থা নেয়া হবে- এমন প্রশ্নে ওই পুলিশ কর্মকর্তা বলেন, আমরা সুপারিশ করেছি। এখন সিনিয়র পুলিশ কর্মকর্তারা এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেবেন।

Print Friendly, PDF & Email

মন্তব্য করুন

Please enter your comment!
Please enter your name here

eighteen − twelve =