লক্ষ্মীপুর প্রতিনিধি: লক্ষ্মীপুর-ভোলা নৌ-রুটের মজু চৌধুরীর ঘাটের প্রবেশ মুখে ডুবোচরে ১২ ঘন্টার অধিক সময় আটকে আছে ফেরি ক্যামিলীয়া। এতে দুর্ভোগে রয়েছেন যাত্রীসহ যাতায়াতরত গাড়ীসহ চালকরা। জোয়াররের অপেক্ষায় নাব্যতা সংকটের কারনে ডুবোচরে আটকে থাকতে হচ্ছে এ ফেরিটি। দ্রুত ড্রেজিং কাজ চল্লেও ধীরঘতি হওয়ায় ডুবোচরে ফেরি আটকে থাকার ঘটনা ঘটছে অহরহ। লক্ষ্মীপুর-ভোলা নৌ-রুটের দ্রুত ড্রেজিং না করা হলে হুমকির মুখে দেশের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের ২১ জেলায় সড়ক যোগাযোগ ব্যবস্থা ফেরি চলাচল বন্ধ হয়ে যাওয়ার আশংঙ্খা করছে স্থানীয়রা।
স্থানিয়রা জানান,শীত মৌসুমে নদীর পানি কমে যাওয়ায় ইতোমধ্যে মেঘনা নদীতে অসংখ্য ডুবোচর জেগে উঠেছে। গত কয়েকদিন ধরে লক্ষ্মীপুরের এবং ভোলা জেলার ইলিশা ঘাটের প্রবেশ মুখে পলি জমায় নদীতে নাব্যতা সংকট ও ডুবোচর দেখা দিয়েছে। ক্ষননে ড্রেজিং হলেও তা ধীরগতি হওয়ায়
এখন জোয়ারের অপেক্ষায় থাকতে হতে হয় ফেরি চলাচলরত পন্যবাহী গাড়ি যাত্রীদের। বিশেষ করে লক্ষ্মীপুর-ভোলা নৌ রুটে দ্রুত ডুবোচরের ড্রেজিং করা না হলে যেকোনো সময় ফেরি চলাচল বন্ধ হলে চরম বিপাকে পড়বে কৃষিপন্য উৎপাদন কারী শ্রমিক,কৃষক,পরিবহন মালিক শ্রমিক, যাত্রী সহ লাখ লাখ মানুষ।
ট্রাক চালক আবুল মিয়া জানান, ক্যামিলীয়া ফেরি নদীর মাঝ পথে নাব্য সংকট ও ডুবোচরের কারণে ঘণ্টার পর ঘণ্টা আটকে গিয়ে পারাপারে সময় বেশি লাগায় পরিবহরেন ট্রিপ কমে যাওয়ায় বিপাকে পরতে হচ্ছে তাদের । তার মতে এ সমস্যা সমাধানে সরকারের সহযোগিতা প্রয়োজন।
মজু চৌধুরীর ঘাটের ইজারা গ্রহীতা ও চর রমণী মহন ইউনীয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি হাজি মো. আলমগীর হোসেন জানায়, মজু চৌধুরীর ঘাটের প্রবেশ মুখের জমা পলি ড্রেজিং এর কাজ চলছে । তবে কাজটি দ্রুত না করলে এ রুটে ফেরি ও লঞ্চ চলাচল বন্ধ হয়ে যাবে । তখন এ রুট নির্বরশীল হাজার হাজার শ্রমিক বেকার হয়ে পড়বে। এমনকি সমাধা না হলে লক্ষ্মীপুর জেলা শহরসহ দেশের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের ২১ জেলায় সড়ক যোগাযোগ ব্যবস্থা বন্ধ হয়ে হুমকির মুখে পড়বে। দ্রুত ড্রেজিং করার প্রয়োজনের কথা জানিয়েছেন তিনি।
ফেরি ক্যামিলিয়ার মাষ্টার আশ্রাফুল ইসলাম জানান, যাত্রীসহ গাড়ী নিয়ে ডুবোচরে ১২ ঘন্টার অধিক সময় লক্ষ্মীপুর-ভোলা নৌ রুটে আটকে আছে ফেরি ক্যামিলীয়া। ডুবোচরগুলো ড্রেজিং হলে দ্রুত যাতায়েতসহ নিদিষ্ট সময়ে ফেরি গন্তবে পৌছতো। এখন আর পন্যবাহী গাড়িসহ যাত্রীদের নিয়ে জোয়ারের অপেক্ষায় থাকতে হচেছ তাদের। নদী ড্রেজি্এংর কাজটি দ্রুত করার অনুরোধ জানান তিনি।
বি আই ডব্লিউ টিসির লক্ষ্মীপুরে দায়িত্বরত সহকারি প্রকৌশলী আব্দুল মালেক জানান, লক্ষ্মীপুর-ভোলা নৌ রুটে নদীতে শীত মৌসুমে নদীর পানি কমে অসংখ্য ডুবোচর জেগে উঠে। এছাড়া লক্ষ্মীপুর সীমানা এলাকায় তিনটি আর ভোলা সীমানা এলাকায় তিনটি মোট ছয়টি ডুবোচরের কারনে জোয়ার ভাটায় নির্ভর করে চলাচলে ফেরী ও লঞ্চ চলাচল করতে হয়। ডুবোচরের কারণে ফেরি মেঘনা নদীর মাঝপথে আটকে কখন জোয়ার আসবে সে অপেক্ষায় থাকতে হতে হয় পন্যবাহী গাড়িসহ যাত্রীদের । এতে করে লক্ষ্মীপুর -ভোলা রুটে যাতায়ের সময় বেড়ে যায়। এ সমস্যা সমাধানে বিষয়টি (বিআই ডব্লিউটিএ) কে কয়েকবার লেখা লেখি ও পত্র-পত্রিকায় প্রকাশের কারনে এখন ড্রেজিং চলছে। এ সমস্যা আরা থাকবে না। নিদিষ্ট সময়ে ফেরী ,লঞ্চসহ সি ট্রাক করবে। তখন যাত্রীরা স্বস্তিতে চলতে পারবে এ রুটে।