দাপুটে শিক্ষিকা আকলিমা লিলি ছাত্রিকে অমানবিক পিটানোর জেরে অভিভাবক শিক্ষকের মাঝে চরম উত্তেজনা বিরাজ করছে

0
488

মাজহারুল ইসলাম: রৌমারীতে শিক্ষিকা কর্তৃক ছাত্রীকে বেধরক মারপিটের ঘটনায় এলাকায় শিক্ষক অভিভাবকের মধ্যে চরম উত্তেজনা বিরাজ করছে। ঘটনাটি ঘটেছে রৌমারী উপজেলাধীন চর-শৌলমারী ইউনিয়নের বি-পাখি-উড়া সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ে। ওই স্কুলের সহকারী শিক্ষিকা মোছাঃ আকলিমা(লিলি) কতৃক তৃতীয় শ্রেনীর ছাত্রী শাহনাজ খাতুন ও চতুর্থ শ্রেনীর ছাত্রী জিপসী খাতুনকে বেধরক মারপিটের ওই প্রতিষ্ঠান প্রধান বরাবর অভিযোগ করেন । ঘটনাটি ঘটে গত ২৪ সেপ্টম্বর সোমবার। বিষয়টি মিমাংসার লক্ষ্যে ম্যানেজিং কমিটি, শিক্ষক, ও অভিভাবকদের মধ্যে সমঝোতার লক্ষ্যে কালক্ষেপন করতে থাকেন। পরে বিষযটি নিয়ে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়লে ১ অক্টবর দিনব্যাপি শালিসি বৈঠক চলে।

বৈঠকে উঠে আসে নানা অজানা তথ্য। আকলিমা ২০০৯ সালে সহকারী শিক্ষক হিসেবে বি-পাখি উড়া সরকারী প্রা; বিদ্যালয়ে যোগদান করেন। ও স্কুলে মোট শিক্ষক সংখ্যা ৭ জন । তার মধ্যে ৫ জনই নারী শিক্ষক। শালিসি বৈঠকে শিক্ষক অভি-ভাবক ও ম্যানেজিং কমিটির সদস্যদের উপস্থিতিতে সাক্ষ্য প্রমাণে জানাযায়, আকলিমা বিদ্যালয়ে যোগদানের পর থেকে প্রতিষ্ঠানে যেমন খুশি তেমন চলা, নিয়ম নীতি না মানা, অনিয়মিত স্কুলে উপস্থিত হওয়া মনগড়া ছুটি কাটানো, ছাত্র-ছাত্রীদের সাথে উগ্রতা খিটখিটে মেজাজ দেখানো, সহকর্মিদের সাথে অমিল অসংখ্য অভিযোগ তার বিরুদ্ধে উত্থাপিত হয়। চতুর্থ শ্রেণীর ছাত্রী জিপসী অভিযোগ করে বলেন, আকলিমা ম্যাডাম পাতলা-পাতলা ছোট-ছোট জামা ওরনা পইরা স্কুলে আহে , এমন কথা কওনে আমারে মারতে-মারতে মাটিতে শুয়াইয়া ফালায়।
একই অভিযোগ নাজমারও। জিপসীর চাচা নজরুল জোড়ালে অভিযোগ করে বলেন , বাপ মরা মাইয়াটারে এমন ভাবে মারপিট করা কামডা বালা করে নাই্ ।এছাড়া শালিসে উপস্থিত পাখিউড়া উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক সাইদুর রহমান দুলাল তার বক্তব্যে বলেন, শিক্ষাই জাতির মেরুদন্ড। আর সেই শিক্ষার কারিগড় শিক্ষক। শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে এসে শিক্ষক কতৃক যখন শিক্ষার্থিরা নানা নির্যাতনের শিকার হয় তখন আর শিক্ষকের মর্যাদা থাকেনা। তাই তিনি আকলিমা আকতার লিলি’র সহকর্মি ও শিক্ষার্থিদের প্রতি ভাল ব্যাবহারের পরামর্শ দেন এবং প্রতিষ্ঠান চলাকালীন সংযত, ন¤্র , আচরনের করতে বলেন। এব্যাপারে ওই স্কুলের প্রধান শিক্ষক সিরাজুল ইসলাম বলেন, ওই শিক্ষিকার বিরুদ্ধে অনেক অভিযোগ। তবে বিষয় গুলো আমরা মিমাংসা করার চেষ্টা করছি। এনিয়ে রৌমারী উপজেলা শিক্ষা অফিসার মণিলাল সিকদার বলেন, এব্যাপারে এখনো কিছু জানিনা । তবে অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যাবস্থা নেওয়া হবে।

Print Friendly, PDF & Email

মন্তব্য করুন

Please enter your comment!
Please enter your name here

18 − 4 =